ক্যাম্পাস টু ধোবাউড়া।।গারো গ্রাম-৭।।
Jadil Mri
ক্যাম্পাস টু ধোবাউড়া
#কবি মতেন্দ্র মানখিন #কবি মিঠুন রাকসাম #কবি পরাগ রিছিল # কবি শাওন রিছিল # জাডিল মৃ
অনেক দিন পর আবার ধোবাউড়ায় আসলাম,এই বার প্রথম ধোবাউড়ায় এসে পরিবেশ বাতাস আমার কাছে অন্য রকম লাগলো। এই কারন খুঁজতে গিয়ে মোটামোটি একটা সিদ্ধাতে পৌঁছালাম যে,এই প্রথম সমতল আদিবাসীদের মধ্যে ধোবাউড়ায় গারো জাতিগোষ্ঠী থেকে উপজেলা চেয়্যারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।ইতিহাসের সাক্ষী আমি,আমি ইতিহাস দেখেছি, এই ধোবাউড়ায়।নব নির্বাচিত চেয়্যারম্যানের বাড়ি দেখলাম, আরো দেখলাম উনার জনপ্রিয়তা। মানে আমরা যে অটোতে আসছি,তিনি ছিলেন একজন বাঙালি। তিনি আমাদের সাথে আলাপ করছিলেনন বর্তমান চেয়ারম্যান কে নিয়ে।উনার কথা গুলো শুনে মনটা ভরে গেল, মনে মনে ভাবছিলাম এমন কী কাজ করলে মানুষ এত জনপ্রিয়তা পায়?
আজকে আমরা বান্ধবীর বাড়িতে উপস্থিত, ঠিক ভালুকাপাড়া মিশনের পিছনে।প্রথম দেখাতে জায়গাটা আমার ভালো লেগেছে যদিওবা বাজার অনেক দূর তথাপি আশেপাশে বাড়ি ঘর থাকলেও শুনসান নিরবতা কোন হইছই নাই।আবার বাড়ির সামনে মস্ত বড় নদী রয়েছে নাম তার নিতাই নদী, দেখতে অনেক সুন্দর, মন খারাপ থাকলে এক নিমিষেই ভালো করে দিবে।আসলেই জায়গা প্রকারভেদে থাকার কাারনে প্রকৃতি পরিবেশ ভিন্ন থাকে।এর আগে ধোবাউড়াতে অনেক বার এসেছি কিন্তুু এই বার অন্য রকম লেগেছে।আবার বর্ডার সাইটে গিয়েছিলাম,আমি দূর থেকে দেখেছি।হাহাহাহাহাহা।
বর্ডার নিয়ে মজার কাহিনী আছে,সেটা আজকে থাক।
এর আগে যত বার গিয়েছি সম্ভবত ততবার দেখেছি রাস্তার একি অবস্থা, এখন তো যাওয়া রাস্তা আরো খারাপ।শহরে বেহাল রাস্তা থাকলে কেমন যেন বেমানান লাগে।অবশ্য দেখলাম রাস্তা তৈরির জন্য খুঁড়াখুঁড়ি করছে,বোধয় রাস্তা হয়ে যাবে।
এবার প্রথম, আমার কাছে মনে হচ্ছে যার যার জম্মভূমি বা নিজের বাড়ির মতো কোন জায়গা হতে পারে না।আমি শুধু এইটা ভাবতে পছন্দ করতাম মান্দি এলাকার মধ্যে স্বর্গের জায়গা হচ্ছে মধুপুর, মধুপুরের মতো সুন্দর আর সম্পদশালী কোন এলাকা নাই।মানে সব সময় মধুপুরে জম্ম গ্রহণ করেছি বলে খুব গর্ব হতো কোন মতে অন্য এলাকা পারফেক্ট মনে হতো না।এই সাময়িক সময়ে এসে মনে হচ্ছে যার যার এলাকা ভিন্ন ভিন্ন দিক দিয়ে সম্পদশালী।সেটা যদি একটু গভীর ভাবে পর্যালোচনা করতে যাই তাহলেই সেটা অনুভব করতে পারবো তার আগে না।
নিতাই নদী নিয়ে অনেক আগে একটা গান শুনেছিলামম।আজকে অনেক চেষ্টা করলাম গান শুনবো, কিন্তু ব্যর্থ আমি।যাই হোক, যখন শুনলাম আমি নিতাই নদীর পারে বসে আছি নিতাই নদীর পানি নিয়ে খেলছি,কেমন যেন আবেগ প্রবণ হয়ে গেলাম।ভাবছিলাম অনেক বার গান শুনেছি গানের মর্ম এতদিন বুঝি নাই, সেই জন্য মনের আক্ষেপ বেড়ে গেল।
আমার ইচ্ছা ছিল,যতটুকু পারা যায় মান্দি গ্রাম ঘুরে বেড়ানো জীবনযাপন কাছ থেকে দেখা মানুষের সাথে মেলা মেশা কথা বার্তা বলা এবং শুনা...ইত্যাদি।তবে যতটুকু পারা যায় ঘুরছি দেখছি যদি ঈশ্বর আমাকে সেই সামর্থ্যটটুকু দেয় হয়তো একদিন পুরো মান্দি গ্রাম ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হবে।
হুটহাট করেই আমরা সিদ্ধাত নিয়ে ধোবাউড়ায় এসেছিলাম। কিন্তুু ভ্রমণ যে এত মধুর এবং কষ্টর হবে এটা কল্পনার বাইরে ছিল। কোন কিছুতে আমাদের চিন্তা করতে হয়নি,আমাদের বান্ধবী ডায়না সবকিছু ঠিক করেছে, তার বাড়িতে থাকছি, কোন সমস্যা ছাড়া খুব আরামে আছি।আমরা ক্যাম্পাস থেকে মোট সাত জন আসছি,আমরা সবাই ভবঘুরে টাইপের। ভবঘুরে বললে ঠিক হবে না, কারন ভবঘুরে হওয়ার যোগ্যতা আমাদের কারোরি নাই।এক কথায় আমরা সবাই ঘুরতে ভালোবাসি, আমরা প্রচুর ঘুরি, কোন উদ্দেশ্য ছাড়া।
আমরা মূলত আসছিলাম কবি ও লেখক গুরু মতেন্দ্র মানখিনের নিজ বাড়িতে "ছায়াকানন উৎসবে" অনুষ্ঠানে ।
আয়োজনে ছিল"থকবিরিম"।
তারিখ-২ থেকে ৪ মে ২০১৯।
আমি নাই |
ক্যাম্পাস টু ধোবাউড়া
#কবি মতেন্দ্র মানখিন #কবি মিঠুন রাকসাম #কবি পরাগ রিছিল # কবি শাওন রিছিল # জাডিল মৃ
অনেক দিন পর আবার ধোবাউড়ায় আসলাম,এই বার প্রথম ধোবাউড়ায় এসে পরিবেশ বাতাস আমার কাছে অন্য রকম লাগলো। এই কারন খুঁজতে গিয়ে মোটামোটি একটা সিদ্ধাতে পৌঁছালাম যে,এই প্রথম সমতল আদিবাসীদের মধ্যে ধোবাউড়ায় গারো জাতিগোষ্ঠী থেকে উপজেলা চেয়্যারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।ইতিহাসের সাক্ষী আমি,আমি ইতিহাস দেখেছি, এই ধোবাউড়ায়।নব নির্বাচিত চেয়্যারম্যানের বাড়ি দেখলাম, আরো দেখলাম উনার জনপ্রিয়তা। মানে আমরা যে অটোতে আসছি,তিনি ছিলেন একজন বাঙালি। তিনি আমাদের সাথে আলাপ করছিলেনন বর্তমান চেয়ারম্যান কে নিয়ে।উনার কথা গুলো শুনে মনটা ভরে গেল, মনে মনে ভাবছিলাম এমন কী কাজ করলে মানুষ এত জনপ্রিয়তা পায়?
আজকে আমরা বান্ধবীর বাড়িতে উপস্থিত, ঠিক ভালুকাপাড়া মিশনের পিছনে।প্রথম দেখাতে জায়গাটা আমার ভালো লেগেছে যদিওবা বাজার অনেক দূর তথাপি আশেপাশে বাড়ি ঘর থাকলেও শুনসান নিরবতা কোন হইছই নাই।আবার বাড়ির সামনে মস্ত বড় নদী রয়েছে নাম তার নিতাই নদী, দেখতে অনেক সুন্দর, মন খারাপ থাকলে এক নিমিষেই ভালো করে দিবে।আসলেই জায়গা প্রকারভেদে থাকার কাারনে প্রকৃতি পরিবেশ ভিন্ন থাকে।এর আগে ধোবাউড়াতে অনেক বার এসেছি কিন্তুু এই বার অন্য রকম লেগেছে।আবার বর্ডার সাইটে গিয়েছিলাম,আমি দূর থেকে দেখেছি।হাহাহাহাহাহা।
বর্ডার নিয়ে মজার কাহিনী আছে,সেটা আজকে থাক।
এর আগে যত বার গিয়েছি সম্ভবত ততবার দেখেছি রাস্তার একি অবস্থা, এখন তো যাওয়া রাস্তা আরো খারাপ।শহরে বেহাল রাস্তা থাকলে কেমন যেন বেমানান লাগে।অবশ্য দেখলাম রাস্তা তৈরির জন্য খুঁড়াখুঁড়ি করছে,বোধয় রাস্তা হয়ে যাবে।
এবার প্রথম, আমার কাছে মনে হচ্ছে যার যার জম্মভূমি বা নিজের বাড়ির মতো কোন জায়গা হতে পারে না।আমি শুধু এইটা ভাবতে পছন্দ করতাম মান্দি এলাকার মধ্যে স্বর্গের জায়গা হচ্ছে মধুপুর, মধুপুরের মতো সুন্দর আর সম্পদশালী কোন এলাকা নাই।মানে সব সময় মধুপুরে জম্ম গ্রহণ করেছি বলে খুব গর্ব হতো কোন মতে অন্য এলাকা পারফেক্ট মনে হতো না।এই সাময়িক সময়ে এসে মনে হচ্ছে যার যার এলাকা ভিন্ন ভিন্ন দিক দিয়ে সম্পদশালী।সেটা যদি একটু গভীর ভাবে পর্যালোচনা করতে যাই তাহলেই সেটা অনুভব করতে পারবো তার আগে না।
নিতাই নদী |
নিতাই নদী নিয়ে অনেক আগে একটা গান শুনেছিলামম।আজকে অনেক চেষ্টা করলাম গান শুনবো, কিন্তু ব্যর্থ আমি।যাই হোক, যখন শুনলাম আমি নিতাই নদীর পারে বসে আছি নিতাই নদীর পানি নিয়ে খেলছি,কেমন যেন আবেগ প্রবণ হয়ে গেলাম।ভাবছিলাম অনেক বার গান শুনেছি গানের মর্ম এতদিন বুঝি নাই, সেই জন্য মনের আক্ষেপ বেড়ে গেল।
আমার ইচ্ছা ছিল,যতটুকু পারা যায় মান্দি গ্রাম ঘুরে বেড়ানো জীবনযাপন কাছ থেকে দেখা মানুষের সাথে মেলা মেশা কথা বার্তা বলা এবং শুনা...ইত্যাদি।তবে যতটুকু পারা যায় ঘুরছি দেখছি যদি ঈশ্বর আমাকে সেই সামর্থ্যটটুকু দেয় হয়তো একদিন পুরো মান্দি গ্রাম ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হবে।
হুটহাট করেই আমরা সিদ্ধাত নিয়ে ধোবাউড়ায় এসেছিলাম। কিন্তুু ভ্রমণ যে এত মধুর এবং কষ্টর হবে এটা কল্পনার বাইরে ছিল। কোন কিছুতে আমাদের চিন্তা করতে হয়নি,আমাদের বান্ধবী ডায়না সবকিছু ঠিক করেছে, তার বাড়িতে থাকছি, কোন সমস্যা ছাড়া খুব আরামে আছি।আমরা ক্যাম্পাস থেকে মোট সাত জন আসছি,আমরা সবাই ভবঘুরে টাইপের। ভবঘুরে বললে ঠিক হবে না, কারন ভবঘুরে হওয়ার যোগ্যতা আমাদের কারোরি নাই।এক কথায় আমরা সবাই ঘুরতে ভালোবাসি, আমরা প্রচুর ঘুরি, কোন উদ্দেশ্য ছাড়া।
কবিদের সাথে। |
আমরা মূলত আসছিলাম কবি ও লেখক গুরু মতেন্দ্র মানখিনের নিজ বাড়িতে "ছায়াকানন উৎসবে" অনুষ্ঠানে ।
আয়োজনে ছিল"থকবিরিম"।
তারিখ-২ থেকে ৪ মে ২০১৯।
No comments