আচিক মান্দি'নি (গারো)" Ganding or Ganbewal"

Jadil Mri


আচিক মান্দি'নি (গারো)" Ganding or Ganbewal"


ছবি:Nikseng Ghara 



গুগলে সার্চ দিয়েছিলাম পোশাক নিয়ে মান্দিদের মধ্যে বা অন্যদের কারো লেখা বা আইডিয়া আছে কিনা? শুধুমাত্র জানার জন্য,আমি হতাশ তেমন লেখা বা আইডিয়া আমার চোখে পরে নাই।ফলে আমি কোন তথ্য পেলাম না উল্টো নিজের মতো করে আবোল তাবোল ভাবে আইডিয়া শেয়ার করছি এবং মতামত ও বিশ্লেষণেরর চেষ্টা করছি।



আমি একজন গারো জাতিগোষ্ঠীর সদস্য হিসাবে নিজেকে নিয়ে গর্ব করি।গর্বের পিছনে অনেক গুলো কারন রয়েছে, যা আজকের মূখ্য আলোচ্য বিষয় নয়।আজকে সারা দুপুর মান্দি আচিকদের" কাপড়-চোপড়, পোশাক-আশাক বা  Ganding or Ganbewal "নিয়ে ভাবছিলাম।এই ছোট মস্তিষ্কে ভাবনার জায়গাটা খুবই ছোট, তার পরেও চিন্তা বা ভাবনার জায়গাটা সৃষ্টি করেছি।"Ganding or Ganbewal "মান্দি আচিকদের(গারো) ঐহিত্যবাহী একটা অংশ।এই অংশ ছাড়া অন্যান্যদের সাথে স্বাতন্ত্র্যের পার্থক্য মেলানো কষ্টের ব্যাপার। কাপড়-চোপড়ে যদি পার্থক্য থাকে বা স্বাতন্ত্র্য থাকে তাহলে সহজে অনুমেয় যে, সে কোন জাতি বা কোন জাতি গোষ্ঠীর লোক।মোটামোটি আমাদের আদিবাসীদের মধ্যে  কাপড় চোপড়ের দিক দিয়ে স্বাতন্ত্র্য বজায় রয়েছে।যদিওবা ছেলেদের ক্ষেত্রে ভিন্নতা লক্ষণীয় নয়।যাই হোক,চেষ্টা করলে সময়ে ব্যাপার মাত্র,কেউ না কেউ বিপ্লব ঘটাবেই, আমার বিশ্বাস।

জনসংখ্যা দিক দিয়ে আমরা খুবই নগণ্য,এই অল্প জনসংখ্যা দিয়ে সব সেক্টরে ঢুকা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। ফলত, কিছু কিছু সেক্টর বাদ পরে যায়, মনের অজান্তেই। জনসংখ্যা দিক দিয়ে বা হিসাবে মোটামোটি আমাদের সব সেক্টরে মানুষ রয়েছে।কিন্তুু" কাপড়-চোপড় বা Ganding or Ganbewal" নিয়ে কাজ করে বা  মাথায় চিন্তা করে,  এমন মানুষ খোঁজলে হাতেগুণা কয় একজন পাওয়া যাবে।তবে ফুলটাইম যে করে এমনটা বলা যাবে না।কারন, এটা নিয়ে পরে থাকলে সাফল্যের চাবিকাঠি পাওয়ার সম্ভবনা খুবই কম মানে বাজার নাই একটা জায়গায় সীমাবদ্ধতা থেকে যায়।যদি সৃষ্টিশীল কিছু করা যায় হয়তো বাজার বাড়তে পারে।

মেয়েদের দকমান্দা এবং দকশাড়ি রয়েছে আরো আছে উড়না।আবিমায় মান্দি গামছা খুবই প্রচলিত ও টেকসই(আমি শুধু মাত্র নিজেদের পোশাকের কথা বলতে চেয়েছি,যে গুলো প্রাত্যহিক জীবনে লাগে)। এর বাইরে আরো কিছু রয়েছে কিনা আমার জানা নাই।ছেলদের নিজস্ব কাপড়-চোপড় আছে বলে জানা নাই।ছেলেরা বর্তমানে প্রচলিত কাপড়-চোপড় পরে থাকে।আমি ভাবছি, ছেলেদের জন্য দকমান্দা দিয়ে কিছু করা যায় কিনা? বা এমন করে ডিজাইন করা হোক যেন গারো জাতিগোষ্ঠীর সাথে স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকে।আমার মতে, ছেলেদের জন্য প্যান্টের দিকে প্রথমে নজর দেওয়া উচিত, তার পর উপরে জামা।যদিওবা অনেকে সুন্দর সুন্দর টি-শার্ট ডিজাইন করে বাজারজাত করছে। এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার,নতুনত্বের কিন্তুু চাহিদা অনেক, যা টি-শার্টের ব্যাপারটা দেখলেই বুঝতে পারি।যতগুলো টি-শার্ট  নিজেদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে  বাজারজাত করা হয়েছে সবগুলোই স্টক আউট।আশা করি, অন্যান্য পণ্যগুলোও স্টক আউট হবে।

মেঘালয়ে রাজ্যে পোশাক নিয়ে অনেক গুলো ফ্যাশনের প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়।দকমান্দা দিয়ে এত সুন্দর সুন্দর ডিজাইন যা কল্পনার বাইরে।এই ডিজাইন গুলো বাজারজাত করেছে কিনা, আমি জানি না।তবে ডিজাইনের আইডিয়া আমার কাছে চমৎকার লেগেছে।আমাদের দেশেও পোশাকের ফ্যাশনের প্রোগ্রাম করতে পারলে মন্দ হতো না, যদি ফ্যাশনেবল বা শৌখিন কেউ আগ্রহী থাকতো সব ঝামেলা মিটিয়ে অনেক আগেই করে ফেলতো।একদিন না একদিন তো হবেই, "কি বলো"?

যাদের এইসব বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে বা কাজ করছে আমার অনুরোধ থাকবে এমন কিছু ডিজাইন বা বাজারজাত করা হোক যেন গ্রহণযোগ্যতা পাই।গ্রহণযোগ্যতা ও চাহিদার প্রতি যেন খেয়াল থাকে।
অচিরেই এই সব নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত।এই আধুনিক যুগে নতুনত্বেরর কোন মার নাই।

অবশ্য,স্রোতের বিপরীতে কে যেতে চাই, বলো তো?কেউ না।বিপরীতে যাওয়া মানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, এমনি ঝুঁকিপূর্ণ যে এক বার ধরা খাইলে.. শেষ...পরে অতিরিক্ত সাধনা করতে হবে,ক্ষতি পোষানোর জন্য।


তবে,যারা এই সব নিয়ে কাজ করছে বা করবে,তাদের জন্য আগাম শুভকামনা রইল।

(এইটা নতুন আইডিয়া হতে পারে...😎😎😎)



No comments

Theme images by saw. Powered by Blogger.