!!পাবলিক স্পিকিং বনাম প্রেজেন্টেশন!!.
Probin Tripura
!!পাবলিক স্পিকিং বনাম প্রেজেন্টেশন!!
পাবলিক স্পিকিং আর প্রেজেন্টেশন এ দুটিকে একই মনে হলেও কিন্তু এরা একে অপরের থেকে পুরোপুরি আলাদা। সাধারন অর্থে পাবলিক স্পিকিং মানে কোন অনুষ্ঠানে বা অনেকগুলো মানুষের সম্মুখে কথা বলা। আর প্রেজেন্টেশন মানে হল কোন মিটিংয়ে, ক্লাসে বা কর্মস্থলে আনুষ্ঠানিক কোন বৈঠকে সবার সামনে একটি বিষয়ের উপর তথ্য উপস্থাপন করা। আমরা যদি পুরোপুরি ভিন্ন এই দুটিকে জিনিসকে এক করে ফেলি তাহলে আমরা কোনভাবেই ভালো একজন পাবলিক স্পিকার অথবা ভালো একজন প্রেজেন্টর কখনো হতে পারবো না। এখন প্রশ্ন হতে পারে যে কেন দুটি এক নই? আর কেনই বা এই দুটি জিনিস একে অপরের থেকে পুরোপুরি আলাদা। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি নিচে ব্যাখার মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
পাবলিক স্পিকিং মূলত অনেক মানুষের সামনে কথা বলাকেই বুঝানো হয়। এটি হতে পারে কোন অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে কথা বলা বা কোন জনসম্মুখে কথা বলা। এখানে একটা প্রধান বিষয় যা প্রেজেন্টেশন থেকে এটিকে ভিন্ন করে রেখেছে তা হল ফরমালিটি বা আনুষ্ঠানিকতা। এক্ষেত্রে আপনাকে কোন নিয়ম- কানুন বা ফরমালিটি (আনুষ্ঠানিকতা) বজায় রাখতে হইনা। অর্থাৎ পাবলিক স্পিকিংয়ে সচরাচর কোন ফরমালিটি (আনুষ্ঠানিকতা) বজায় রাখার প্রয়োজন নেই। আপনি সুন্দর করে মানুষের সম্মুখে কথা বলতে পারলেই আপনি একজন ভালো পাবলিক স্পিকার হতে পারবেন। অন্যদিকে প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ফরমালিটি মেইনটেইন করতে হবে। সেটা হতে পারে কথা বলার সময় শুধু মাত্র একটি ভাষা ব্যবাহার সেটি ইংরেজী অথবা বাংলা, পোষাক পরিচ্ছদ ফরমাল হতে হবে এবং ফরমাল ওয়েতেই আপনার তথ্য উপস্থাপন করতে হবে।
এখানে আপনি এমনভবে কথা বলতে পারবেন না যাতে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠনিকতা ভঙ্গ হয়। কথা বলার সময় ফিক করে হেঁসে দিতে পারবেন না। কেউ প্রশ্ন করলে খুব সুন্দর করে প্রশ্নটির উত্তর দিতে হবে। অর্থাৎ প্রধান যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে একটিতে ফরমালিটি মেইনটেইন করতে হবে না আর অন্যটিতে মেইনটেইন করতে হবে। আমি অনেককেই দেখেছি যারা বিষয়টি না জানার কারনে তাদের প্রেজেন্টেশন খুব সুন্দরভাবে দেওয়ার স্বত্বেও তারা ক্লাসের প্রেজেন্টেশনে ভালো নম্বর পাইনা বা পারর্ফরমেনস ভালো করতে পারেনা। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ্য বিষয় সেটি হচেছ পাবলিক স্পিকিংয়ে আপনি আপনার ভয়েস (স্বর) উচ্চ ও নিচু আপনার ইচ্ছামত রাখনে পারবেন তবে প্রেজেন্টেশনে আপনাকে আপনার ভয়েস একটা পজিসনে রাখতে হবে অর্থাৎ বেশি উচ্চ বা নিচু ভয়েসে কথা বলতে পারবেন না। এই দুটির পার্থক্য ভালোভাবে বুঝানোর জন্য নিচে পার্থক্যগুলো দেখাচ্ছি।
পাবলিক স্পিকিং:
১। ফরমাল হাওয়া বাঞ্চনীয় নয়
২। যে কোন ভাষা ব্যবহারের স্বাধীনতা আছে
৩। সময় নির্ধারিত থাকতেও পারে আবার না থাকতেও পারে
৪। যে কোন ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন
৫। অনুষ্ঠান বা জনসম্মুখে
প্রেজেন্টেশন:
১। ফরমাল হাওয়া বাঞ্চনীয়
২। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাষা নির্ধারিত থাকবে
৩। সময় নির্ধারিত থাকবে
৪। ফরমাল ভাবেই উপস্থাপন করতে হবে
৫। ক্লাস, প্রতিযোগিতা বা অফিসিয়াল মিটিং
বি.দ্র: পাবলিক স্পিকিং ও প্রেজেন্টেশনের উপর আমার যতটুকু ধারনা আছে তার উপর ভিত্তি করে আমি এটি লেখার চেষ্টা করেছি। হইতবা আমাদের লেখার মধ্যেও ভুল থাকতে পারে। সুতরাং ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। তবে, আমার লেখটি পড়ে কারও যদি একটুও উপকার হয় তাহলেই আমার লেখা সার্থক হবে এবং আরও ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা জোগাবে।
প্রবীন ত্রিপুরা, চেন্জ মেকার, উপস্থাপক ও পাবলিক স্পিকার।
!!পাবলিক স্পিকিং বনাম প্রেজেন্টেশন!!
পাবলিক স্পিকিং আর প্রেজেন্টেশন এ দুটিকে একই মনে হলেও কিন্তু এরা একে অপরের থেকে পুরোপুরি আলাদা। সাধারন অর্থে পাবলিক স্পিকিং মানে কোন অনুষ্ঠানে বা অনেকগুলো মানুষের সম্মুখে কথা বলা। আর প্রেজেন্টেশন মানে হল কোন মিটিংয়ে, ক্লাসে বা কর্মস্থলে আনুষ্ঠানিক কোন বৈঠকে সবার সামনে একটি বিষয়ের উপর তথ্য উপস্থাপন করা। আমরা যদি পুরোপুরি ভিন্ন এই দুটিকে জিনিসকে এক করে ফেলি তাহলে আমরা কোনভাবেই ভালো একজন পাবলিক স্পিকার অথবা ভালো একজন প্রেজেন্টর কখনো হতে পারবো না। এখন প্রশ্ন হতে পারে যে কেন দুটি এক নই? আর কেনই বা এই দুটি জিনিস একে অপরের থেকে পুরোপুরি আলাদা। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি নিচে ব্যাখার মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
পাবলিক স্পিকিং মূলত অনেক মানুষের সামনে কথা বলাকেই বুঝানো হয়। এটি হতে পারে কোন অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে কথা বলা বা কোন জনসম্মুখে কথা বলা। এখানে একটা প্রধান বিষয় যা প্রেজেন্টেশন থেকে এটিকে ভিন্ন করে রেখেছে তা হল ফরমালিটি বা আনুষ্ঠানিকতা। এক্ষেত্রে আপনাকে কোন নিয়ম- কানুন বা ফরমালিটি (আনুষ্ঠানিকতা) বজায় রাখতে হইনা। অর্থাৎ পাবলিক স্পিকিংয়ে সচরাচর কোন ফরমালিটি (আনুষ্ঠানিকতা) বজায় রাখার প্রয়োজন নেই। আপনি সুন্দর করে মানুষের সম্মুখে কথা বলতে পারলেই আপনি একজন ভালো পাবলিক স্পিকার হতে পারবেন। অন্যদিকে প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ফরমালিটি মেইনটেইন করতে হবে। সেটা হতে পারে কথা বলার সময় শুধু মাত্র একটি ভাষা ব্যবাহার সেটি ইংরেজী অথবা বাংলা, পোষাক পরিচ্ছদ ফরমাল হতে হবে এবং ফরমাল ওয়েতেই আপনার তথ্য উপস্থাপন করতে হবে।
Probin Tripura
এখানে আপনি এমনভবে কথা বলতে পারবেন না যাতে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠনিকতা ভঙ্গ হয়। কথা বলার সময় ফিক করে হেঁসে দিতে পারবেন না। কেউ প্রশ্ন করলে খুব সুন্দর করে প্রশ্নটির উত্তর দিতে হবে। অর্থাৎ প্রধান যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে একটিতে ফরমালিটি মেইনটেইন করতে হবে না আর অন্যটিতে মেইনটেইন করতে হবে। আমি অনেককেই দেখেছি যারা বিষয়টি না জানার কারনে তাদের প্রেজেন্টেশন খুব সুন্দরভাবে দেওয়ার স্বত্বেও তারা ক্লাসের প্রেজেন্টেশনে ভালো নম্বর পাইনা বা পারর্ফরমেনস ভালো করতে পারেনা। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ্য বিষয় সেটি হচেছ পাবলিক স্পিকিংয়ে আপনি আপনার ভয়েস (স্বর) উচ্চ ও নিচু আপনার ইচ্ছামত রাখনে পারবেন তবে প্রেজেন্টেশনে আপনাকে আপনার ভয়েস একটা পজিসনে রাখতে হবে অর্থাৎ বেশি উচ্চ বা নিচু ভয়েসে কথা বলতে পারবেন না। এই দুটির পার্থক্য ভালোভাবে বুঝানোর জন্য নিচে পার্থক্যগুলো দেখাচ্ছি।
পাবলিক স্পিকিং:
১। ফরমাল হাওয়া বাঞ্চনীয় নয়
২। যে কোন ভাষা ব্যবহারের স্বাধীনতা আছে
৩। সময় নির্ধারিত থাকতেও পারে আবার না থাকতেও পারে
৪। যে কোন ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন
৫। অনুষ্ঠান বা জনসম্মুখে
প্রেজেন্টেশন:
১। ফরমাল হাওয়া বাঞ্চনীয়
২। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাষা নির্ধারিত থাকবে
৩। সময় নির্ধারিত থাকবে
৪। ফরমাল ভাবেই উপস্থাপন করতে হবে
৫। ক্লাস, প্রতিযোগিতা বা অফিসিয়াল মিটিং
বি.দ্র: পাবলিক স্পিকিং ও প্রেজেন্টেশনের উপর আমার যতটুকু ধারনা আছে তার উপর ভিত্তি করে আমি এটি লেখার চেষ্টা করেছি। হইতবা আমাদের লেখার মধ্যেও ভুল থাকতে পারে। সুতরাং ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। তবে, আমার লেখটি পড়ে কারও যদি একটুও উপকার হয় তাহলেই আমার লেখা সার্থক হবে এবং আরও ভালো কিছু লেখার অনুপ্রেরণা জোগাবে।
প্রবীন ত্রিপুরা, চেন্জ মেকার, উপস্থাপক ও পাবলিক স্পিকার।
No comments