জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ
Ja'Dil Mri
আমাদের দেশের আদিবাসীরা ভালো নেই,আমরা কখনো ভালো থাকতে পারি না।আমরা নিজেদের অস্তিত্ব সংকটের মধ্য দিয়ে পার হচ্ছি ,আমাদের আদিবাসীদের দেখার মতো কেউ নেই।সবকিছু স্বার্থে জন্য করে যখন স্বার্থ থাকে না তখন আমরা থাকিনা আদিবাসী থাকি না ।আমরা হয়ে যায় ক্ষুদ্র জাতিসত্তা,উপজাতি,ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী আরো কত কি?স্বাধীন দেশে আমাদের চাওয়া পাওয়া অনেক ছিল ,কত কিছুই না আশা করেছিলাম কিন্তুু স্বপ্ন সে তো স্বপ্ন থেকে গেল ।আমরা আমাদের স্বপ্নের জন্য লড়াই করি সংগ্রাম করি নিজেদের স্বার্থ বাদ দিয়ে। কিন্তু আমাদের মৌলিক যে দাবিে এখনো আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।আজকে যে সংগঠন নিয়ে আলাপ আলোচনা করবো আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ অনেক কারনে।আমাদের বেচে থাকার জন্য সংগঠন অনেক জরুরি এবং আমাদের অস্তিত্ব সংকটে আমাদের দাবি আদায়ে সংগঠন মূখ্য ভূমিকা পালন করে।
তেমনি আমাদের লড়াই সংগ্রামে দাবি আদায়ে ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দাবি আদায়ে সব সময় সামনে থেকে কাজ করে যাচ্ছ “ জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ ”। আমরা বলে থাকি, আপোষহীন একমাত্র গারো ,কোচ,মান্দাই আদিবাসীদের মাতৃ সংগঠন হচ্ছে “ জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ ”।যত দূর জানা যায়,মধুপুর ঘন জঙ্গলে জয়েনশাহী নামে এক সন্যাসী ছিল,উনার নাম অনুসারে পরবর্তী জায়গাটি পরিচিতি পাই।পরবর্তীকালে জয়েনশাহী বাদ দিয়ে মধুপুর নাম রাখ হয়।
“ জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ ”একটি সামাজিক অরাজনৈতিক অলাভজনক ও মানবাধিকার ভিত্তিক আদিবাসী সংগঠন।এই সংগঠন মূলত টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর, ঘাটাইল এবং মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া ও ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা কাজ করে।১৯৬২ সালে পাকিস্তান আমলে যখন ইর্কোপাকের ঘোষণা দিল আদিবাসীদের নিজেদের জমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করলো তখন সংগঠের প্রয়োজন ছিল ,সেই প্রয়োজনবোধ থেকে আমাদের মাতৃ সংগঠনের জম্ম।
এই সংগঠন ১৯৬২ সালে মার্চে ২ তারিখে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত আপোষহীন ভাবে আন্দোলন করে চলছে এবং আদিবাসীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে কোন দিন পিছবা হয়নি।
এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা গারোদের ফা রাজা পরেশ চন্দ্র মৃ । উনার নেতৃত্বে গারো আদিবাসীদের আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে ,ফলে ইর্কোপাক কার্যক্রম বন্ধ হয়। তিনি ছিলেন গারোদের অবিসাংবাদিক নেতা এবং গারোদের প্রবাদ পুরুষ।প্রথমত উনার কারনে আজ মধুপুরের আদিবাসীরে অস্তিত্ব এখনো আছে,তিনি যদি তৎকালীন সময়ে নেতৃত্ব না দিতেন তাহলে ইর্কোপাক তো হয়েই যেত তেমনি মধুপুরে আদিবাসীদের অস্তিত্ব থাকতো কিনা সন্দেহ রয়েছে।ফলত উনার কাজ আমরা কখনো অস্বীকার করতে পারব না একি সাথে তিনি আমাদের ত্রাণকর্তা।সেই সময়ে উনাকে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখানো হয়েছিল ।যদি তিনি নিজের আরাম আয়েশের কথা চিন্তা করে আন্দোলন বাদ দিতেন; তাহলে আমাদের কি অবস্থা হতো কে জানে?যাই হোক তিনি
আমাদের বা আদিবাসীদের যে মহান নেতা সেটা স্বীকার করতেই হবে। উনার মতো অাজোও আমাদের মাঝে নিবেদিত প্রাণ পুরুষ মহা নেতা এখনো উনার মতো জম্ম নেয়নি।আদো জম্ম নিবে কিনা আমি জানি না।তবে খুব কষ্টের কথা হচ্ছে উনাকে নিয়ে কোন গবেষণা মূলক বই এখনো প্রকাশ পায়নি এবং উনাকে বর্তমান প্রজম্মের গারো বা অন্যান্য আদিবাসীরা চিনে না ও সঠিক ইতিহাস জানে না।আমি মনে করি ,এই মহানেতাকে নিয়ে কাজ করা উচিত।
মাতৃ সংগঠনের অনেক গুলো লক্ষ্য উদ্দেশ্য আছে,সংগঠন নির্বাচন হয় গণতান্ত্রিক উপায়ে। ১১ জন সদস্য নিয়ে নির্বাহী কমিটির গঠন করা হয় এবং মাসে একবার দেখা সাক্ষাৎ বা মিটিং করা হয়। ১৫ সদস্যদের সঙ্গে 15 আঞ্চলিক কমিটি করা হয়েছে।কমিটির মেয়াদ বোধয় ৫ বছর(আমি ঠিক জানি না)।সংগঠনের বিস্তারিত গোল,মিশন,দৃষ্টি,এইম ও উদ্দেশ্য,সংস্থার প্রধান প্রোগ্রাম রয়েছে এছাড়াও সংগঠনের বর্তমান সীমাবদ্ধ রয়েছে । তার পরেও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কাজ করে চলছে।
আমাদের মাতৃ সংগঠন র্দীঘজীবি হোক।
Photo:Ja'Dil Mri |
আমাদের দেশের আদিবাসীরা ভালো নেই,আমরা কখনো ভালো থাকতে পারি না।আমরা নিজেদের অস্তিত্ব সংকটের মধ্য দিয়ে পার হচ্ছি ,আমাদের আদিবাসীদের দেখার মতো কেউ নেই।সবকিছু স্বার্থে জন্য করে যখন স্বার্থ থাকে না তখন আমরা থাকিনা আদিবাসী থাকি না ।আমরা হয়ে যায় ক্ষুদ্র জাতিসত্তা,উপজাতি,ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী আরো কত কি?স্বাধীন দেশে আমাদের চাওয়া পাওয়া অনেক ছিল ,কত কিছুই না আশা করেছিলাম কিন্তুু স্বপ্ন সে তো স্বপ্ন থেকে গেল ।আমরা আমাদের স্বপ্নের জন্য লড়াই করি সংগ্রাম করি নিজেদের স্বার্থ বাদ দিয়ে। কিন্তু আমাদের মৌলিক যে দাবিে এখনো আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।আজকে যে সংগঠন নিয়ে আলাপ আলোচনা করবো আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ অনেক কারনে।আমাদের বেচে থাকার জন্য সংগঠন অনেক জরুরি এবং আমাদের অস্তিত্ব সংকটে আমাদের দাবি আদায়ে সংগঠন মূখ্য ভূমিকা পালন করে।
তেমনি আমাদের লড়াই সংগ্রামে দাবি আদায়ে ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দাবি আদায়ে সব সময় সামনে থেকে কাজ করে যাচ্ছ “ জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ ”। আমরা বলে থাকি, আপোষহীন একমাত্র গারো ,কোচ,মান্দাই আদিবাসীদের মাতৃ সংগঠন হচ্ছে “ জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ ”।যত দূর জানা যায়,মধুপুর ঘন জঙ্গলে জয়েনশাহী নামে এক সন্যাসী ছিল,উনার নাম অনুসারে পরবর্তী জায়গাটি পরিচিতি পাই।পরবর্তীকালে জয়েনশাহী বাদ দিয়ে মধুপুর নাম রাখ হয়।
“ জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ ”একটি সামাজিক অরাজনৈতিক অলাভজনক ও মানবাধিকার ভিত্তিক আদিবাসী সংগঠন।এই সংগঠন মূলত টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর, ঘাটাইল এবং মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া ও ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা কাজ করে।১৯৬২ সালে পাকিস্তান আমলে যখন ইর্কোপাকের ঘোষণা দিল আদিবাসীদের নিজেদের জমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করলো তখন সংগঠের প্রয়োজন ছিল ,সেই প্রয়োজনবোধ থেকে আমাদের মাতৃ সংগঠনের জম্ম।
এই সংগঠন ১৯৬২ সালে মার্চে ২ তারিখে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত আপোষহীন ভাবে আন্দোলন করে চলছে এবং আদিবাসীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে কোন দিন পিছবা হয়নি।
এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা গারোদের ফা রাজা পরেশ চন্দ্র মৃ । উনার নেতৃত্বে গারো আদিবাসীদের আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে ,ফলে ইর্কোপাক কার্যক্রম বন্ধ হয়। তিনি ছিলেন গারোদের অবিসাংবাদিক নেতা এবং গারোদের প্রবাদ পুরুষ।প্রথমত উনার কারনে আজ মধুপুরের আদিবাসীরে অস্তিত্ব এখনো আছে,তিনি যদি তৎকালীন সময়ে নেতৃত্ব না দিতেন তাহলে ইর্কোপাক তো হয়েই যেত তেমনি মধুপুরে আদিবাসীদের অস্তিত্ব থাকতো কিনা সন্দেহ রয়েছে।ফলত উনার কাজ আমরা কখনো অস্বীকার করতে পারব না একি সাথে তিনি আমাদের ত্রাণকর্তা।সেই সময়ে উনাকে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখানো হয়েছিল ।যদি তিনি নিজের আরাম আয়েশের কথা চিন্তা করে আন্দোলন বাদ দিতেন; তাহলে আমাদের কি অবস্থা হতো কে জানে?যাই হোক তিনি
আমাদের বা আদিবাসীদের যে মহান নেতা সেটা স্বীকার করতেই হবে। উনার মতো অাজোও আমাদের মাঝে নিবেদিত প্রাণ পুরুষ মহা নেতা এখনো উনার মতো জম্ম নেয়নি।আদো জম্ম নিবে কিনা আমি জানি না।তবে খুব কষ্টের কথা হচ্ছে উনাকে নিয়ে কোন গবেষণা মূলক বই এখনো প্রকাশ পায়নি এবং উনাকে বর্তমান প্রজম্মের গারো বা অন্যান্য আদিবাসীরা চিনে না ও সঠিক ইতিহাস জানে না।আমি মনে করি ,এই মহানেতাকে নিয়ে কাজ করা উচিত।
মাতৃ সংগঠনের অনেক গুলো লক্ষ্য উদ্দেশ্য আছে,সংগঠন নির্বাচন হয় গণতান্ত্রিক উপায়ে। ১১ জন সদস্য নিয়ে নির্বাহী কমিটির গঠন করা হয় এবং মাসে একবার দেখা সাক্ষাৎ বা মিটিং করা হয়। ১৫ সদস্যদের সঙ্গে 15 আঞ্চলিক কমিটি করা হয়েছে।কমিটির মেয়াদ বোধয় ৫ বছর(আমি ঠিক জানি না)।সংগঠনের বিস্তারিত গোল,মিশন,দৃষ্টি,এইম ও উদ্দেশ্য,সংস্থার প্রধান প্রোগ্রাম রয়েছে এছাড়াও সংগঠনের বর্তমান সীমাবদ্ধ রয়েছে । তার পরেও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কাজ করে চলছে।
আমাদের মাতৃ সংগঠন র্দীঘজীবি হোক।
No comments