চাঁদ তাঁরা এমনি কী জোনাকী!
জা'ডিল মৃ
উৎসর্গ-ডানিয়েল ত্রিপুরা
এই তো সেই দিন, যেমনটা সেদিন তোমায় কাছে পেয়েছিলাম।সেই দিনের মতো করে আজও পুরোপুরি খাপ খাই,সবকিছু একি লাগে, শুধু তুমি ছাড়া।আজ কত শত যোজন তোমার সাথে আমার দূরত্ব।এতটুকু কোমল বাক্য দুজনার সিদ্ধাত মিলন ঘটাতে পারেনি।জীবন থেকে এত বছর চলে গেল প্রায় সাতটি বসন্ত, পার করে দিলাম।এখন মনে হচ্ছে তোমাকে সত্যি প্রয়োজন আমার, হ্যাঁ সত্যি বলছি ;ভীষণ প্রয়োজন। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়,যখন বেহুদা বিনা কারনে অল্প দোষে; এত সবকিছু।সেই সময় মন কেমন যেন পাথর হয়ে গিয়েছিল,কোন কিছুই গলাতে পারেনি,সেই জন্য আমার প্রতিনিয়ত ভুলে মাশুল গুণতে হচ্ছে।এত যোজন যোজন দুরন্ত তবুও সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রেখেছি।আমি ভেবেছিলামম হয়তো আবার চলে আসবে,যে ভাবে অনেক বার এসেছিলে।তোমার কাছে এক বিরক্তিকর মানুষ হয়ে উঠেছিলাম,আমি বুঝতেই পারিনি। বার বার একি চাওয়া যে এত বড় ভুলের মাশুল গুণতে হবে, কে জানতো?অবশ্য আমিও ঠিক ভালো প্রেমিক হয়ে উঠতে পারিনি,আমি স্বীকার করি।ভালো প্রেমিকের সংজ্ঞা কোন দিন জানতাম না,আজকে খুব ভালো প্রেমিক হতে ইচ্ছে করছে।কোন কিছুতে এত দক্ষ ছিলাম না,আমার অযোগ্য ভাগটাই ছিল সবচেয়ে বেশি। সবকিছু পরেও তোমাকে আমি বুঝতাম, জানতাম, সবসময় জানার চেষ্টা করতাম।কিন্তু সবকিছু জানা সত্ত্বেও তোমার চাহিদা প্রতি আমার ভীষণ অবহেলা ছিল।তোমার চাহিদা এত যে কঠিন কাজ ছিল,তা কিন্তুু নয়।এই এদিক সেদিক ঘুরতে যাওয়া,বাদাম চিবানো,নৌকাতে বসে থাকা,দুজন মিলে গান শুনা,বৃষ্টিতে ভিজা,সিনেমা দেখা,হেঁটে বেড়ানো..... আরো এমন কত আবদার ছিল।শেষ পর্যন্ত আমার কোনটাই করা হয়নি।আগেই বলেছি, প্রেমিক হিসাবে আমি তেমন ভালো ছিলাম না।
আমার তো মনে হয় ,এই তো সেদিন সাত বসন্তের আগে ঠিক এই তারিখে এই দিনে একি জায়গায় আমরা বসে ছিলাম। তখন আমাদের সাথে সঙ্গ দিয়েছিল চাঁদ তাঁরা এমন কী জোঁনাকি পোকা!সাথে আমাদের কফি ছিল হালকা কেক এবং পানি।আমরা অনেকক্ষণ বসে ছিলাম,কত ক্ষণ বসে ছিলাম মনে নাই , শুধু মনে আছে আমরা দুজন সময়টা বেশ উপভোগ করেছিলাম ।আমি তেমন মোটা ছিলাম না,এত বেশি যে লম্বা তা কিন্তুু নয়, হালকা গড়নে সাদাসিধা একজন মানুষ ছিলাম।পোশাক আশাকে তেমন কোন বাচ বিচার ছিল না।যেমন ইচ্ছে তেমনটাই দিনকাল কাঁটিয়ে দিচ্ছিলাম।সবচেয়ে লেখক হওয়ার শখ ছিল,একমাত্র নেশা ছিল বই পড়া।সাত বসন্তের আগে একটা বইও বের হয়নি, সাত বসন্তের পরে যদি তাকিয়ে দেখি আমার এত বই বের হয়েছে,নিজের কাছেও অবিশ্বাস্য লাগে ব্যাপারটা,প্রায় ৫৯! শুধু মাত্র শুরু করতে বেগ পেতে হতো কত কল্পনায় কাহিনী চলে আসতো,মনে ভেতর বাস্তবতার মতো করে প্রতিফলন ঘটতো।সবসময় মনে হতো সবকিছুই যেন বাস্তব ঘটনা,সবকিছুই বাস্তবতা।
নিজের লেখায় কখনো সন্তুষ্ট হতে পারিনি এখনো পারি না,প্রতিনিয়ত মনে হয় কি সব হাবি জাবি লিখি, নিজের মত করে ভালো বই এখনো বানাতে পারিনি।কিভাবে যেন বইগুলো দর্শকপ্রিয় হয়ে গেল নিজের অজান্তেই সবকিছু ,আমি অবশ্য স্রেলিব্রিটি নামক শব্দ ঘৃণা করি।নিজের প্রসংশা নিজেই করছি,বেহুদা।আজ কেমন যেন ভালো প্রেমিক হতে ইচ্ছে করছে,কোনদিন এত আবেগী হয়ে উঠতে পারিনি।আমার খুব ভয় হয়,একি আবেগ যদি সারাজীবন থাকে, আমি কী স্বাভাবিক জীবন পাবো বই লেখা হবে,বই পড়তে পারবো,প্রশ্ন ঘুরপাক খাই। ক্ষীণেরর জন্য হলে কী হবে এবং সারাজীবনেরর জন্য কী হবে,ব্যাপারটা গভীরে চিন্তা করা আমার কাছে বড় উদ্বেগের ব্যাপার ।
একজন লেখকের কী প্রেমিকা থাকা উচিত? এত ভক্ত এত নারী সবকিছুই নিজের মত করে চাহিদা মিটে যাচ্ছে তার পরেও কী প্রেমিকা থাকা আবশ্যক!আমার জানা নাই।সবকিছুর পরেও আজকে মন থেকে বলছি, এই মুহূর্ত থেকে ভালো প্রেমিক হতে ইচ্ছে করছে।যদি আমার কাছে টাইম মেশিন নামক যন্ত্র থাকতো,যদি অতীতে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে আমার ভুলের মাশুল মিটিয়ে নিতাম।খুব কষ্ট হয় ভাবতে ,সে তো এখন অন্য কারোর প্রেমিকা। সে তো আর আমার প্রেমিকা নেই,আমার বলতে সে আর কেউ হয় না, আমিও তার কাছে কেউ নয়।সেই কবেই সাত বসন্তের আগে সব সম্পর্ক ছিন্নবিন্ন হয়েগেছে।কত পরিবর্তন হয়ে গেল কত কিছু ঘটে গেল তার কোন ইয়ত্তা নেই।আমিও বেশ কেমন পরিবর্তন হয়ে গেলাম,কত যোজন যোজন আমাদের এত বছর দুরন্ত তবুও আমার ভালোবাসার কমতি নেই।আমি কী সত্যি ভালোবাসতাম? বার বার একি প্রশ্ন ঘুরপাক খাই।আমি শুধু তাকে নিয়েই বই লিখব, তার মেয়ে হোক ছেলে হোক আমি ব্যর্থ্য প্রেমিক আমি যে সত্যিই ভালো প্রেমিক ছিলাম না সেটাই জানাব।আমি জানি না আমার বই পৌঁছাবে কি না বা পড়তে দিবে কিনা, আমার বিশ্বাস সেটাই এখন ভরসা।
আজকে হঠাৎ করেই আবাহাওয়া সব কিছু ঠিকঠাক ছিল,শুধু তুমি ছাড়া।আজকে আমি কথা বলি চাঁদের সাথে আছে তাঁরা আছে জোঁনাকি পোকা।এই সবকিছুই আমার খুব প্রিয় খুব ভালোবাসি।চারিদিকে নির্জন শুনশান পরিবেশ শুধু মাত্র ব্যাঙের ডাক শুনা যায়। হাত পা ছাড়িয়ে শুয়ে আছি,আকাশের তারা গুনি,প্রচুর সিগারেট মজুত, আছে বাংলা মদ বেশ টেস্টি।হঠাৎ করেই আজকে খুব আবেগী হয়ে যাচ্ছি। আমার তো মনে পড়ে না এই দীর্ঘ সাত বসন্তে সময় আজকের মতো করে ভেবেছিলাম কি না?
প্রথম যেদিন তোমাকে কাছে পেতে চেয়েছিলাম খুব দীর্ঘ এক পথ ছিল।অনেক দিন ধরে বলব বলব করে ৭/৯ মাস কাটিয়ে দিলাম।অনেক রাত ভেবেছি বলেই ফেলি,মনের ভেতর সাহস নিয়েছি, ঠিকমত সাহস করে উঠতে পারিনি।নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিল,অপেক্ষা করতে পারছিলাম না, মনের ভেতর কেমন জানি ভয় কাজ করতো।হয়তো তুমি অন্য কারো হয়ে যাবে,অন্য কারোর প্রেমিক।
আমার ঠিক মনে আছে, যখন তোমাকে প্রেমের আবদার করে বসেছিলাম, দুজনের মুখের দিকে দুজন ঠিকমতো তাকাতে পারছিলাম না।আমরা দুজনি খুব লজ্জা পাচ্ছিলাম,আমিও নিজের প্রতি অনেকটা অবাগ হয়েছিলাম;শেষ পর্যন্ত বলতে পেরেছিলাম,"আমি তোমাকে ভালোবাসি"। সেই সময়টা একটু একটু করে সন্ধ্যা নেমে আসছিল, শীতকাল, তুমি শীতে কাঁপছিলে,কোয়াশায় ঢাকা পড়েছিল চারদিক।হঠাৎ করেই জড়িয়ে ধরেছিলে,অনেকক্ষণ ছিলে, এত তাড়াতাড়ি উওর পেয়ে যাব,আমার কাছে খুব আশ্চর্যের সময় ছিল।তুমি খুব আলতো করে আমায় চুম্বন করেছিলে,এই ভাবেই অনেকক্ষণ আমরা ছিলাম।অজান্তেই তিন কিলোমিটার আমরা শুধু হেঁটেছি,রাস্তার দুপাশে গাছ আমাদের স্বাগতম জানিয়েছিল নতুন সম্পর্ক নতুনত্ব সবকিছু ,ফুলের মত করে গাছের পাতা আমাদের উপর এসে পড়ছিল, আমরা দুজন খুব উপভোগ করেছিলাম সেই সময়টা।অনেক্ষণ ল্যাম্পপোস্ট দাঁড়িয়ে ছিলাম, দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।নিজেকে পৃথিবীর সুখী মানুষ মনে হয়েছিল,তখনি তোমাকে ঘাস ফুল চুলে গুজে দিয়েছিলাম।তোমাকে খুব সুখী লাগছিল, আমাকে কাছে পাওয়া তোমার কাছে সুখের ব্যাপার হবে, খুব বিস্ময়কর লাগছিল।এত সবকিছু ঘটনা এত তাড়াতাড়ি ঘটে গেল নিজের কাছে খুব অবিশ্বাস্য লাগে।
তোমার প্রতি আমার কোন ভালোবাসা কমতি ছিল না।অনেক কিছুই পরিবর্তন করেছিলাম,নিজেকে খুব গুছিয়ে নিয়েছিলাম।কত স্মৃতি স্বপ্ন ঘুরেফিরে এসেছিল আমাদের চারপাশে, আজ তা নেই।তবে হাজারো স্মৃতি ঘুরে বেড়ায়।সামান্যটুকু ভুলের মাশুলে জন্য আমার এই অবস্থা।তুমি প্রেমিক নিয়ে হয়তো ভালো দিন কাটাছো,আমার দ্বারা সাংসার হয়ে উঠেনি।তোমার মত করে সাংসারে প্রবেশ করতে পারলাম না।এই সাত বসন্তের পরেও তোমার জায়গায় কাউকেই বসাতে পারলাম না।
এই রাতে শুধু আপসোস থেকে গেল, আমি কোনদিন ভালো প্রেমিক হতে পারলাম না।আমি নিজেই নিজের শপথ রাখতে পারেনি,তোমার কাছে হেরেগেছি।খুব কষ্ট হয় প্রথম আমিই তোমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম শেষ পর্যন্ত আমার কারনেই সব সম্পর্ক শেষ হয়েছিল সামান্যটুকু ভুলে কারণে।আমি তোমাকে তোমার মত করে থাকতে দিতে পারিনি, আমিও তোমার মত করে হতে পারিনি।সবকিছু আমার জন্য হয়েছে,ইচ্ছা হয় নিজেকে বড় করে শাস্তি দিই।যখন শুনলাম তুমি নিজের ছেলেকে আমার নাম রেখেছ, তখন খুব হেসেছিলাম,কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলাম।আমি তোমার ভালোবাসা বুঝতে পারিনি, তুমি হয়তো চেয়েছিলে আমি তোমাকে নিয়ে আসি।আমার যাওয়া হয়নি, আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছিলাম, আমার প্রতি তোমার অভিমান কতটুকু।সাত বসন্তের আগের মত করে তোমাকে পাব না।যদি কখনো দেখা হয়, প্রথমে তোমার কাছে সবকিছুর জন্য ক্ষামা চেয়ে নিব। আমি জানি ক্ষমার অযোগ্য আমি,তবুও মনকে সান্ত্বনা দিতে এতটুকু করতে চাই।
আজ মিটি মিট করে জোঁনাকী জ্বলে চলছে আমাকে সঙ্গ দিচ্ছে,চাঁদ আমার কষ্ট মুছে দিচ্ছে আমার চোখের জল ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আমাকে সঙ্গ দিচ্ছে,অজস্র জোঁনাকী আমাকে সঙ্গ দিচ্ছে।আমি একা নই আমাকে সঙ্গ দেওয়া সবাই আছে শুধু তুমি ছাড়া
আজ খুব ভালো প্রেমিক হতে ইচ্ছে করছে,ভীষণ ইচ্ছে করছে।
উৎসর্গ-ডানিয়েল ত্রিপুরা
এই তো সেই দিন, যেমনটা সেদিন তোমায় কাছে পেয়েছিলাম।সেই দিনের মতো করে আজও পুরোপুরি খাপ খাই,সবকিছু একি লাগে, শুধু তুমি ছাড়া।আজ কত শত যোজন তোমার সাথে আমার দূরত্ব।এতটুকু কোমল বাক্য দুজনার সিদ্ধাত মিলন ঘটাতে পারেনি।জীবন থেকে এত বছর চলে গেল প্রায় সাতটি বসন্ত, পার করে দিলাম।এখন মনে হচ্ছে তোমাকে সত্যি প্রয়োজন আমার, হ্যাঁ সত্যি বলছি ;ভীষণ প্রয়োজন। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়,যখন বেহুদা বিনা কারনে অল্প দোষে; এত সবকিছু।সেই সময় মন কেমন যেন পাথর হয়ে গিয়েছিল,কোন কিছুই গলাতে পারেনি,সেই জন্য আমার প্রতিনিয়ত ভুলে মাশুল গুণতে হচ্ছে।এত যোজন যোজন দুরন্ত তবুও সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রেখেছি।আমি ভেবেছিলামম হয়তো আবার চলে আসবে,যে ভাবে অনেক বার এসেছিলে।তোমার কাছে এক বিরক্তিকর মানুষ হয়ে উঠেছিলাম,আমি বুঝতেই পারিনি। বার বার একি চাওয়া যে এত বড় ভুলের মাশুল গুণতে হবে, কে জানতো?অবশ্য আমিও ঠিক ভালো প্রেমিক হয়ে উঠতে পারিনি,আমি স্বীকার করি।ভালো প্রেমিকের সংজ্ঞা কোন দিন জানতাম না,আজকে খুব ভালো প্রেমিক হতে ইচ্ছে করছে।কোন কিছুতে এত দক্ষ ছিলাম না,আমার অযোগ্য ভাগটাই ছিল সবচেয়ে বেশি। সবকিছু পরেও তোমাকে আমি বুঝতাম, জানতাম, সবসময় জানার চেষ্টা করতাম।কিন্তু সবকিছু জানা সত্ত্বেও তোমার চাহিদা প্রতি আমার ভীষণ অবহেলা ছিল।তোমার চাহিদা এত যে কঠিন কাজ ছিল,তা কিন্তুু নয়।এই এদিক সেদিক ঘুরতে যাওয়া,বাদাম চিবানো,নৌকাতে বসে থাকা,দুজন মিলে গান শুনা,বৃষ্টিতে ভিজা,সিনেমা দেখা,হেঁটে বেড়ানো..... আরো এমন কত আবদার ছিল।শেষ পর্যন্ত আমার কোনটাই করা হয়নি।আগেই বলেছি, প্রেমিক হিসাবে আমি তেমন ভালো ছিলাম না।
আমার তো মনে হয় ,এই তো সেদিন সাত বসন্তের আগে ঠিক এই তারিখে এই দিনে একি জায়গায় আমরা বসে ছিলাম। তখন আমাদের সাথে সঙ্গ দিয়েছিল চাঁদ তাঁরা এমন কী জোঁনাকি পোকা!সাথে আমাদের কফি ছিল হালকা কেক এবং পানি।আমরা অনেকক্ষণ বসে ছিলাম,কত ক্ষণ বসে ছিলাম মনে নাই , শুধু মনে আছে আমরা দুজন সময়টা বেশ উপভোগ করেছিলাম ।আমি তেমন মোটা ছিলাম না,এত বেশি যে লম্বা তা কিন্তুু নয়, হালকা গড়নে সাদাসিধা একজন মানুষ ছিলাম।পোশাক আশাকে তেমন কোন বাচ বিচার ছিল না।যেমন ইচ্ছে তেমনটাই দিনকাল কাঁটিয়ে দিচ্ছিলাম।সবচেয়ে লেখক হওয়ার শখ ছিল,একমাত্র নেশা ছিল বই পড়া।সাত বসন্তের আগে একটা বইও বের হয়নি, সাত বসন্তের পরে যদি তাকিয়ে দেখি আমার এত বই বের হয়েছে,নিজের কাছেও অবিশ্বাস্য লাগে ব্যাপারটা,প্রায় ৫৯! শুধু মাত্র শুরু করতে বেগ পেতে হতো কত কল্পনায় কাহিনী চলে আসতো,মনে ভেতর বাস্তবতার মতো করে প্রতিফলন ঘটতো।সবসময় মনে হতো সবকিছুই যেন বাস্তব ঘটনা,সবকিছুই বাস্তবতা।
নিজের লেখায় কখনো সন্তুষ্ট হতে পারিনি এখনো পারি না,প্রতিনিয়ত মনে হয় কি সব হাবি জাবি লিখি, নিজের মত করে ভালো বই এখনো বানাতে পারিনি।কিভাবে যেন বইগুলো দর্শকপ্রিয় হয়ে গেল নিজের অজান্তেই সবকিছু ,আমি অবশ্য স্রেলিব্রিটি নামক শব্দ ঘৃণা করি।নিজের প্রসংশা নিজেই করছি,বেহুদা।আজ কেমন যেন ভালো প্রেমিক হতে ইচ্ছে করছে,কোনদিন এত আবেগী হয়ে উঠতে পারিনি।আমার খুব ভয় হয়,একি আবেগ যদি সারাজীবন থাকে, আমি কী স্বাভাবিক জীবন পাবো বই লেখা হবে,বই পড়তে পারবো,প্রশ্ন ঘুরপাক খাই। ক্ষীণেরর জন্য হলে কী হবে এবং সারাজীবনেরর জন্য কী হবে,ব্যাপারটা গভীরে চিন্তা করা আমার কাছে বড় উদ্বেগের ব্যাপার ।
একজন লেখকের কী প্রেমিকা থাকা উচিত? এত ভক্ত এত নারী সবকিছুই নিজের মত করে চাহিদা মিটে যাচ্ছে তার পরেও কী প্রেমিকা থাকা আবশ্যক!আমার জানা নাই।সবকিছুর পরেও আজকে মন থেকে বলছি, এই মুহূর্ত থেকে ভালো প্রেমিক হতে ইচ্ছে করছে।যদি আমার কাছে টাইম মেশিন নামক যন্ত্র থাকতো,যদি অতীতে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে আমার ভুলের মাশুল মিটিয়ে নিতাম।খুব কষ্ট হয় ভাবতে ,সে তো এখন অন্য কারোর প্রেমিকা। সে তো আর আমার প্রেমিকা নেই,আমার বলতে সে আর কেউ হয় না, আমিও তার কাছে কেউ নয়।সেই কবেই সাত বসন্তের আগে সব সম্পর্ক ছিন্নবিন্ন হয়েগেছে।কত পরিবর্তন হয়ে গেল কত কিছু ঘটে গেল তার কোন ইয়ত্তা নেই।আমিও বেশ কেমন পরিবর্তন হয়ে গেলাম,কত যোজন যোজন আমাদের এত বছর দুরন্ত তবুও আমার ভালোবাসার কমতি নেই।আমি কী সত্যি ভালোবাসতাম? বার বার একি প্রশ্ন ঘুরপাক খাই।আমি শুধু তাকে নিয়েই বই লিখব, তার মেয়ে হোক ছেলে হোক আমি ব্যর্থ্য প্রেমিক আমি যে সত্যিই ভালো প্রেমিক ছিলাম না সেটাই জানাব।আমি জানি না আমার বই পৌঁছাবে কি না বা পড়তে দিবে কিনা, আমার বিশ্বাস সেটাই এখন ভরসা।
আজকে হঠাৎ করেই আবাহাওয়া সব কিছু ঠিকঠাক ছিল,শুধু তুমি ছাড়া।আজকে আমি কথা বলি চাঁদের সাথে আছে তাঁরা আছে জোঁনাকি পোকা।এই সবকিছুই আমার খুব প্রিয় খুব ভালোবাসি।চারিদিকে নির্জন শুনশান পরিবেশ শুধু মাত্র ব্যাঙের ডাক শুনা যায়। হাত পা ছাড়িয়ে শুয়ে আছি,আকাশের তারা গুনি,প্রচুর সিগারেট মজুত, আছে বাংলা মদ বেশ টেস্টি।হঠাৎ করেই আজকে খুব আবেগী হয়ে যাচ্ছি। আমার তো মনে পড়ে না এই দীর্ঘ সাত বসন্তে সময় আজকের মতো করে ভেবেছিলাম কি না?
প্রথম যেদিন তোমাকে কাছে পেতে চেয়েছিলাম খুব দীর্ঘ এক পথ ছিল।অনেক দিন ধরে বলব বলব করে ৭/৯ মাস কাটিয়ে দিলাম।অনেক রাত ভেবেছি বলেই ফেলি,মনের ভেতর সাহস নিয়েছি, ঠিকমত সাহস করে উঠতে পারিনি।নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিল,অপেক্ষা করতে পারছিলাম না, মনের ভেতর কেমন জানি ভয় কাজ করতো।হয়তো তুমি অন্য কারো হয়ে যাবে,অন্য কারোর প্রেমিক।
আমার ঠিক মনে আছে, যখন তোমাকে প্রেমের আবদার করে বসেছিলাম, দুজনের মুখের দিকে দুজন ঠিকমতো তাকাতে পারছিলাম না।আমরা দুজনি খুব লজ্জা পাচ্ছিলাম,আমিও নিজের প্রতি অনেকটা অবাগ হয়েছিলাম;শেষ পর্যন্ত বলতে পেরেছিলাম,"আমি তোমাকে ভালোবাসি"। সেই সময়টা একটু একটু করে সন্ধ্যা নেমে আসছিল, শীতকাল, তুমি শীতে কাঁপছিলে,কোয়াশায় ঢাকা পড়েছিল চারদিক।হঠাৎ করেই জড়িয়ে ধরেছিলে,অনেকক্ষণ ছিলে, এত তাড়াতাড়ি উওর পেয়ে যাব,আমার কাছে খুব আশ্চর্যের সময় ছিল।তুমি খুব আলতো করে আমায় চুম্বন করেছিলে,এই ভাবেই অনেকক্ষণ আমরা ছিলাম।অজান্তেই তিন কিলোমিটার আমরা শুধু হেঁটেছি,রাস্তার দুপাশে গাছ আমাদের স্বাগতম জানিয়েছিল নতুন সম্পর্ক নতুনত্ব সবকিছু ,ফুলের মত করে গাছের পাতা আমাদের উপর এসে পড়ছিল, আমরা দুজন খুব উপভোগ করেছিলাম সেই সময়টা।অনেক্ষণ ল্যাম্পপোস্ট দাঁড়িয়ে ছিলাম, দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।নিজেকে পৃথিবীর সুখী মানুষ মনে হয়েছিল,তখনি তোমাকে ঘাস ফুল চুলে গুজে দিয়েছিলাম।তোমাকে খুব সুখী লাগছিল, আমাকে কাছে পাওয়া তোমার কাছে সুখের ব্যাপার হবে, খুব বিস্ময়কর লাগছিল।এত সবকিছু ঘটনা এত তাড়াতাড়ি ঘটে গেল নিজের কাছে খুব অবিশ্বাস্য লাগে।
তোমার প্রতি আমার কোন ভালোবাসা কমতি ছিল না।অনেক কিছুই পরিবর্তন করেছিলাম,নিজেকে খুব গুছিয়ে নিয়েছিলাম।কত স্মৃতি স্বপ্ন ঘুরেফিরে এসেছিল আমাদের চারপাশে, আজ তা নেই।তবে হাজারো স্মৃতি ঘুরে বেড়ায়।সামান্যটুকু ভুলের মাশুলে জন্য আমার এই অবস্থা।তুমি প্রেমিক নিয়ে হয়তো ভালো দিন কাটাছো,আমার দ্বারা সাংসার হয়ে উঠেনি।তোমার মত করে সাংসারে প্রবেশ করতে পারলাম না।এই সাত বসন্তের পরেও তোমার জায়গায় কাউকেই বসাতে পারলাম না।
এই রাতে শুধু আপসোস থেকে গেল, আমি কোনদিন ভালো প্রেমিক হতে পারলাম না।আমি নিজেই নিজের শপথ রাখতে পারেনি,তোমার কাছে হেরেগেছি।খুব কষ্ট হয় প্রথম আমিই তোমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম শেষ পর্যন্ত আমার কারনেই সব সম্পর্ক শেষ হয়েছিল সামান্যটুকু ভুলে কারণে।আমি তোমাকে তোমার মত করে থাকতে দিতে পারিনি, আমিও তোমার মত করে হতে পারিনি।সবকিছু আমার জন্য হয়েছে,ইচ্ছা হয় নিজেকে বড় করে শাস্তি দিই।যখন শুনলাম তুমি নিজের ছেলেকে আমার নাম রেখেছ, তখন খুব হেসেছিলাম,কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলাম।আমি তোমার ভালোবাসা বুঝতে পারিনি, তুমি হয়তো চেয়েছিলে আমি তোমাকে নিয়ে আসি।আমার যাওয়া হয়নি, আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছিলাম, আমার প্রতি তোমার অভিমান কতটুকু।সাত বসন্তের আগের মত করে তোমাকে পাব না।যদি কখনো দেখা হয়, প্রথমে তোমার কাছে সবকিছুর জন্য ক্ষামা চেয়ে নিব। আমি জানি ক্ষমার অযোগ্য আমি,তবুও মনকে সান্ত্বনা দিতে এতটুকু করতে চাই।
আজ মিটি মিট করে জোঁনাকী জ্বলে চলছে আমাকে সঙ্গ দিচ্ছে,চাঁদ আমার কষ্ট মুছে দিচ্ছে আমার চোখের জল ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আমাকে সঙ্গ দিচ্ছে,অজস্র জোঁনাকী আমাকে সঙ্গ দিচ্ছে।আমি একা নই আমাকে সঙ্গ দেওয়া সবাই আছে শুধু তুমি ছাড়া
আজ খুব ভালো প্রেমিক হতে ইচ্ছে করছে,ভীষণ ইচ্ছে করছে।
No comments