গারো গ্রাম "গোবরাকুড়া" হালুয়াঘাট(আ'ফাল)।।গারো গ্রাম-৮।। জাডিল মৃ।।
গারো গ্রাম "গোবরাকুড়া" হালুয়াঘাট(আ'ফাল)।।গারো গ্রাম-৮।। জাডিল মৃ।।
জাডিল মৃ
তরুণ লেখক এবং ব্লগার
গোবরাকুড়া গারো গ্রাম অন্ধকারে দেখা অস্পৃষ্ট এক অধ্যায়। প্রথম বারের মতো গিয়েছিলাম।যাওয়ার কাহিনী পরে বলছি। তার আগে অমুক সমুক নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।আমরা হালুয়াঘাট বাজারে রাত ৮টায় পৌঁছালাম।সিএনজি'তে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে হালুয়াঘাট বাজারে সামান্য (চা নাস্তা জন্য)বিশ্রাম নিলাম। চা পান করার সময়ে, হঠাৎ করেই জনপ্রিয় তরুণ কবি পরাগ রিছিল(দাদা), তরুণ কবি শাওন রিছিলকে(দাদা) ফোন দিল।কোন কিছু চিন্তা না করেই তরুণ কবি শাওন রিছিল(দাদা) সাদরে আমাদের কে আমন্ত্রণ জানালো এবং আমাদের আসাতে খুব খুশি হলেন।আমন্ত্রণের সুবাধে আমরাও মিষ্টি নিয়ে রওনা দিয়েছিলাম, তরুণ কবি শাওন রিছিল (দাদা) এর বাড়িতে।
হালুয়াঘাট যাওয়ার কিছুদিন আগে-
হালুয়াঘাট যাওয়ার কিছুদিন আগে তরুণ কবি শাওন রিছিলের(দাদা) সাথে ফেইসবুকে আমার কথা হয়।দাদা জিজ্ঞাসা করেছিল হালুয়াঘাট আসবে কী না বা আসার সম্ভাবনা আছে কী না।আমার যাওয়ার কথা ছিল না। তাই দাদাকে বলেছিলাম, যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।আমাদের দেখা হওয়ার কথা ছিল না।কিন্তুু দাদার সাথে আমার দেখা হয়েছে।তাও আবার দাদার নিজ বাড়িতে গোবরাকুড়া গ্রামে।শেষমেশ ঈশ্বরের আর্শীবাদে আমাদের দেখা হয়।তখন ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব আনন্দিত ছিলাম,খুশি হয়েছিলাম।
তরুণ কবি শাওন রিছিল দার বাড়িতে আমাদের যেতে যেতে রাত ন'টা বাজে।যাওয়ার সাথে সাথে কবি শাওন দা আমাদের কে সাদরে গ্রহণ করলো।এমনি করেই অনেক দিন পর বড় ভাইদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়।অদেখা গারো গ্রাম দেখার সৌভাগ্য হয়।দাদার সাথে দেখা হয়।তাই আমি বিশেষ মুহূর্তের জন্য খুব আনন্দিত ছিলাম।তবে গ্রামের সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হয়নি।কারণ আমরা রাত ন'টায় গিয়ে পৌঁছেছিলাম।আমাদের আড্ডা রাত ২টা পর্যন্ত চললো সাথে চু এর আসর।তাঁরপর আমরা খাওয়া দাওয়া করি দার বাড়িতে। ঘুমানোর জন্য চলে এসেছিলাম কবি পরাগ দার বাড়িতে।
কবি শাওন দাকে, অসংখ্য ধন্যবাদ। এত ব্যস্ততা ও রাত হওয়া সত্ত্বেও আমাদের কে সময় দিয়েছে ও সাদরে গ্রহণ করেছে।
কবি শাওন দাকে, অসংখ্য ধন্যবাদ। এত ব্যস্ততা ও রাত হওয়া সত্ত্বেও আমাদের কে সময় দিয়েছে ও সাদরে গ্রহণ করেছে।
রাতে আধাঁরে গ্রামের সৌন্দর্য দেখা সম্ভব নয় বিধায় একা একা যতটা পারি গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাঁটার চেষ্টা করেছি।গ্রামের রাস্তার সাথে শখ্যতা তৈরির চেষ্টা করেছি।গ্রামের তথ্য কিংবা গ্রামের সৌন্দর্য দেখতে পারি নাই বিধায় তাই আবার গোবরাকুড়া গ্রামে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি।
গোবরাকুড়া গ্রামে যাওয়ার সৌভাগ্য হয় জনপ্রিয় তরুণ কবি পরাগ রিছিল দাদার কারণে।এই ভ্রমণে আরো ছিল মাদলের ভোকালিস্ট শ্যাম সাগর মানখিন,বাদল নকরেক (আচ্চু) এবং বিনদামিন কুবি (কাকা)।
আমরা যেদিন যাই জয়রামকুড়া গ্রামে একটি বিয়ে ছিল।কিন্তুু বিয়েতে যাওয়া হয়নি।বিয়ের পরের দিন গিয়ে দেখা করে এসেছিলাম।দাদাদের সাথে আমার যাওয়ার কথা ছিল ময়মনসিংহ পর্যন্ত।ময়মনসিংহ থেকে ক্যাম্পাসে যাবো এই পরিকল্পনা ছিল।কিন্তুু ময়মনসিংহ পৌঁছানোর সাথে সাথে নামতে চেয়েছিলাম।কিন্তুু নামা হলো না সরাসরি যেতে হলো হালুয়াঘাট।একটি প্রবাদ বচনের মতো হলো,মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।
আবার কোনদিন সুযোগ হলে, সৌভাগ্যবান হলে আবার যেতে চাই গোবরাকুড়া গ্রামে।
No comments