"হরিপদ রিছিল গীতরঙ্গ বিদ্যাপীঠ ও গবেষণা কেন্দ্র"।। জাডিল মৃ।।
"হরিপদ রিছিল গীতরঙ্গ বিদ্যাপীঠ ও গবেষণা কেন্দ্র"
জাডিল মৃ
তরুণ লেখক এবং ব্লগার
ছবি-ফেইসবুক থেকে.. |
প্রথমেই বলে রাখি, আমি কোন সমালোচনা কিংবা পরামর্শ দেওয়ার জন্য লিখছি না।শুধু মাত্র মনের অভিব্যক্তি অনুভূতি প্রকাশের জন্য, এই লেখাটি।
প্রথমেই আমি জেনে খুব আনন্দিত এবং উচ্ছ্বাসিত হয়েছি।কারণ হরিপ্রেম ট্রাষ্ট-এর অধীনে-"Haripada Ritchil Dakbewal Nok Aroba Bewal Sandiani Biap" অর্থাৎ "হরিপদ রিছিল গীতরঙ্গ বিদ্যাপীঠ ও গবেষণা কেন্দ্র" প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন হবে।আগামী ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০, আসকিপাড়া গ্রামে অর্থাৎ প্রয়াত হরিপদ রিছিলের নিজ বাড়িতে । হরিপদ রিছিলের ১১১ তম জন্ম জয়ন্তী'র দিনে প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করা হবে।
এ প্রতিষ্ঠানের মূল ভিত্তি হলো শিক্ষা ও গবেষণা। এর অধীনে অনেকগুলো বিভাগ রয়েছে। যেমন-ঃ
- নাট্যকলা
- নৃত্যকলা
- চারুকলা
- সংগীত
- মিউজিয়াম
- পাঠভবন
- মাতৃভাষা শিক্ষা
- নাট্যকলা
- নৃত্যকলা
- চারুকলা
- সংগীত
- মিউজিয়াম
- পাঠভবন
- মাতৃভাষা শিক্ষা
হয়তোবা ভবিষ্যতে আরো নতুন বিভাগ যুক্ত হবে।এই প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা অনেক কিছুই পাবো, তা আশা রাখি।এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ এবং পথচলা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।সবেচেয়ে ভালো লাগার কারণ হচ্ছে পরিবারের নিজস্ব উদ্যোগে এবং হরিপ্রেম ট্রাষ্ট এর অধীনে কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।যেখানে স্বাধীনতা ভাবে কাজ করা যাবে বা করতে পারবে।ধর্মের বাইরে এসে এমন উদ্যোগ সত্যিই ভালো লাগে।এমন কার্যক্রমের উদ্যোগ বা কার্যক্রম পরিচালনা করে এমন হাতে গুণা কয়টা আছে(নিজস্ব উদ্যোগে)?যদি কার্যক্রম শুরু হয়ে যায় তাহলে সবেচেয়ে বেশি উপকৃত হবে "গারো" জাতি। অর্থাৎ আমাদের গর্বের যতগুলো উপাদান রয়েছে কিংবা যে উপাদান গুলোর কারণে আমরা আমাদের নিজস্বতা দাবি করি। তা দিন কে দিন হারিয়ে যাচ্ছে।বেশিদিন হয়তো নেই, সংক্ষণ ও চর্চার অভাবে যা আছে তাও হারিয়ে যাবে।তখন নিজস্বতা বলতে, বলার মতো কোন কিছু থাকবে না।ফলত,এই প্রতিষ্ঠানটি খুব মূখ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আশা রাখি।
এই যে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বা হবে, সেখানে আমার প্রত্যাশা থাকবে সবচেয়ে বেশি।আমার মতো অনেকের এমন প্রত্যাশা থাকতে পারে।আমি চাইবো শুধু মাত্র যেন আসকি পাড়াতেই এই প্রতিষ্ঠানটি সীমাবদ্ধ না থাকে।এর শাখা হোক যেখানে গারো অধ্যুষিত এলাকা সেখানে এবং গারো জাতি রক্ষাতেও যেন কাজ করে।যতগুলো বিভাগের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বা হবে। সবগুলো বিভাগ কে নিয়েই গবেষণা করা যাবে। এই গবেষণা উপাদান গুলোই আমার পছন্দের বিষয়।আমার মতো গবেষণাপ্রেমী বা গবেষণা করতে ইচ্ছুক ভবিষ্যতে গবেষণার প্রার্থী হয়ে থাকলাম।সুযোগ থাকলে, সুযোগ হলে গারো জাতিকে নিয়ে গবেষণা করতে চাই।আমার মতো ছোট মানুষের ভাগ্যে যদি জুটে আরিকি!
আরেকটা বিষয় আমার নজর কেড়েছে। প্রতিষ্ঠানের লোগো। আমার ব্যক্তিগত অভিমত, লোগো'টি আরো সুন্দর হতে পারতো।লোগোটি যদি আরেকটু এদিন সেদিন করা যায়।তাহলে মনে হয় আরো সুন্দর লাগবে।আমি বিশ্বাস করি,প্রতিষ্ঠানটি প্রতিভাবান ছেলেমেয়ে খুঁজে বের করবে।এবং প্রত্যেক বিভাগের জন্য আলাদা করে না হলেও একি সাথে প্রতিবছর প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। মানে নিজের প্রতিভা বিকাশে একটা প্লাটফর্ম যেন পাই।আরেকটা করলে কেমন হবে!আ'চিক ভাষায় যারা লেখালেখি করে বা করবে তাঁদের জন্য যদি আলাদা কিছু....!!!!!!
এই প্রতিষ্ঠানের জন্য সবসময় শুভকামনা থাকবে।উদ্বোধন এবং পথচলা সার্থক হোক,এই কামনা করি।
No comments