দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে,"নটর ডেম কলেজ ময়মনসিংহ"।



দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে,"নটর ডেম কলেজ ময়মনসিংহ"।
জাডিল মৃ(Jadil Mri)
তরুণ লেখক এবং ব্লগার




Blog-1





হঠাৎ করেই জুয়েল ভাইয়ার ফোন,লোভ সামলাতে না পেরে এক নিমিষেই ছুঁটে গেলাম "নটর ডেম কলেজ ময়মনসিংহে"।দীর্ঘ পাঁচ পর কলেজে গিয়েছি, এত বার বলেছি কলেজে যাবো, যাওয়া আর হয়ে উঠেনি, শেষ পর্যন্ত গিয়েছি, অবশ্য জুয়েল ভাইয়ার ধন্যবাদ প্রাপ্য। যদিও এই কলেজে আমার পড়াশুনা হয়নি, তবে কলেজের সাথে আমার কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সেটাই আজকে সংক্ষিপ্ত আকারে আপনাদের জানাবো...




ছবি-১



ফিরে যেতে হবে ২০১৪ সালে.......
যখন আমি সবেমাত্র এস,এস,সি পরীক্ষা দিয়েছি, তখন বাবার সুবাধে এই কলেজে আসা হয়।যারা এস,এস,সি পরীক্ষা দিয়েছিলো তাদের জন্য ৩ মাসের ইংরেজী কোর্স করানো হয়।ইংরেজী কোর্স করার সুবাধে অনেক বন্ধু বান্ধব পেয়েছিলাম,যাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।এখন, যে যার মতো করে সবাই ব্যস্ত,কারো সাথে তেমন যোগাযোগ নেই।কাঁচিঝুলি থাকার সুবাধে সম্পর্কগুলো আরো বেশি গাঢ় হয় কেন না সবাই মিলে প্রতিদিন পার্কে ঘুরতে যেতাম আড্ডা দিতাম,এই আরিকি। আমরা যখন ইংরেজী কোর্স করেছিলাম, তখনো কলেজের কাজ চলছিল।কোর্স শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে আর যাওয়া হয়নি।প্রথেম শুনেছিলাম, মেয়েরাও এখানে ভর্তি হতে পারবে।মনে মনে আবদার করেছিলাম, মেয়েরা ভর্তি হতে পারলে  এখানেই ভর্তি হয়ে যাবো।পরে দেখলাম, শুধু মাত্র ছেলেরা ভর্তি হতে পারবে। তখন এখানে পড়ার ইচ্ছাটাই চলে গেল।পরে শেষ পর্যন্ত, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা'তে ভর্তি হলাম।এখানে আমার অনেক বন্ধু বান্ধব ভর্তি হয়েছিল, যারা ছিল প্রথম ব্যাচ এবং ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। তারাই এখান থেকে প্রথম ব্যাচ হিসাবে পাশ করলো।


ছবি-২




আজ দীর্ঘ  পাঁচ বছর পর এখানে এসেছি,বাইরে থেকে বুঝার উপায় নেই যে ভেতরে এত সুন্দর ক্যাম্পাস, এক কথায়," জাস্ট ওয়াও"।আমি কল্পনাও করতে পারিনি এত যে সুন্দর হবে!সত্যিই, যখন ক্যাম্পাস'টা রেখে  গিয়েছিলাম তখন কি ছিল আর এখন কি হলো! গেটে   ঢোকার   সাথে সাথে আশ্চর্য হতেই হবে কেন না এত সুন্দর কলেজ, এত সুন্দর ক্যাম্পাস।আমি যদি ভুল না করে থাকি, আমার দেখা ময়মনসিংহ শহরের এক নাম্বার সুন্দর হচ্ছে এই ক্যাম্পাস(ব্যক্তিগত মতামত)।ময়মনসিংহ শহরে বা আশে পাশে যতগুলো কলেজ দেখেছি তার মধ্যে এই কলেজের সৌন্দর্য আমাকে দারুণ ভাবে আলোড়িত করেছে।চারিদিকে দেওয়াল ভেতরে ছিমছাম পরিবেশ,ভলিবলের জন্য আলাদা মাঠ এবং ফুটবলের জন্য আলাদা মাঠ রয়েছে। ময়লা আবর্জনা খু্ঁজে পাওয়াই দুষ্কর, গাছ-গাছালীতে ভরপুর, সবজি আছে, আনারস দেখেছি, কলা গাছ দেখছি সাথে ফুলের বাগান তো আছেই। নিজের চোখে না দেখলে সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে না।আমার বন্ধু বান্ধব বা যারা আমার লেখা পড়ছেন বা আমার কথা যাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, আমার একটাই অনুরোধ থাকবে নিজের চোখে দেখে আসেন। তাহলেই বুঝতে পারবেন, আমি সত্যি বলছি নাকি মিথ্যা বলছি।আরেকটা ব্যাপার লক্ষ করেছি, ঢাকার মতো এখানেও প্রার্থনার নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে।



ছবি-৩





মনে মনে ভাবছিলাম,যদি কেউ এখানে পড়তে চাই বা পড়ার জন্য ক্যাম্পাস দেখতে আসে,যে কেউ এখানে পড়তে ইচ্ছা পোষণ করবেই।আরো ভাবছিলাম,বর্তমানে আমি যেখানে আছি তার চাইতেও দ্বিগুণ সুন্দর এই ক্যাম্পাস। আমার কথা সন্দেহ হলে পার্থক্য করে দেখতে পারেন, যদি কারোর অবিশ্বাস্য লাগে।সত্যিই, আজ আমি অনেক খুশি, অনেক দিনের ইচ্ছাটা পূরর্ণ হলো। আরো ভালো লাগলো যখন ক্যান্টিনে গিয়ে ক্যান্টিনের খাবার খেলাম।আরেক জনকে ধন্যবাদ না দিলেই নয় লিপ্টু ভাইয়াকে, লিপ্টু ভাইয়া আমাদের জন্য যথেষ্ট সময় দিয়েছে। সে না থাকলে ইচ্ছে'টা ইচ্ছেই রয়ে যেতো,কেন না কলেজে যাওয়া হয়ে উঠতো কিনা সন্দেহ।


ছবি-৪





মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর, ২০১৯।

(বি:দ্র-ভিডিও আছে ইচ্ছে করলে দেখতে পারেন।ইউটিউব চ্যানেলের নাম Taning Production, যদি না আসে Jadil Mri লিখে সার্চ দিলেই হবে।ধন্যবাদ।) 

No comments

Theme images by saw. Powered by Blogger.