ফিরে দেখা খাগড়াছড়ি
জা'ডিল মৃ
আমি নিজেকে একজন স্বপ্নবাজ মানুষ মনে করি,নানা রকম এলোমেলো স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। মাঝে মাঝে খুব বড় স্বপ্ন দেখি আবার ছোট স্বপ্ন দেখতেও দ্বিধাবোধ করি না। এলোমেলো স্বপ্ন দেখি আর এত এত স্বপ্ন আশেপাশের মানুষ জন আধা পাগল মনে করে। আমাকে নিয়ে কি ভাবলো অবশ্য সেটা ধার ধারি না।আমি নিজের মত করেই স্বপ্ন দেখি;জানতো ,মাঝে মাঝে স্বপ্নগুলো খুব বিলাশবহুল হয় আবার ছোট ছোট স্বপ্ন অচিরেই পূরর্ণ হয়ে যায়।অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এত স্বপ্ন দিয়ে কি হবে বাস্তবায়ন তো হয়'ই না?সব স্বপ্ন যে পূরণ হতে হবে এমন তো কোন কথা নেই। বাস্তবতা এই যে সব স্বপ্ন পূরর্ণ করাও সম্ভব না।তবে শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন দেখি,স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। আমার যে স্বপ্ন দেখা ব্যর্থ হয় তেমনটা কিন্তুু নয়, আমার স্বপ্ন অনেকগুলোই পূরর্ণ করেছি।অনেকগুলো স্বপ্নের মধ্যে ছিল পাহাড়ি মানুষের জীবন সংগ্রাম বাস্তবে দেখা। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল যে, তিন পাবর্ত্য চট্রগ্রাম ঘুরে দেখা, তবে এটা ভাবেনি খাগড়াছড়িই যে হবে আমার প্রথম স্বপ্ন পূরর্ণের জায়গা। হয়তো অনেকে ভাবতে পারে এটা আবার কি রকম স্বপ্ন, এটা কোন স্বপ্ন হলো নাকি?আমার কাছে এটাই স্বপ্ন ছিল। আপনারা যা খুশি ভাবতে পারেন আমার আপত্তি নাই।বাস্তব কথা হচ্ছে আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছিলাম।হয়তো অনেকের আবার প্রশ্ন জাগতে পারে একটা স্বপ্ন পূরর্ণ করেই বাহাদুরি দেখাছে!আরে ভাই,একটা না আমি অনেক গুলো স্বপ্ন পূরর্ণে কথা বলতে পারি। সব স্বপ্নের কথা লিখলে লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হয়ে যাবে।
রাঙামাটি এবং বান্দরবান শহরতলি দেখা শেষ, তবে শহরে মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না যেতে চাই নির্জন গ্রামে যেখানে আদিবাসীরা বেঁচে আছে কঠিনতম সংগ্রাম করে।ছোটবেলা থেকে বই, পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পার্বত্য চট্রগ্রামের বসবাসরত আদিবাসীদের জমি হারানো,ধর্ষণ,গণহত্যা,সম্প্রদায়িকক দাঙ্গা, কষ্টের কথা,সায়ত্বস্বাশন না পাওয়া,আদিবাসী স্বীকৃতি না পাওয়া, কাপ্তাই লেক,মৌলিক চাহিদা পূরর্ণ না হওয়া,সংগ্রামের কথা ইত্যাদি বিভিন্ন লেখা পড়ে বড় হয়েছি। স্বাভাবিক ভাবেই বাস্তবতা নিজের চোখে দেখা বড়ই শখ ছিল।কলেজে থাকার সময় পার্বত্য চট্রগ্রামের আদিবাসী অনেক বন্ধু পেয়েছি,সেই সময়টা খুব একটা সুখকর ছিল না। কারণ আমি আশা করেছিলাম প্রত্যেক জন রাজনীতিভাবে সচেতন হবে।আমার জানার চাহিদা ছিল অনেক,কিন্তুু কেউ তৃপ্ত করতে পারেনি। আমি জানি না আসলে আমার ভাগ্য খারাপ ছিল কিনা!সে যাই হোক, যাব যাব করে এক বছর কাটিয়ে দিলাম ফলে আমার বন্ধুকে শেষবার বললাম; যাব।তখন তাদের বিশ্বাস হচ্ছিল না, আমি যাব!তাদের বিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়ে যাওয়ার জন্য মনস্থির করলাম। অন্যদিকে তারা ভেবেই রেখেছিল আমি যাব না, শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা এক সাথে চলে গেলাম। গাড়ি ছিল ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায়,সময় ১০:৩০ টায়, কিন্তুু গাড়ি আসতে অনেক দেরি করলো।অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর ফলে পা কেমন যেন ব্যাথা করছিল।শেষ পর্যন্ত যীশুর নাম নিয়ে রওনা দিলাম।মনের ভেতর এক আনন্দ খেলা করছিল, শেষ পর্যন্ত তাহলে আমি যাচ্ছি নিজের কাছেই তা প্রশ্ন করছিলাম আরিকি।
ঢাকায় খুব জ্যাম পড়েছিল,কতক্ষণ যে বসে থাকলাম তা মনে নেই। জ্যাম ছাড়ার পর ঠান্ডা বাতাসে কারণে ঘুমিয়ে পড়লাম।কুমিল্লা পৌঁছানো পর আমার বন্ধুবর নাস্তা খেল এক সাথে চা খেলাম।তখন জানুয়ারি মাস প্রথম সপ্তাহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাপাস শীতকালীন ছুটি দিয়েছে। কুমিল্লায় প্রচন্ড শীত ছিল, শীতের কারনে বাইরে আর থাকা গেল না গাড়িতে উঠে পড়লাম।সকালে উঠে দেখি গাড়ি আর যাচ্ছে না ভাবলাম গাড়ির কোন সমস্যা হলো নাকি,দোকানে বিলবোর্ড দেখলাম রামগড়, খাগড়াছড়ি ।আমি তো ভেবেই নিয়েছিলাম এসে পড়েছি বোধয়, কিন্তুু নেমে দেখলাম অনেক গুলো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। বুঝতে পারছিলাম না কি হয়েছে?
আগেই বলি রাখি,আমি আমার দুই বন্ধু সাথে গিয়েছিলাম একজন ডানিয়েল ত্রিপুরা অন্য জন বিটন ত্রিপুরা। মজার কথা হচ্ছে এই দুই বন্ধু প্রাইমারি, হাইস্কুল,কলেজ এমকি একি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে।প্রথম থেকেই তাদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল,সেই সুবাধে ডানিয়েলকে বড় বুনিং এবং বিটন কে ছোট বুনিং বানিয়েছিলাম(বুনিং হলো গারো শব্দ, অর্থ- যদি সে বা আমি তার বা আমার ছোট বোন কে বিয়ে করে তাহলে সম্পর্কে বুনিং হয়) যেটা বলছিলাম আরিকি, জানতে পারলাম মিঠুন চাকমা নামে একজন আদিবাসী নেতাকে হত্যা করা হয়েছে সেই জন্য হরতাল চলছে।অবশ্য আগেই জানতাম হত্যা করা হয়েছে, কিন্তুু ঝুঁকি নিয়েই গেলাম,পরিবেশ যে এত খারাপ থাকবে যা তা মনে ছিল না, হরতাল যে হবে সেটা জানতাম না।মাথায় চিন্তা ধরে গেল, এই রকম পরিবেশ থাকলে তো কোনখানে ঘুরতে পারব না,বন্ধু মা বাবা কোন জায়গায় যাইতে দিবে না।এলোমেলো ভাবতে ভাবকে হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা হয়ে গেল খুব অবাক হয়ে গেলাম,এলোমেলো চিন্তা নিমিষেই উড়ে গেল তারপর ভালো মন্দ কথা বার্তা হল এটুকুই।কাকতালীয় ভাবে বড় ভাইটা এখন আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হতে চলছে,কারন বশত নামটা বলা যাচ্ছে না।
অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরে যখন সূর্য উঁকি মারছে শীত যখন কমে আসছে তখন গাড়ি চালু হলো। আমরাও উঠে পড়লাম গাড়ি চলতে শুরু করলো।রাত থেকেই আমার খাগড়াছড়ি সফর মনে রাখার জন্য ভিডিও শুরু করেছিলাম,সেটা আবার শুরু করলাম,ঘুম আসছিল না আশেপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম।আমার সহ্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছিল,জিঙ্গাসা করলাম আর কতক্ষণ লাগবে, তখন বন্ধুটি বললো,"এই তো দুই ঘন্টার মত"।শেষ পর্যন্ত বসে থাকতে পারলাম না, সোজা গাড়ির সামনে চলে গেলাম হ্যালপারের সাথে বসে পড়লাম,ভিডিও করতে লাগব ,ভাবলা এই জায়গা দেখার জন্য কত সাধনা করেছি । যখন কোন আদিবাসীর চেহারা দেখতাম মন কেমন যেন উত্তেজিত হয়ে পড়তো। চারিদিকে শুধু আদিবাসীর চেহারা খুঁজতাম, অনেক্ষণ গাড়ি চলতে লাগলো শেষ পর্যন্ত একজন দুইজন করে মাঝে মাঝে এক সাথে বসে থাকতে দেখতাম।পাহাড় দেখতে দেখতে ভাবতে লাগলাম,এটাই ছিল আমার স্বপ্ন যে স্বপ্ন পূরর্ণে আমি এত দূর এসেছি।তখন ভেবেছিলাম, ছোটবেলায় কত বই,পত্রিকা,অনলাইন নিউজ পড়েছি আর আজ আমার অস্তিত্ব এখানে। বন্ধুর বাসায় যাওয়ার ফলে খরচটাও কমে গিয়েছিল।আমার দুই বন্ধুর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ থাকবে, কারণ তারাই সব খরচ বহন করেছে ,আমাকে করতে দেয়নি।আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করেছিলাম।তাদের কে সামনাসামনি আলাদা ভাবে ধন্যবাদ দেওয়া হয়নি,আজ অনেকদিন বাদে তাদের ধন্যবাদ দিলাম সবকিছুর জন্য।
চলবে...
রাঙামাটি এবং বান্দরবান শহরতলি দেখা শেষ, তবে শহরে মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না যেতে চাই নির্জন গ্রামে যেখানে আদিবাসীরা বেঁচে আছে কঠিনতম সংগ্রাম করে।ছোটবেলা থেকে বই, পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পার্বত্য চট্রগ্রামের বসবাসরত আদিবাসীদের জমি হারানো,ধর্ষণ,গণহত্যা,সম্প্রদায়িকক দাঙ্গা, কষ্টের কথা,সায়ত্বস্বাশন না পাওয়া,আদিবাসী স্বীকৃতি না পাওয়া, কাপ্তাই লেক,মৌলিক চাহিদা পূরর্ণ না হওয়া,সংগ্রামের কথা ইত্যাদি বিভিন্ন লেখা পড়ে বড় হয়েছি। স্বাভাবিক ভাবেই বাস্তবতা নিজের চোখে দেখা বড়ই শখ ছিল।কলেজে থাকার সময় পার্বত্য চট্রগ্রামের আদিবাসী অনেক বন্ধু পেয়েছি,সেই সময়টা খুব একটা সুখকর ছিল না। কারণ আমি আশা করেছিলাম প্রত্যেক জন রাজনীতিভাবে সচেতন হবে।আমার জানার চাহিদা ছিল অনেক,কিন্তুু কেউ তৃপ্ত করতে পারেনি। আমি জানি না আসলে আমার ভাগ্য খারাপ ছিল কিনা!সে যাই হোক, যাব যাব করে এক বছর কাটিয়ে দিলাম ফলে আমার বন্ধুকে শেষবার বললাম; যাব।তখন তাদের বিশ্বাস হচ্ছিল না, আমি যাব!তাদের বিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়ে যাওয়ার জন্য মনস্থির করলাম। অন্যদিকে তারা ভেবেই রেখেছিল আমি যাব না, শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা এক সাথে চলে গেলাম। গাড়ি ছিল ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায়,সময় ১০:৩০ টায়, কিন্তুু গাড়ি আসতে অনেক দেরি করলো।অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর ফলে পা কেমন যেন ব্যাথা করছিল।শেষ পর্যন্ত যীশুর নাম নিয়ে রওনা দিলাম।মনের ভেতর এক আনন্দ খেলা করছিল, শেষ পর্যন্ত তাহলে আমি যাচ্ছি নিজের কাছেই তা প্রশ্ন করছিলাম আরিকি।
ঢাকায় খুব জ্যাম পড়েছিল,কতক্ষণ যে বসে থাকলাম তা মনে নেই। জ্যাম ছাড়ার পর ঠান্ডা বাতাসে কারণে ঘুমিয়ে পড়লাম।কুমিল্লা পৌঁছানো পর আমার বন্ধুবর নাস্তা খেল এক সাথে চা খেলাম।তখন জানুয়ারি মাস প্রথম সপ্তাহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাপাস শীতকালীন ছুটি দিয়েছে। কুমিল্লায় প্রচন্ড শীত ছিল, শীতের কারনে বাইরে আর থাকা গেল না গাড়িতে উঠে পড়লাম।সকালে উঠে দেখি গাড়ি আর যাচ্ছে না ভাবলাম গাড়ির কোন সমস্যা হলো নাকি,দোকানে বিলবোর্ড দেখলাম রামগড়, খাগড়াছড়ি ।আমি তো ভেবেই নিয়েছিলাম এসে পড়েছি বোধয়, কিন্তুু নেমে দেখলাম অনেক গুলো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। বুঝতে পারছিলাম না কি হয়েছে?
ছবি:নিউজিল্যান্ড,খাগড়াছড়ি সদর। |
আগেই বলি রাখি,আমি আমার দুই বন্ধু সাথে গিয়েছিলাম একজন ডানিয়েল ত্রিপুরা অন্য জন বিটন ত্রিপুরা। মজার কথা হচ্ছে এই দুই বন্ধু প্রাইমারি, হাইস্কুল,কলেজ এমকি একি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে।প্রথম থেকেই তাদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল,সেই সুবাধে ডানিয়েলকে বড় বুনিং এবং বিটন কে ছোট বুনিং বানিয়েছিলাম(বুনিং হলো গারো শব্দ, অর্থ- যদি সে বা আমি তার বা আমার ছোট বোন কে বিয়ে করে তাহলে সম্পর্কে বুনিং হয়) যেটা বলছিলাম আরিকি, জানতে পারলাম মিঠুন চাকমা নামে একজন আদিবাসী নেতাকে হত্যা করা হয়েছে সেই জন্য হরতাল চলছে।অবশ্য আগেই জানতাম হত্যা করা হয়েছে, কিন্তুু ঝুঁকি নিয়েই গেলাম,পরিবেশ যে এত খারাপ থাকবে যা তা মনে ছিল না, হরতাল যে হবে সেটা জানতাম না।মাথায় চিন্তা ধরে গেল, এই রকম পরিবেশ থাকলে তো কোনখানে ঘুরতে পারব না,বন্ধু মা বাবা কোন জায়গায় যাইতে দিবে না।এলোমেলো ভাবতে ভাবকে হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা হয়ে গেল খুব অবাক হয়ে গেলাম,এলোমেলো চিন্তা নিমিষেই উড়ে গেল তারপর ভালো মন্দ কথা বার্তা হল এটুকুই।কাকতালীয় ভাবে বড় ভাইটা এখন আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হতে চলছে,কারন বশত নামটা বলা যাচ্ছে না।
অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরে যখন সূর্য উঁকি মারছে শীত যখন কমে আসছে তখন গাড়ি চালু হলো। আমরাও উঠে পড়লাম গাড়ি চলতে শুরু করলো।রাত থেকেই আমার খাগড়াছড়ি সফর মনে রাখার জন্য ভিডিও শুরু করেছিলাম,সেটা আবার শুরু করলাম,ঘুম আসছিল না আশেপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম।আমার সহ্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছিল,জিঙ্গাসা করলাম আর কতক্ষণ লাগবে, তখন বন্ধুটি বললো,"এই তো দুই ঘন্টার মত"।শেষ পর্যন্ত বসে থাকতে পারলাম না, সোজা গাড়ির সামনে চলে গেলাম হ্যালপারের সাথে বসে পড়লাম,ভিডিও করতে লাগব ,ভাবলা এই জায়গা দেখার জন্য কত সাধনা করেছি । যখন কোন আদিবাসীর চেহারা দেখতাম মন কেমন যেন উত্তেজিত হয়ে পড়তো। চারিদিকে শুধু আদিবাসীর চেহারা খুঁজতাম, অনেক্ষণ গাড়ি চলতে লাগলো শেষ পর্যন্ত একজন দুইজন করে মাঝে মাঝে এক সাথে বসে থাকতে দেখতাম।পাহাড় দেখতে দেখতে ভাবতে লাগলাম,এটাই ছিল আমার স্বপ্ন যে স্বপ্ন পূরর্ণে আমি এত দূর এসেছি।তখন ভেবেছিলাম, ছোটবেলায় কত বই,পত্রিকা,অনলাইন নিউজ পড়েছি আর আজ আমার অস্তিত্ব এখানে। বন্ধুর বাসায় যাওয়ার ফলে খরচটাও কমে গিয়েছিল।আমার দুই বন্ধুর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ থাকবে, কারণ তারাই সব খরচ বহন করেছে ,আমাকে করতে দেয়নি।আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করেছিলাম।তাদের কে সামনাসামনি আলাদা ভাবে ধন্যবাদ দেওয়া হয়নি,আজ অনেকদিন বাদে তাদের ধন্যবাদ দিলাম সবকিছুর জন্য।
চলবে...
No comments