Wangala-ওয়ানগালা (চুনিয়া)
Ja'Dil Mri
শীত নেমে আসছে,একটু একটু করে কুয়াশায় চারপাশ সবকিছু সাদা ধবধবে হয়ে যাচ্ছে । শীতকালীন সময়ের জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি,কবে বছর ঘুরে এই দিনটা আসবে ,অনেক দিন অপেক্ষার পরে আবার আসছে র্দীঘ প্রতিক্ষার সময় এই শীতকাল । চারিদিকে চলছে উৎসবের আমেজ,এই উৎসব যেমন আমাদের প্রয়োজন ;তেমনি আমাদের নতুন প্রজম্মেরে জন্যও প্রয়োজন।
আমার কাছে ”ওয়ানগালা” মানে অন্য রকম এক অনুভূতি,ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, এখন দেখি ;কিন্তু দেখার মাঝেও পার্থক্য থাকে।র্বতমান “ওয়ানগালা”কোন পর্যায়ে চলছে তা দেখলে মন খারাপ হয়ে যায়। আমি জানি,পরিবর্তন হবে সেটা স্বাভাবিক কিন্তু অতিরিক্ত বিকৃত আমার পছন্দ না। নামে মাত্র সব জায়গায়ে এখন ”ওয়ানগালা ”পালন করা হয়।”ওয়ানগালা”উৎসব এখন আমরা ঠিক উপভোগ করতে পারি না,আমার মনে হয়,করা জন্য শুধু করা এর বাইরে কিছু না।পরিচিত অনেক জনকে পাওয়া যাবে,যারা আসলে ”ওয়ানগালা” কেন পালন করা হয় ,তা জানে না।জানার চেষ্টা বা উপলদ্ধি করে এমনটা মনে হয় না,কিন্তুু তারাই লাফালাফি করে বেশি। আশা বা খুশির কথা হচ্ছে ”ওয়ানগালা”সব জায়গায় নামে মাত্র পালন করা হলেও একটি জায়গা আছে, যেখানে এখনো সত্যিকার ভাবে পালন করা হয়। সাধারণত ”ওয়ানগালা” চলে তিন দিন থেকে সাত দিন এর বেশিও হতে পারে ।কিন্তুু বর্তমান “ওয়ানগালা”চলে মাত্র একদিন,আমার মনে হয় একদিন আমাদের জন্য কম হয়ে যায়,কারন কম সময়ে প্রধান উৎসব হতে পারে না।কম সময়ে সব কিছু করা সম্ভব নয় সেহেতু সময় বাড়ানো উচিত,উৎসব জিনিশটা উৎসবের মতো করেই পালন করা উচিত।
আমাদের কাছে ”ওয়ানগালা”মানে আমার আত্নার পরিশুদ্ধি।”ওয়ানগালা”হচ্ছে মহা মিলন মেলার এক উৎসব,ওয়ানগালা মানে হচ্ছে শত ক্রান্তি শত অবসাদ দূর করা।”ওয়ানগালা” হচ্ছে প্রেমের ক্ষেত্র ,নিজের জন্য মনের মত করে সঙ্গী খুজে বের করা। ওয়ানগালা হচ্ছে মনের অব্যক্ত্য কথা শেয়ার করা।নিজের কষ্ট, না পাওয়া বেদনা, ফেলে দিয়ে নতুন করে আবার জীবন শুরু করা।মানে সবকিছু মিলিয়ে আমাদের জন্য এক মহা উৎসব ,আমাদের ভালোবাসা ।“ওয়ানগালা” থেকে আমরা নতুন করে পুনরায় জীবন শুরু করি,আমাদের ব্যার্থতা আমরা ফেলে দেয়।
সত্যিকার ভাবে যদি ”ওয়ানগালা” দেখতে হয় ,পালন করতে হয় ,তাহলে বেশি দূর যেতে হবে না।মধুপুর উপজেলা গারো অধ্যুষিত এলাকা শোলাকুড়ি ইউনিয়নের অন্তরভূক্ত ৯ নং ওর্য়াডে চুনিয়া নামক গ্রামে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ”ওয়ানগালা” পালন করা হয়।আমি নিজেও অনেক বার গিয়েছি,সত্যি বলছি; আমরা যদি বলি অরিজিন বা আসল ”ওয়ানগালা”কোনটা বা কোথায় করা হয় ।সেটা অবশ্যই চুনিয়া হবে,সত্যিকার ভাবে যদি ”ওয়ানগালা” হয় সেটা অবশ্যই চুনিয়া।আমার সাথে কারো যদি দ্বিমত থাকে,আমি ব্যক্তিগত ভাবে আহ্বান জানাব,সামনে মাসে উৎসব হবে, চলেন ঘুরে আসি,হয়তো দেখার পরে একটু অবাগ হলেন!
অাগেই বলে নেওয়া ভালো,সেখানে মানুষ জন হয় কম হয় ,বাজেট থাকে কম,লাইটিং নেই ,জাকজমক পূর্ণ নয়,কোন কনসার্ট থাকে না,কোন প্রতিযোগীতা নেই,কোন বড় বড় অতিথি থাকে না,কোন দোকানের স্টল থাকে না,কোন প্রাইভেটকার থাকে না,কোন নেতা থাকে না(রাজনীতি),কোন ঝগড়া থাকে না,কোন হিংসা নেই ,চারিদিকে শুধু প্রেম এবং ভলোবাসা বিরাজ করে।
তাহলে প্রশ্ন হতে পারে ,আমি কেন যাব?আমার মনে হয় না প্রশ্ন করাটা ঠিক। কী আছে না আছে ,কী হবে না হবে ,লাভ না ক্ষতি সেটা বিবেচনায় না আসাই ভালো,আমি মনে করি ইচ্ছা জিনিশটা থাকলেই হলো ,আর কি লাগে?আমি মনে করি ,সচারচর অন্যান্য জায়গায় যে রকমের ”ওয়ানগালা”হয় তার চাইতে আলাদা স্বাদ পাওয়া যাবে ।প্রচুর সময় পাওযা যাবে সবকিছু অরিজিনাল নিয়ম কানুন দেখার সৌভাগ্য হবে ,আমাদের নিজস্ব রেরে আজিয়া মনের তৃপ্তি দিবে।এছাড়াও নিজেদের মত করে খাওয়া দাওয়া হবে ,বাধা নিষেধের বালাই নাই।সময়ের প্যারা জিনিশটা থাকে না,সবকিছু আস্তে ধীরে করা যায়।
চিন্তা করে রেখেছি এই বছর আবার যাব ,আমার কিছু বন্ধুদের নিয়ে । অরিজিনাল সব কিছু মনে একটা তৃপ্তি এনে দেয়।আমি আবার বলছি, যদি কোন “ওয়ানগালা”তৃপ্তি দিতে পারে বা সবকিছু অরিজিনাল হয় সেটা অবশ্যই ”চুনিয়া ওয়ানগালা”।
ছবি:চুনিয়া ওয়ানগাল। |
শীত নেমে আসছে,একটু একটু করে কুয়াশায় চারপাশ সবকিছু সাদা ধবধবে হয়ে যাচ্ছে । শীতকালীন সময়ের জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি,কবে বছর ঘুরে এই দিনটা আসবে ,অনেক দিন অপেক্ষার পরে আবার আসছে র্দীঘ প্রতিক্ষার সময় এই শীতকাল । চারিদিকে চলছে উৎসবের আমেজ,এই উৎসব যেমন আমাদের প্রয়োজন ;তেমনি আমাদের নতুন প্রজম্মেরে জন্যও প্রয়োজন।
আমার কাছে ”ওয়ানগালা” মানে অন্য রকম এক অনুভূতি,ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, এখন দেখি ;কিন্তু দেখার মাঝেও পার্থক্য থাকে।র্বতমান “ওয়ানগালা”কোন পর্যায়ে চলছে তা দেখলে মন খারাপ হয়ে যায়। আমি জানি,পরিবর্তন হবে সেটা স্বাভাবিক কিন্তু অতিরিক্ত বিকৃত আমার পছন্দ না। নামে মাত্র সব জায়গায়ে এখন ”ওয়ানগালা ”পালন করা হয়।”ওয়ানগালা”উৎসব এখন আমরা ঠিক উপভোগ করতে পারি না,আমার মনে হয়,করা জন্য শুধু করা এর বাইরে কিছু না।পরিচিত অনেক জনকে পাওয়া যাবে,যারা আসলে ”ওয়ানগালা” কেন পালন করা হয় ,তা জানে না।জানার চেষ্টা বা উপলদ্ধি করে এমনটা মনে হয় না,কিন্তুু তারাই লাফালাফি করে বেশি। আশা বা খুশির কথা হচ্ছে ”ওয়ানগালা”সব জায়গায় নামে মাত্র পালন করা হলেও একটি জায়গা আছে, যেখানে এখনো সত্যিকার ভাবে পালন করা হয়। সাধারণত ”ওয়ানগালা” চলে তিন দিন থেকে সাত দিন এর বেশিও হতে পারে ।কিন্তুু বর্তমান “ওয়ানগালা”চলে মাত্র একদিন,আমার মনে হয় একদিন আমাদের জন্য কম হয়ে যায়,কারন কম সময়ে প্রধান উৎসব হতে পারে না।কম সময়ে সব কিছু করা সম্ভব নয় সেহেতু সময় বাড়ানো উচিত,উৎসব জিনিশটা উৎসবের মতো করেই পালন করা উচিত।
আমাদের কাছে ”ওয়ানগালা”মানে আমার আত্নার পরিশুদ্ধি।”ওয়ানগালা”হচ্ছে মহা মিলন মেলার এক উৎসব,ওয়ানগালা মানে হচ্ছে শত ক্রান্তি শত অবসাদ দূর করা।”ওয়ানগালা” হচ্ছে প্রেমের ক্ষেত্র ,নিজের জন্য মনের মত করে সঙ্গী খুজে বের করা। ওয়ানগালা হচ্ছে মনের অব্যক্ত্য কথা শেয়ার করা।নিজের কষ্ট, না পাওয়া বেদনা, ফেলে দিয়ে নতুন করে আবার জীবন শুরু করা।মানে সবকিছু মিলিয়ে আমাদের জন্য এক মহা উৎসব ,আমাদের ভালোবাসা ।“ওয়ানগালা” থেকে আমরা নতুন করে পুনরায় জীবন শুরু করি,আমাদের ব্যার্থতা আমরা ফেলে দেয়।
সত্যিকার ভাবে যদি ”ওয়ানগালা” দেখতে হয় ,পালন করতে হয় ,তাহলে বেশি দূর যেতে হবে না।মধুপুর উপজেলা গারো অধ্যুষিত এলাকা শোলাকুড়ি ইউনিয়নের অন্তরভূক্ত ৯ নং ওর্য়াডে চুনিয়া নামক গ্রামে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ”ওয়ানগালা” পালন করা হয়।আমি নিজেও অনেক বার গিয়েছি,সত্যি বলছি; আমরা যদি বলি অরিজিন বা আসল ”ওয়ানগালা”কোনটা বা কোথায় করা হয় ।সেটা অবশ্যই চুনিয়া হবে,সত্যিকার ভাবে যদি ”ওয়ানগালা” হয় সেটা অবশ্যই চুনিয়া।আমার সাথে কারো যদি দ্বিমত থাকে,আমি ব্যক্তিগত ভাবে আহ্বান জানাব,সামনে মাসে উৎসব হবে, চলেন ঘুরে আসি,হয়তো দেখার পরে একটু অবাগ হলেন!
ছবি:খামাল। |
অাগেই বলে নেওয়া ভালো,সেখানে মানুষ জন হয় কম হয় ,বাজেট থাকে কম,লাইটিং নেই ,জাকজমক পূর্ণ নয়,কোন কনসার্ট থাকে না,কোন প্রতিযোগীতা নেই,কোন বড় বড় অতিথি থাকে না,কোন দোকানের স্টল থাকে না,কোন প্রাইভেটকার থাকে না,কোন নেতা থাকে না(রাজনীতি),কোন ঝগড়া থাকে না,কোন হিংসা নেই ,চারিদিকে শুধু প্রেম এবং ভলোবাসা বিরাজ করে।
তাহলে প্রশ্ন হতে পারে ,আমি কেন যাব?আমার মনে হয় না প্রশ্ন করাটা ঠিক। কী আছে না আছে ,কী হবে না হবে ,লাভ না ক্ষতি সেটা বিবেচনায় না আসাই ভালো,আমি মনে করি ইচ্ছা জিনিশটা থাকলেই হলো ,আর কি লাগে?আমি মনে করি ,সচারচর অন্যান্য জায়গায় যে রকমের ”ওয়ানগালা”হয় তার চাইতে আলাদা স্বাদ পাওয়া যাবে ।প্রচুর সময় পাওযা যাবে সবকিছু অরিজিনাল নিয়ম কানুন দেখার সৌভাগ্য হবে ,আমাদের নিজস্ব রেরে আজিয়া মনের তৃপ্তি দিবে।এছাড়াও নিজেদের মত করে খাওয়া দাওয়া হবে ,বাধা নিষেধের বালাই নাই।সময়ের প্যারা জিনিশটা থাকে না,সবকিছু আস্তে ধীরে করা যায়।
চিন্তা করে রেখেছি এই বছর আবার যাব ,আমার কিছু বন্ধুদের নিয়ে । অরিজিনাল সব কিছু মনে একটা তৃপ্তি এনে দেয়।আমি আবার বলছি, যদি কোন “ওয়ানগালা”তৃপ্তি দিতে পারে বা সবকিছু অরিজিনাল হয় সেটা অবশ্যই ”চুনিয়া ওয়ানগালা”।
No comments