নিলীমা
জা'ডিল মৃ
উৎসর্গ-মং বন্ধু
আনমনে সরু রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম ,এত মানুষজন এত কোলাহল ইতিমধ্যে আমার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গিয়েছিল। একটু শান্তি পেতে চাইছিলাম,সবকিছু বিরক্তিকর পরিবেশ লাগছিল, ভিড়ের মধ্যে থেকে লাভ নেই,সরে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ বলে ভেবেছিলাম।জায়গা থেকে যত সরে যেতে চাইছিলাম আরো বেশি করে পরিচিত মুখ দেখতে লাগলাম,কি ভাবে পাশ কেটে যাবো বুঝে উঠার আগেই অনেক দিনের পরিচিত দিদির সাথে দেখা হয়ে গেল।কথা বার্তা না বলে সরে যাওয়ার উপায় নেই,যদি চুপ করে চলে যায় বেয়াদবের শামিল, শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ফরমালিটি মেন্টেন করলাম।অল্প সময়ে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে লাগলাম, মাঝে মাঝে দেখা হয় তাই নানা কথা জমে থাকে। যখন দেখা হয় একবারে সব কথা অল্প সময়ে আলাপ আলোচনা করতে হয়।আমাদের মাঝে চিন্তা ভাবনার দিক থেকে অদ্ভুত ধরনের মিল ছিল,আমার কাছে বেশি আর্কষনীয় ছিল যখন খোলামেলা সবকিছু আলোচনা করতাম, কথা বলে অদ্ভুত ধরনের শান্তি পেতাম।
হঠাৎ দেখি পিছনে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে,ভাবলাম "দেখতে তো খারাপ না "।
পরিচিত দিদির সাথে কথা বলতে লাগলো আমার মতই ফরমালিটি মেন্টেন করছিল, আরিকি। নিজেকে খুব বড় বড় লাগছিল সবাই অন্যচোখে দেখবে,পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাপারটাই আলাদা।নিজেকে নিয়ে কেমন জানি গর্ব হচ্ছিল,অংহকার মাথা থেকে পা পর্যন্ত ছুঁয়ে যাচ্ছিল। মেয়েটি দেখতে ছিল অনেক সুন্দর,খুব চুপচাপ,বিনয়ী, ভদ্র,অনেকটা আবেগীর চোখে তাকাতো। প্রথম দেখাতে খুব তাসকি খেয়ে গেলাম,দেখতে খুব খারাপ লাগছিল না,মাথাব্যথা কবে যে নাই হয়েগেছে বুঝতেই পারিনি। ভাবলাম সম্ভবত ক্লাশ সেভেন বা নাইনে পড়ে।সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে পরিচিত দিদি বাড়িতে চলে গেল, সেই সাথে মেয়েটিকেও নিতে চাইছিল,বুঝতে পারছিলাম না আলাদা করে এত আদর কেন?আমাদের কেও নিতে চাইছিলো কিন্তুু সেই মেয়েটির প্রতি কেমন যেন আলাদা দৃষ্টি ছিল,সেটা মনের খেয়ালে ধরতে পেরেছিলাম। জোরাজোরি পরেও মেয়েটি দিদির সাথে গেল না, নিজের মত করে কোথায় যে চলে গেল আর দেখা পেলাম না।আনাচে কানাচে এদিক সেদিক খুঁজতে লাগলাম, দ্বিতীয় বার কোথাও দেখা পেলাম না।হঠাৎ করে মেয়েটির কথা আনমনে ভুলেই গেলাম,নিজের মত করে অন্য জায়গায় চলে গেলাম।
ইদানিং খুব ভাব সাব নিয়ে চলাফেরা করছি,বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছি কেমন যেন বড় বড় লাগছিল, মনে হচ্ছিল সবকিছু," আই ডোন্ট কেয়ার এনিথিং"।আমাদের ওখানে জানুয়ারি মাসে অনেক প্রোগ্রাম হয়ে থাকে,ক্যাম্পাসেরর প্যারাটা এখন শুরু হয়নি, তাই বাড়তি চিন্তা খেয়াল করতে হয়নি। ইচ্ছে মত সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত হচ্ছি, ইচ্ছে না হলে কোথাও যায় না,ব্যাপারটা খুব আরাম আর আনন্দ দায়ক ছিল।সবকিছু নতুন নতুন অন্য রকম লাগছিল,সময় গুলো খুব উপভোগ করছিলাম।পরের দিন জমজমাট এক বিয়ে অনুষ্ঠান ছিল,লোভ সামলাতে পারলাম না, প্রচন্ড শীতের মধ্যে রাতে অনুষ্ঠান দেখতে ছুঁটে গেলাম।আমরাও অনেক জন ছিলাম, গিয়ে দেখি প্রচুর মানুষ এত রাতেও মানুষ কমছিল না বরং বেড়েই চলছিল,জায়গা সংকুলন হচ্ছিল না,সবকিছু মিলিয়ে অনেক অদ্ভুত রকমে ছিল রাতটা।আমার জন্য এই রাতটা অনেক দিন যাবত অপেক্ষা করছিল,আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারিনি।বিশেষ ভাবে আমার জন্য ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাত।
রাত প্রায় এগারো ছুঁই ছুঁই তখন এক বন্ধুু এসে হাজির,কোথায় যে কখন ওধাও হয়ে যায় কে জানে!এসেই বলা শুরু করলো,বন্ধু আমাদের ক্যাপাসে একটি মেয়ে ভর্তি হয়েছে ," চল তোরে পরিচয় করিয়ে দিই"।আমি তো মহা খুশি একি ক্যাপাসে একি জাতি পরিচয় হলে খারাপ হবে না। দাঁড়িয়ে রইলাম প্রচন্ড শীতের মাঝে, এতক্ষণ আগুন পাড়ে ছিলাম বলে টের পাইনি।মাত্র বিয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে, চারদিকে তাকিয়ে থাকি এত মানুষ , মানুষ কমছে না ববরং বেড়েই চলছে।সম্ভবত কোন জায়গায় আজকে প্রোগ্রাম নাই বা কোন অনুষ্ঠান নাই বিধায় এত মানুষ।আমাদের আবার কোন অনুষ্ঠানে বাঁধা ধরা নিয়ম নাই যে কেউ সব জায়গায় যেতে পারে। মানুষের ভিড়ে আমার বন্ধুটি দুইটি মেয়ে নিয়ে আসছে,হঠাৎ করেই আলো নিভে গেল, চরিদিকে হইচই পড়ে গেল চিৎকার চেঁচামিচি বাড়তে লাগল, অনুষ্ঠান শুরুর আগে এমন ঘটনা কাম্য নয়। আলো আসতেই বন্ধু সহ দুটো মেয়ে হাজির, বিস্মকর চোখে তাকিয়ে আছি,কেমন যেন পরিচিত পরিচিত লাগছে কিছুক্ষণ পরেই খেয়াল হলো,আরে! তাকে তো গতকাল মাত্র দেখেছি রাস্তায়, তারপর কোথায় যে উধাও হয়ে গেল কে জানে!কেমন যেন হিসাবটা মেলাতে পারছিলাম না।
বিশ্বাস হচ্ছিল না,ভাবলতে লাগলাম" সে আমাদের ক্যাপাসে ভর্তি হয়েছে"! ভাবতে থাকলাম ছোট একটি মেয়ে ক্যাপাসে ভর্তি হয়েছে ভাবা যায়, কেমন যেন বেমানান লাগছিল।খুব সুন্দর লাগছিল তবে শাড়ি পড়া, ছোট করে মেয়ে, অনেক কিউট,ভাব সাবে কেমন করে যেন আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।সেদিন রাতেও তার সাথে একবার মাত্র দেখা হয়।দ্বিতীয় বার দেখাতে অন্য রকম ভালোলাগা শুরু হয়ে গিয়েছিল,আমি বুঝতে পারছিলাম না ,শত চেষ্টা করেও কেন জানি মেয়েটির কথা মন থেকে বাদ দিতে পারছিলাম না।
দীর্ঘ এক মাস তার সাথে কোন দেখা সাক্ষাৎ হয়নি আমার,এক মনে ভুলেই গিয়েছিলাম আবার তার কথা। ক্যাপাসে নবীন বরণে আবার দেখা,দেখেই মনে পড়ে গেল পুরানো সেই কাহিনী, সেদিন আর কথা বলতে পারিনি, সবার সাথে পরিচয় কথা বার্তা হলো, তার সাথে শুধু চোখে কথা হয়েছে।শুধু মনে মনে ভাবতে লাগলাম আমি কি সত্যি প্রেমে পড়েছি!আগে কখনো কোন মেয়ের প্রতি এমন করে অনুভুতি সৃষ্টি হয়নি।ভাবতে ভাবতে নিজের প্রতি অবাক হলাম নিজেকে খুব বোকা মনে হলো।ক্লাশ শুরু হয়ে গেল, সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়,শুধু মাত্র তাকে দেখি না, বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারলাম তার নাম নীলিমা। চোখের মধ্যে ভেসে ভেড়ায় নীলিমা সেদিন রাতে আর ঘুম হল না সারা রাত শুয়ে এপাশ ওপাশ করে কাটিয়ে দিলাম। ঘুম ঘুম চোখে সারাদিন বসে রইলাম কোথাও বের হলাম না।কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে বিষয়টা শেয়ার করলাম, খুব অবাক করে বললো প্রেমে প্রস্তাব দিতে। ছয় নয় না ভেবেই প্রস্তাব দেওয়ার জন্য মনস্থির করলাম।বন্ধুটি ফোন নাম্বার জোগার করলো।তখন বাজে সন্ধ্যা সাতটা।মোবাইলে টাকা ছিল না ৫০ টাকা লোড করে ফোন দিলাম,আমার হাত কাঁপতে লাগলো। কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে আমার কোনদিন এমন হয়নি। অপর পাশ থেকে হ্যালো বলার সাথে সাথে আমার ফোন মাটিতে পড়ে গেল, মোবাইলের তেমন ক্ষতি হয়নি।ওপাশ থেকে এখনো লাইন কাটেনি,বন্ধুটি জোর করে ফোন ধরিয়ে দিলো।আমারর গলা তখন কাঁপছিল, কাঁপতে কাঁপতে তখন হ্যালো বললাম,অপর পাশ থেকে....
উৎসর্গ-মং বন্ধু
আনমনে সরু রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম ,এত মানুষজন এত কোলাহল ইতিমধ্যে আমার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গিয়েছিল। একটু শান্তি পেতে চাইছিলাম,সবকিছু বিরক্তিকর পরিবেশ লাগছিল, ভিড়ের মধ্যে থেকে লাভ নেই,সরে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ বলে ভেবেছিলাম।জায়গা থেকে যত সরে যেতে চাইছিলাম আরো বেশি করে পরিচিত মুখ দেখতে লাগলাম,কি ভাবে পাশ কেটে যাবো বুঝে উঠার আগেই অনেক দিনের পরিচিত দিদির সাথে দেখা হয়ে গেল।কথা বার্তা না বলে সরে যাওয়ার উপায় নেই,যদি চুপ করে চলে যায় বেয়াদবের শামিল, শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ফরমালিটি মেন্টেন করলাম।অল্প সময়ে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে লাগলাম, মাঝে মাঝে দেখা হয় তাই নানা কথা জমে থাকে। যখন দেখা হয় একবারে সব কথা অল্প সময়ে আলাপ আলোচনা করতে হয়।আমাদের মাঝে চিন্তা ভাবনার দিক থেকে অদ্ভুত ধরনের মিল ছিল,আমার কাছে বেশি আর্কষনীয় ছিল যখন খোলামেলা সবকিছু আলোচনা করতাম, কথা বলে অদ্ভুত ধরনের শান্তি পেতাম।
হঠাৎ দেখি পিছনে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে,ভাবলাম "দেখতে তো খারাপ না "।
পরিচিত দিদির সাথে কথা বলতে লাগলো আমার মতই ফরমালিটি মেন্টেন করছিল, আরিকি। নিজেকে খুব বড় বড় লাগছিল সবাই অন্যচোখে দেখবে,পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাপারটাই আলাদা।নিজেকে নিয়ে কেমন জানি গর্ব হচ্ছিল,অংহকার মাথা থেকে পা পর্যন্ত ছুঁয়ে যাচ্ছিল। মেয়েটি দেখতে ছিল অনেক সুন্দর,খুব চুপচাপ,বিনয়ী, ভদ্র,অনেকটা আবেগীর চোখে তাকাতো। প্রথম দেখাতে খুব তাসকি খেয়ে গেলাম,দেখতে খুব খারাপ লাগছিল না,মাথাব্যথা কবে যে নাই হয়েগেছে বুঝতেই পারিনি। ভাবলাম সম্ভবত ক্লাশ সেভেন বা নাইনে পড়ে।সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে পরিচিত দিদি বাড়িতে চলে গেল, সেই সাথে মেয়েটিকেও নিতে চাইছিল,বুঝতে পারছিলাম না আলাদা করে এত আদর কেন?আমাদের কেও নিতে চাইছিলো কিন্তুু সেই মেয়েটির প্রতি কেমন যেন আলাদা দৃষ্টি ছিল,সেটা মনের খেয়ালে ধরতে পেরেছিলাম। জোরাজোরি পরেও মেয়েটি দিদির সাথে গেল না, নিজের মত করে কোথায় যে চলে গেল আর দেখা পেলাম না।আনাচে কানাচে এদিক সেদিক খুঁজতে লাগলাম, দ্বিতীয় বার কোথাও দেখা পেলাম না।হঠাৎ করে মেয়েটির কথা আনমনে ভুলেই গেলাম,নিজের মত করে অন্য জায়গায় চলে গেলাম।
ইদানিং খুব ভাব সাব নিয়ে চলাফেরা করছি,বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছি কেমন যেন বড় বড় লাগছিল, মনে হচ্ছিল সবকিছু," আই ডোন্ট কেয়ার এনিথিং"।আমাদের ওখানে জানুয়ারি মাসে অনেক প্রোগ্রাম হয়ে থাকে,ক্যাম্পাসেরর প্যারাটা এখন শুরু হয়নি, তাই বাড়তি চিন্তা খেয়াল করতে হয়নি। ইচ্ছে মত সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত হচ্ছি, ইচ্ছে না হলে কোথাও যায় না,ব্যাপারটা খুব আরাম আর আনন্দ দায়ক ছিল।সবকিছু নতুন নতুন অন্য রকম লাগছিল,সময় গুলো খুব উপভোগ করছিলাম।পরের দিন জমজমাট এক বিয়ে অনুষ্ঠান ছিল,লোভ সামলাতে পারলাম না, প্রচন্ড শীতের মধ্যে রাতে অনুষ্ঠান দেখতে ছুঁটে গেলাম।আমরাও অনেক জন ছিলাম, গিয়ে দেখি প্রচুর মানুষ এত রাতেও মানুষ কমছিল না বরং বেড়েই চলছিল,জায়গা সংকুলন হচ্ছিল না,সবকিছু মিলিয়ে অনেক অদ্ভুত রকমে ছিল রাতটা।আমার জন্য এই রাতটা অনেক দিন যাবত অপেক্ষা করছিল,আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারিনি।বিশেষ ভাবে আমার জন্য ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাত।
রাত প্রায় এগারো ছুঁই ছুঁই তখন এক বন্ধুু এসে হাজির,কোথায় যে কখন ওধাও হয়ে যায় কে জানে!এসেই বলা শুরু করলো,বন্ধু আমাদের ক্যাপাসে একটি মেয়ে ভর্তি হয়েছে ," চল তোরে পরিচয় করিয়ে দিই"।আমি তো মহা খুশি একি ক্যাপাসে একি জাতি পরিচয় হলে খারাপ হবে না। দাঁড়িয়ে রইলাম প্রচন্ড শীতের মাঝে, এতক্ষণ আগুন পাড়ে ছিলাম বলে টের পাইনি।মাত্র বিয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে, চারদিকে তাকিয়ে থাকি এত মানুষ , মানুষ কমছে না ববরং বেড়েই চলছে।সম্ভবত কোন জায়গায় আজকে প্রোগ্রাম নাই বা কোন অনুষ্ঠান নাই বিধায় এত মানুষ।আমাদের আবার কোন অনুষ্ঠানে বাঁধা ধরা নিয়ম নাই যে কেউ সব জায়গায় যেতে পারে। মানুষের ভিড়ে আমার বন্ধুটি দুইটি মেয়ে নিয়ে আসছে,হঠাৎ করেই আলো নিভে গেল, চরিদিকে হইচই পড়ে গেল চিৎকার চেঁচামিচি বাড়তে লাগল, অনুষ্ঠান শুরুর আগে এমন ঘটনা কাম্য নয়। আলো আসতেই বন্ধু সহ দুটো মেয়ে হাজির, বিস্মকর চোখে তাকিয়ে আছি,কেমন যেন পরিচিত পরিচিত লাগছে কিছুক্ষণ পরেই খেয়াল হলো,আরে! তাকে তো গতকাল মাত্র দেখেছি রাস্তায়, তারপর কোথায় যে উধাও হয়ে গেল কে জানে!কেমন যেন হিসাবটা মেলাতে পারছিলাম না।
বিশ্বাস হচ্ছিল না,ভাবলতে লাগলাম" সে আমাদের ক্যাপাসে ভর্তি হয়েছে"! ভাবতে থাকলাম ছোট একটি মেয়ে ক্যাপাসে ভর্তি হয়েছে ভাবা যায়, কেমন যেন বেমানান লাগছিল।খুব সুন্দর লাগছিল তবে শাড়ি পড়া, ছোট করে মেয়ে, অনেক কিউট,ভাব সাবে কেমন করে যেন আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।সেদিন রাতেও তার সাথে একবার মাত্র দেখা হয়।দ্বিতীয় বার দেখাতে অন্য রকম ভালোলাগা শুরু হয়ে গিয়েছিল,আমি বুঝতে পারছিলাম না ,শত চেষ্টা করেও কেন জানি মেয়েটির কথা মন থেকে বাদ দিতে পারছিলাম না।
দীর্ঘ এক মাস তার সাথে কোন দেখা সাক্ষাৎ হয়নি আমার,এক মনে ভুলেই গিয়েছিলাম আবার তার কথা। ক্যাপাসে নবীন বরণে আবার দেখা,দেখেই মনে পড়ে গেল পুরানো সেই কাহিনী, সেদিন আর কথা বলতে পারিনি, সবার সাথে পরিচয় কথা বার্তা হলো, তার সাথে শুধু চোখে কথা হয়েছে।শুধু মনে মনে ভাবতে লাগলাম আমি কি সত্যি প্রেমে পড়েছি!আগে কখনো কোন মেয়ের প্রতি এমন করে অনুভুতি সৃষ্টি হয়নি।ভাবতে ভাবতে নিজের প্রতি অবাক হলাম নিজেকে খুব বোকা মনে হলো।ক্লাশ শুরু হয়ে গেল, সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়,শুধু মাত্র তাকে দেখি না, বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারলাম তার নাম নীলিমা। চোখের মধ্যে ভেসে ভেড়ায় নীলিমা সেদিন রাতে আর ঘুম হল না সারা রাত শুয়ে এপাশ ওপাশ করে কাটিয়ে দিলাম। ঘুম ঘুম চোখে সারাদিন বসে রইলাম কোথাও বের হলাম না।কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে বিষয়টা শেয়ার করলাম, খুব অবাক করে বললো প্রেমে প্রস্তাব দিতে। ছয় নয় না ভেবেই প্রস্তাব দেওয়ার জন্য মনস্থির করলাম।বন্ধুটি ফোন নাম্বার জোগার করলো।তখন বাজে সন্ধ্যা সাতটা।মোবাইলে টাকা ছিল না ৫০ টাকা লোড করে ফোন দিলাম,আমার হাত কাঁপতে লাগলো। কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে আমার কোনদিন এমন হয়নি। অপর পাশ থেকে হ্যালো বলার সাথে সাথে আমার ফোন মাটিতে পড়ে গেল, মোবাইলের তেমন ক্ষতি হয়নি।ওপাশ থেকে এখনো লাইন কাটেনি,বন্ধুটি জোর করে ফোন ধরিয়ে দিলো।আমারর গলা তখন কাঁপছিল, কাঁপতে কাঁপতে তখন হ্যালো বললাম,অপর পাশ থেকে....
No comments