গারো ভাষা
JaDil Mri
গারো ভাষা←💗💗💗
মাতৃভাষায় কথা বলতে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে,আসলে নিজের মাতৃভাষারর মতো স্বাদ কোনটাই হয় না। আমরা জানি ভাষা ছাড়া কোন জাতির অস্তিত্ব থাকতে পারে না।ভাষা হচ্ছে একটি জাতির প্রাণ।আমরা জানি নিজের ভাষা কোন দিন বর্বর হতে পারে না,অন্য ভাষায় মানায় না,তার পরেও নিজের ভাষা ছেড়ে অন্য ভাষায় কথা বলি।আমরা দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ বা তার চেয়ে অধিক ভাষা শিখতে পারি ,তবে নিজের ভাষাকে বির্সজন দিয়ে নয়।নিজের ভাষাকে ছেড়ে অন্য ভাষাকে যদি অধিক মানসম্মত মনে করি সেটা কিন্তুু আমাদেরি ব্যর্থতা। অন্য ভাষা যেমন সমৃদ্ধ তেমনি আমাদের ভাষাও সমৃদ্ধ। হয়তো আমরা জানি না বলে গুরুত্ববহ মনে করি না, জানি না বলে প্রতিনিয়ত হেয় প্রতিপন্ন করি।আমরা অতীতে নজির দেখেছি নিজের মাতৃভাষারর জন্য প্রাণ দিতে, ভাষার জন্য আন্দোলন করতে,অতীত ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।তার পরেও আমরা যদি সচেতন না হই বুঝতে অক্ষম হয়,তাহলে নিজেদের কে নিজেরাই ধ্বংস করছি।একদিন আস্তে আস্তে আমরা শেষ হয়ে যাব হয়তো আমরা শেষের দিকে। আমরা নিজেরা নিজেরা থাকলে অন্য ভাষা ব্যবহার করি।কিন্তুু ব্যবহার কী অতি প্রয়োজন? আমার তো মনে হয় না।নিজেরা নিজেরা কথা বললে অসুবিধা হওয়ার তো কথা না, তার পরেও আমরা অন্য ভাষা দিয়ে কথা বলি। নিজেদেরকে আমরা খুব আধুনিক মনে করি,অনেক স্মার্ট, কিন্তুু কত যে আধুনিক হতে পেরেছি আমাদের প্রায় ধারণার বাইরে।আমরা ঠিক আধুনিক হতে পারিনি তেমনি স্মার্ট তো না।তবে ভাব মারতে বেশ পারি,ভাব মারতে কেউ কারো কম যায় না বা তার চেয়েও আরো অধিক পারি।
আশার কথা হচ্ছে,আস্তে আস্তে বর্তমান প্রজম্ম ; খুব আস্তে ধীরে খুব আত্নসচেতন হচ্ছে। অল্প কয়েকজন কে দেখছি নিজের মাতৃভাষা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন, কাজেই কিছু একটা করার চিন্তা ভাবনা করছে। হয়তো কাজটা করে ফেলবে, দেখলাম বিরাট বিরাট স্বপ্ন দেখে। তবে গ্যারান্টি দিতে পারি না যে, আসলেই কাজগুলে বাস্তবায়ন হবে।তবে কাজটা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে জাতির জন্য এক মাইফলক হয়ে দাঁড়াবে।যারা কাজ করবে শুনলাম,সেই পুলাপাইনদের কেউ তেমন সাহায্যে করছে না,সবাই বলে কাজটা করো সাথে আছি, কিন্তুু যখন পাশে থাকা দরকার তখন উনাদের পাশে পাওয়া যায় না।পুলাপাইনরা এমন এক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আসলেই কষ্টদায়ক ব্যাপার।যাইহোক শেষ পর্যন্ত দেখি পুলাপাইন গুলো কাজ করতে পারে কিনা!তবে তারা যদি কাজটা করতে না পারে তাতেও আমি দোষ দিব না।কারন চেষ্টা তো করে দেখেছে হয়তো নানা সমস্যার কারনে কাজটা সম্পূর্ণ করতে পারেনি। যদি ভবিষ্যতে কেউ করতে চাই, তাহলে ভুলের মাশুল থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করতে পারবে,যারা কাজ করতে চেয়েছিল কিন্তুু নানা করতে পারে নাই পরামর্শ কাজে দিবে ।আমরা কিন্তুু জানি আমাদের মাতৃভাষা অনেক সমৃদ্ধ, এমন এমন শব্দ আছে যা বাংলা বা ইংরেজী দিয়েও বুঝানো যায় না।ফলত এমন শব্দ শুধু আমাদের গারো ভাষাতেই আছে যা সঠিক বাক্য বা অর্থ বোঝাতে সহায়তা করে।গারো ভাষা একটি সমৃদ্ধতম ভাষা,ভাষার মধ্যেও অনেক পার্থক্য দেখা যায়।গারো হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন গোত্রের ভাষা কিন্তুু এক না মোটামোটি সবগুলোয় আলাদা আলাদা।এখন অনেকে আছে ভাষা নিয়ে কাজ করছে।আমরা প্রায় পাঁচজন ব্যক্তি পাব যারা গারো বর্ণমালা আবিষ্কার করেছেন।কিন্তুু শেষ পর্যন্ত কোনটাই গ্রহণযোগ্যতা পাইনি।অনেকে আবার বর্ণমালা দিয়ে স্কুল পরিচালনা করেছে, কত দূর অগ্রসর হতে পেরেছে সেটা জানি না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইবুকে আমরা “Songsarek-সাংসারেক” নামে একটা পেজ দেখতে পাবো।পেজের অডমিন রা নিজেদের মাতৃভাষায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের খবর ছবি পোস্ট করে।আমি মনে করি এটা একটা ভালো দিক।এছাড়াও অনেক চেটিং গ্রুপ আছে যেখানে নিজেদের ভাষা ব্যবহার করা হয়।এত সব হচ্ছে তার পরেও কিন্তুু উদ্যোগ গুলো সীমিত আকারে হচ্ছে।খুব ছোট পরিসরে হচ্ছে বিধায় ফলাফল এত সুখকর বলে আমি মনে করি না।আমাদের নিজে থেকে আত্নসচেতন হতে হবে।আমাদের মাতৃভাষা আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে।আমরা এখন পড়াশুনা করি বড় বড় সার্টিফিকেট আছে,কিন্তুু নিজের মাতৃভাষায় যদি কথা বলতে না পারি।তাহলে এত আধুনিক,স্মার্ট, সার্টিফিকেটের মানে কী দাঁড়াল? অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এতকিছু বললাম, কিন্তুু আমি নিজেই বাংলা ভাষাতে লিখছি,বাংলাতে লেখার কারন আছে।আমি যদি মাতৃভাষায় লিখতাম কতজন পড়তো কে জানে?বাংলাতে কমবেশি যত জন পড়বে তার কম পড়বে গারো ভাষাতে।আমরা ঠিক এখনো নিজের ভাষায় কোন কিছু লেখা পড়ার অভ্যস্ত করতে পারিনি।মন থেকে এখনো ভালোবাসার জায়গাটুকু সৃষ্টি করতে পারিনি।আমাদের সকলের উচিত নিজের মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করা এবং অন্যজনকে মাতৃভাষা ব্যবহারে উৎসাহ দান করা।আমরা অনেক ভাবে ভাষা ব্যবহার করতে পারি এবং যুগ যুগ ধরে ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি।এই বর্তমান সময়ে আমরা প্রত্যেকে ফেইবুক চালায় চেটিং বা পোস্ট করার সময় আমরা মাতৃভাষা ব্যবহার করতে পারি।কোন আড্ডা বা প্রয়োজনীয় আলাপ চলাকালীন ব্যবহার করতে পারি।দ্বিতীয় ভাষার লোক উপস্থিত না থাকলে নিজের ভাষায় ব্যবহার করতে পারি।যদি কোন ব্যক্তি প্রতিনিয়ত অন্য ভাষা ব্যবহার করে তাকে সচেতন মূলক কথা বলতে পারি বা ভাষা ব্যবহারে প্রয়োজনীয়তা বলতে পারি।
এছাড়াও নিজ নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হয়ে অন্যকে সচেতন করতে পারি।যারা বলে গারো ভাষা পরিপূর্ণ না কিনবা উন্নত মানের না তাদের সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করি এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাই।আমরা অনেক ভাবে ভাষা শিখতে পারি। যেমন,এখন তো সবার হাতেই মোবাইল ফোন আমরা” A.chik. ki.tap pp Downloa “ করতে পারি।আমি মনে করি এই অপস আম্দের প্রাত্যহিক জীবনে কাজে দিবে।এছাড়াও" A.chik" বাইবেল সংগ্রহ করতে পারি।যে কোন ভাবে হোক বা যার কাছে আছে তার কাছ থেকে আমরা ডিকশনারি সংগ্রহ করতে পারি।আমরা গুগল এর সাহায্যও নিতে পারি,গুগলে সার্চ দিলে অনেক লেখা দেখতে পাব।মেঘালয় রাজ্যের অনেক গারো অনলাইন গ্রু আছে যেখান থেকে আমরা প্রতিদিন আপডেট নিউজ পেতে পারি। এছাড়াও আমরা ভারতের গারোদের সাথে চেটিং করতে পারি।আমাদের ইচ্ছা থাকলে অনেক উপায়ে শিখতে পারি।
এখন প্রশ্ন হতে পারে এত কষ্ট করে শিখে লাভ কি?সব জায়গায় আমরা লাভ খুজি,লাভ না থাকলে আমরা কোন কাজ করতে চাই না ,লাভ ছাড়া কেমন যেন বৃথা মনে হয়।যাই হোক,তার পরেও কিন্তু লাভ আছে।লাভের জায়গা নিজেই বের করে ফেলো, আমি অবশ্য বলব না ,কষ্ট করে বের করে কাজ শুরু করে দাও।সত্যি বলছি লাভের অংক বিশাল।তার পরেও একটা বলি, এখন কিন্তু সরকারী ভাবে প্রাইমারী স্কুলের জন্য প্রতি বছর বই এর কাজ করা হয়। মোট ৫ টা জাতিগোষ্ঠির জন্য আপাতোত কাজ চলছে । সেই হিসাবে যদি নিজের মাতৃভাষা আয়ত্বে থাকে তাহলে কাজের সুযোগ আছে।
সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে পারো ।
বর্তমান তরুণ প্রজম্মের কাছে আমার আহ্বান থাকবে, নিজের মাতৃভাষার মতো কোন ভাষা হয় না। নিজে সচেতন হন,অন্যকে সচেতন হতে অনুপ্রেরণা দিন।
গারো ভাষা←💗💗💗
মাতৃভাষায় কথা বলতে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে,আসলে নিজের মাতৃভাষারর মতো স্বাদ কোনটাই হয় না। আমরা জানি ভাষা ছাড়া কোন জাতির অস্তিত্ব থাকতে পারে না।ভাষা হচ্ছে একটি জাতির প্রাণ।আমরা জানি নিজের ভাষা কোন দিন বর্বর হতে পারে না,অন্য ভাষায় মানায় না,তার পরেও নিজের ভাষা ছেড়ে অন্য ভাষায় কথা বলি।আমরা দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ বা তার চেয়ে অধিক ভাষা শিখতে পারি ,তবে নিজের ভাষাকে বির্সজন দিয়ে নয়।নিজের ভাষাকে ছেড়ে অন্য ভাষাকে যদি অধিক মানসম্মত মনে করি সেটা কিন্তুু আমাদেরি ব্যর্থতা। অন্য ভাষা যেমন সমৃদ্ধ তেমনি আমাদের ভাষাও সমৃদ্ধ। হয়তো আমরা জানি না বলে গুরুত্ববহ মনে করি না, জানি না বলে প্রতিনিয়ত হেয় প্রতিপন্ন করি।আমরা অতীতে নজির দেখেছি নিজের মাতৃভাষারর জন্য প্রাণ দিতে, ভাষার জন্য আন্দোলন করতে,অতীত ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।তার পরেও আমরা যদি সচেতন না হই বুঝতে অক্ষম হয়,তাহলে নিজেদের কে নিজেরাই ধ্বংস করছি।একদিন আস্তে আস্তে আমরা শেষ হয়ে যাব হয়তো আমরা শেষের দিকে। আমরা নিজেরা নিজেরা থাকলে অন্য ভাষা ব্যবহার করি।কিন্তুু ব্যবহার কী অতি প্রয়োজন? আমার তো মনে হয় না।নিজেরা নিজেরা কথা বললে অসুবিধা হওয়ার তো কথা না, তার পরেও আমরা অন্য ভাষা দিয়ে কথা বলি। নিজেদেরকে আমরা খুব আধুনিক মনে করি,অনেক স্মার্ট, কিন্তুু কত যে আধুনিক হতে পেরেছি আমাদের প্রায় ধারণার বাইরে।আমরা ঠিক আধুনিক হতে পারিনি তেমনি স্মার্ট তো না।তবে ভাব মারতে বেশ পারি,ভাব মারতে কেউ কারো কম যায় না বা তার চেয়েও আরো অধিক পারি।
আশার কথা হচ্ছে,আস্তে আস্তে বর্তমান প্রজম্ম ; খুব আস্তে ধীরে খুব আত্নসচেতন হচ্ছে। অল্প কয়েকজন কে দেখছি নিজের মাতৃভাষা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন, কাজেই কিছু একটা করার চিন্তা ভাবনা করছে। হয়তো কাজটা করে ফেলবে, দেখলাম বিরাট বিরাট স্বপ্ন দেখে। তবে গ্যারান্টি দিতে পারি না যে, আসলেই কাজগুলে বাস্তবায়ন হবে।তবে কাজটা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে জাতির জন্য এক মাইফলক হয়ে দাঁড়াবে।যারা কাজ করবে শুনলাম,সেই পুলাপাইনদের কেউ তেমন সাহায্যে করছে না,সবাই বলে কাজটা করো সাথে আছি, কিন্তুু যখন পাশে থাকা দরকার তখন উনাদের পাশে পাওয়া যায় না।পুলাপাইনরা এমন এক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আসলেই কষ্টদায়ক ব্যাপার।যাইহোক শেষ পর্যন্ত দেখি পুলাপাইন গুলো কাজ করতে পারে কিনা!তবে তারা যদি কাজটা করতে না পারে তাতেও আমি দোষ দিব না।কারন চেষ্টা তো করে দেখেছে হয়তো নানা সমস্যার কারনে কাজটা সম্পূর্ণ করতে পারেনি। যদি ভবিষ্যতে কেউ করতে চাই, তাহলে ভুলের মাশুল থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করতে পারবে,যারা কাজ করতে চেয়েছিল কিন্তুু নানা করতে পারে নাই পরামর্শ কাজে দিবে ।আমরা কিন্তুু জানি আমাদের মাতৃভাষা অনেক সমৃদ্ধ, এমন এমন শব্দ আছে যা বাংলা বা ইংরেজী দিয়েও বুঝানো যায় না।ফলত এমন শব্দ শুধু আমাদের গারো ভাষাতেই আছে যা সঠিক বাক্য বা অর্থ বোঝাতে সহায়তা করে।গারো ভাষা একটি সমৃদ্ধতম ভাষা,ভাষার মধ্যেও অনেক পার্থক্য দেখা যায়।গারো হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন গোত্রের ভাষা কিন্তুু এক না মোটামোটি সবগুলোয় আলাদা আলাদা।এখন অনেকে আছে ভাষা নিয়ে কাজ করছে।আমরা প্রায় পাঁচজন ব্যক্তি পাব যারা গারো বর্ণমালা আবিষ্কার করেছেন।কিন্তুু শেষ পর্যন্ত কোনটাই গ্রহণযোগ্যতা পাইনি।অনেকে আবার বর্ণমালা দিয়ে স্কুল পরিচালনা করেছে, কত দূর অগ্রসর হতে পেরেছে সেটা জানি না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইবুকে আমরা “Songsarek-সাংসারেক” নামে একটা পেজ দেখতে পাবো।পেজের অডমিন রা নিজেদের মাতৃভাষায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের খবর ছবি পোস্ট করে।আমি মনে করি এটা একটা ভালো দিক।এছাড়াও অনেক চেটিং গ্রুপ আছে যেখানে নিজেদের ভাষা ব্যবহার করা হয়।এত সব হচ্ছে তার পরেও কিন্তুু উদ্যোগ গুলো সীমিত আকারে হচ্ছে।খুব ছোট পরিসরে হচ্ছে বিধায় ফলাফল এত সুখকর বলে আমি মনে করি না।আমাদের নিজে থেকে আত্নসচেতন হতে হবে।আমাদের মাতৃভাষা আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে।আমরা এখন পড়াশুনা করি বড় বড় সার্টিফিকেট আছে,কিন্তুু নিজের মাতৃভাষায় যদি কথা বলতে না পারি।তাহলে এত আধুনিক,স্মার্ট, সার্টিফিকেটের মানে কী দাঁড়াল? অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এতকিছু বললাম, কিন্তুু আমি নিজেই বাংলা ভাষাতে লিখছি,বাংলাতে লেখার কারন আছে।আমি যদি মাতৃভাষায় লিখতাম কতজন পড়তো কে জানে?বাংলাতে কমবেশি যত জন পড়বে তার কম পড়বে গারো ভাষাতে।আমরা ঠিক এখনো নিজের ভাষায় কোন কিছু লেখা পড়ার অভ্যস্ত করতে পারিনি।মন থেকে এখনো ভালোবাসার জায়গাটুকু সৃষ্টি করতে পারিনি।আমাদের সকলের উচিত নিজের মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করা এবং অন্যজনকে মাতৃভাষা ব্যবহারে উৎসাহ দান করা।আমরা অনেক ভাবে ভাষা ব্যবহার করতে পারি এবং যুগ যুগ ধরে ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি।এই বর্তমান সময়ে আমরা প্রত্যেকে ফেইবুক চালায় চেটিং বা পোস্ট করার সময় আমরা মাতৃভাষা ব্যবহার করতে পারি।কোন আড্ডা বা প্রয়োজনীয় আলাপ চলাকালীন ব্যবহার করতে পারি।দ্বিতীয় ভাষার লোক উপস্থিত না থাকলে নিজের ভাষায় ব্যবহার করতে পারি।যদি কোন ব্যক্তি প্রতিনিয়ত অন্য ভাষা ব্যবহার করে তাকে সচেতন মূলক কথা বলতে পারি বা ভাষা ব্যবহারে প্রয়োজনীয়তা বলতে পারি।
এছাড়াও নিজ নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হয়ে অন্যকে সচেতন করতে পারি।যারা বলে গারো ভাষা পরিপূর্ণ না কিনবা উন্নত মানের না তাদের সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করি এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাই।আমরা অনেক ভাবে ভাষা শিখতে পারি। যেমন,এখন তো সবার হাতেই মোবাইল ফোন আমরা” A.chik. ki.tap pp Downloa “ করতে পারি।আমি মনে করি এই অপস আম্দের প্রাত্যহিক জীবনে কাজে দিবে।এছাড়াও" A.chik" বাইবেল সংগ্রহ করতে পারি।যে কোন ভাবে হোক বা যার কাছে আছে তার কাছ থেকে আমরা ডিকশনারি সংগ্রহ করতে পারি।আমরা গুগল এর সাহায্যও নিতে পারি,গুগলে সার্চ দিলে অনেক লেখা দেখতে পাব।মেঘালয় রাজ্যের অনেক গারো অনলাইন গ্রু আছে যেখান থেকে আমরা প্রতিদিন আপডেট নিউজ পেতে পারি। এছাড়াও আমরা ভারতের গারোদের সাথে চেটিং করতে পারি।আমাদের ইচ্ছা থাকলে অনেক উপায়ে শিখতে পারি।
এখন প্রশ্ন হতে পারে এত কষ্ট করে শিখে লাভ কি?সব জায়গায় আমরা লাভ খুজি,লাভ না থাকলে আমরা কোন কাজ করতে চাই না ,লাভ ছাড়া কেমন যেন বৃথা মনে হয়।যাই হোক,তার পরেও কিন্তু লাভ আছে।লাভের জায়গা নিজেই বের করে ফেলো, আমি অবশ্য বলব না ,কষ্ট করে বের করে কাজ শুরু করে দাও।সত্যি বলছি লাভের অংক বিশাল।তার পরেও একটা বলি, এখন কিন্তু সরকারী ভাবে প্রাইমারী স্কুলের জন্য প্রতি বছর বই এর কাজ করা হয়। মোট ৫ টা জাতিগোষ্ঠির জন্য আপাতোত কাজ চলছে । সেই হিসাবে যদি নিজের মাতৃভাষা আয়ত্বে থাকে তাহলে কাজের সুযোগ আছে।
সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে পারো ।
বর্তমান তরুণ প্রজম্মের কাছে আমার আহ্বান থাকবে, নিজের মাতৃভাষার মতো কোন ভাষা হয় না। নিজে সচেতন হন,অন্যকে সচেতন হতে অনুপ্রেরণা দিন।
আমি "আ'চিক ভাষা" শিখতে প্রয়োজনীয় উপকরণ খুঁজে ফিরছি, কিন্তু কোথাও পাচ্ছি না।
ReplyDeleteযদি ভাষা শিক্ষার উপকরণ সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন, তবে কৃতজ্ঞ থাকবো।
ধন্যবাদ।