ভালো থেকো পাহাড়ের বন্ধুরা....(মধুপুর ভ্রমণ)
ভালো থেকো পাহাড়ের বন্ধুরা....(মধুপুর ভ্রমণ)
জাডিল মৃ(Jadil Mri)
তরুণ লেখক এবং ব্লগার
ক্যাম্পাসের এক কোণায় জোনের(দোকান) পিছনে চা নিয়ে; আরাম করে বসে আছি, লিখতে বসেছি,কত শত তাঁরা, চাঁদনি রাত, সাদা মেঘ,চাঁদের আলোয় সবকিছু দেখা যাচ্ছে ,মনে হচ্ছে বিড়াল কিংবা প্যাঁচার চোখ, আমিও সবকিছু দেখি স্পষ্ট। আমার সামনে ছোট একটা ডোবা, সচারচর এখানে কেউ বসে না, আমি বসি,রাস্তার একটু দূরে দোকানের পিছনে তবে নির্জন একটা জায়গা,আমার ভালো লাগে।কেউ ডিস্টার্ব করতে আসে না,কেউ বসতে চাই না, বলা যায় ঝামেলা বিহীন একটা জায়গা।অনেকদিন যাবৎ লিখবো লিখবো করে লেখা হয়নি,ভাবলাম আজকে লেখি আমার ক্ষমাপ্রার্থনার কিছু কথা,এতদিন মনের ভিতরে কুটকুটানি রয়ে গিয়েছিল।
প্রথমে সত্যি কথা দিয়েই শুরু করি,সবার সাথে কম বেশি করে পরিচয় হয়েছে, একজন বাদে কারো সাথে তেমন আমার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়নি।একজন বাদে কারো সাথে ছবি তোলা পর্যন্ত হয়নি।আমি বিশ্বাস করি, কারো না কারো সাথে হয়তো অতিশীঘ্রয় দেখা হতে পারে,ঘনিষ্ঠতা তৈরি হবে, এই আশা রাখি।পাহাড় থেকে যত জন ঘুরতে এসেছিল,ব্যক্তিগত ভাবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী,কেন না সবচেয়ে কষ্টের দিনগুলো পার করতে হয়েছে,আমার কাছে তাই মনে হলো।
পাহাড় কিংবা সমতল, আমাদের সমস্যার জায়গাটা কিন্তুু অভিন্ন,যদি সমস্যা গুলো মোকাবেলা করতে হয় তাহলে আমাদের একে অপর কে বুঝতে হবে, এক সাথে কাজ করতে হবে,এটাই এখন জরুরি বিষয়।পাহাড় থেকে ঘুরতে আসা প্রত্যেক জনকে আমার ভালো লেগেছে।আমি তাদের নাম ধরেই বলতে চাই তবে কে কোন প্রতিষ্ঠানে আছে এইটা বলছি না। অনেকদিন আগে থেকেই নিপুণ ত্রিপুরা দার সাথে আমার পরিচয়,এক কথাই জোশ একটা মানুষ।সত্যি কথা বলতে কি,ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে যদি কারো সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা বা আমি কি চাই সেটা বুঝতে সক্ষম হয়, তাহলে একমাত্র নিপুণ দাই আমাকে, বুঝতে পারবে।(নামের বানান ভুল হতে পারে এবং দাদা বা দিদি লিখছি না, ক্ষমাপ্রার্থী)
ভ্রমনে ছিল, বাদল হাজং,রাতুল তঞ্চঙ্গ্যা ,হিতো চাকমা,চ্যঙহিয়া্গ ম্রোং,সুনয়ন চাকমা,শ্রেয়া চাকমা,সতেজ চাকমা,অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা,ফদিনী চাকমা,শ্রাবরণী চাকমা।
(ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি কষ্ট অনেক দিয়েছি)
অন্যসব কিছু বাদ দিয়ে একটি ঘটনায় বলতে চাই।
বলা উচিত না, তবুও বলতে হচ্ছে যে, সবচেয়ে বেশি আমাকে ব্যথিত করেছে, সারাদিন না খাওয়া অবস্থায় থাকতে হয়েছে।আমি তখন সেই জায়গাতে ছিলাম না, ফলে না খাওয়া পরিস্তিতিতে পরতে হয়নি।সারাদিন চা,বিস্কুট খেয়ে থাকাটা আসলেই কষ্টের ব্যাপার।
আমি জানি না, কেমন হলো আ'বিমা(মধুপুর) ভ্রমণ,অভিব্যক্তি শোনার সুযোগ হয়নি,কাউকে জিঙ্গাসা করা হয়নি। আমি মনে করি,আ'বিমা(মধুপুর) ভ্রমণের সময় সংস্কৃতি,জীবন যাত্রা,প্রত্যক্ষ ভাবে সবকিছু বাস্তবে দেখার সুযোগ হয়েছে এবং শেখার বা অনুধাবনে অনেক কিছু ছিল।আ'বিমা যে সংগ্রামের প্রতীক তা হয়তো নিজের চোখে দেখতে সক্ষম হয়েছে, সংগ্রাম মূখী না হলে এতদিন টিকে থাকা সম্ভব ছিল না।
আমার বন্ধুবর দিদি দাদা ভালো থেকো, কষ্ট দিয়েছি বটে, তবে ভালোবাসা অটুট থাকবে।
সংগ্রামী শুভেচ্ছা নিও।
জাডিল মৃ(Jadil Mri)
তরুণ লেখক এবং ব্লগার
রাঙামাটি,২০১৯ |
ক্যাম্পাসের এক কোণায় জোনের(দোকান) পিছনে চা নিয়ে; আরাম করে বসে আছি, লিখতে বসেছি,কত শত তাঁরা, চাঁদনি রাত, সাদা মেঘ,চাঁদের আলোয় সবকিছু দেখা যাচ্ছে ,মনে হচ্ছে বিড়াল কিংবা প্যাঁচার চোখ, আমিও সবকিছু দেখি স্পষ্ট। আমার সামনে ছোট একটা ডোবা, সচারচর এখানে কেউ বসে না, আমি বসি,রাস্তার একটু দূরে দোকানের পিছনে তবে নির্জন একটা জায়গা,আমার ভালো লাগে।কেউ ডিস্টার্ব করতে আসে না,কেউ বসতে চাই না, বলা যায় ঝামেলা বিহীন একটা জায়গা।অনেকদিন যাবৎ লিখবো লিখবো করে লেখা হয়নি,ভাবলাম আজকে লেখি আমার ক্ষমাপ্রার্থনার কিছু কথা,এতদিন মনের ভিতরে কুটকুটানি রয়ে গিয়েছিল।
প্রথমে সত্যি কথা দিয়েই শুরু করি,সবার সাথে কম বেশি করে পরিচয় হয়েছে, একজন বাদে কারো সাথে তেমন আমার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়নি।একজন বাদে কারো সাথে ছবি তোলা পর্যন্ত হয়নি।আমি বিশ্বাস করি, কারো না কারো সাথে হয়তো অতিশীঘ্রয় দেখা হতে পারে,ঘনিষ্ঠতা তৈরি হবে, এই আশা রাখি।পাহাড় থেকে যত জন ঘুরতে এসেছিল,ব্যক্তিগত ভাবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী,কেন না সবচেয়ে কষ্টের দিনগুলো পার করতে হয়েছে,আমার কাছে তাই মনে হলো।
পাহাড় কিংবা সমতল, আমাদের সমস্যার জায়গাটা কিন্তুু অভিন্ন,যদি সমস্যা গুলো মোকাবেলা করতে হয় তাহলে আমাদের একে অপর কে বুঝতে হবে, এক সাথে কাজ করতে হবে,এটাই এখন জরুরি বিষয়।পাহাড় থেকে ঘুরতে আসা প্রত্যেক জনকে আমার ভালো লেগেছে।আমি তাদের নাম ধরেই বলতে চাই তবে কে কোন প্রতিষ্ঠানে আছে এইটা বলছি না। অনেকদিন আগে থেকেই নিপুণ ত্রিপুরা দার সাথে আমার পরিচয়,এক কথাই জোশ একটা মানুষ।সত্যি কথা বলতে কি,ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে যদি কারো সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা বা আমি কি চাই সেটা বুঝতে সক্ষম হয়, তাহলে একমাত্র নিপুণ দাই আমাকে, বুঝতে পারবে।(নামের বানান ভুল হতে পারে এবং দাদা বা দিদি লিখছি না, ক্ষমাপ্রার্থী)
ভ্রমনে ছিল, বাদল হাজং,রাতুল তঞ্চঙ্গ্যা ,হিতো চাকমা,চ্যঙহিয়া্গ ম্রোং,সুনয়ন চাকমা,শ্রেয়া চাকমা,সতেজ চাকমা,অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা,ফদিনী চাকমা,শ্রাবরণী চাকমা।
(ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি কষ্ট অনেক দিয়েছি)
অন্যসব কিছু বাদ দিয়ে একটি ঘটনায় বলতে চাই।
বলা উচিত না, তবুও বলতে হচ্ছে যে, সবচেয়ে বেশি আমাকে ব্যথিত করেছে, সারাদিন না খাওয়া অবস্থায় থাকতে হয়েছে।আমি তখন সেই জায়গাতে ছিলাম না, ফলে না খাওয়া পরিস্তিতিতে পরতে হয়নি।সারাদিন চা,বিস্কুট খেয়ে থাকাটা আসলেই কষ্টের ব্যাপার।
আমি জানি না, কেমন হলো আ'বিমা(মধুপুর) ভ্রমণ,অভিব্যক্তি শোনার সুযোগ হয়নি,কাউকে জিঙ্গাসা করা হয়নি। আমি মনে করি,আ'বিমা(মধুপুর) ভ্রমণের সময় সংস্কৃতি,জীবন যাত্রা,প্রত্যক্ষ ভাবে সবকিছু বাস্তবে দেখার সুযোগ হয়েছে এবং শেখার বা অনুধাবনে অনেক কিছু ছিল।আ'বিমা যে সংগ্রামের প্রতীক তা হয়তো নিজের চোখে দেখতে সক্ষম হয়েছে, সংগ্রাম মূখী না হলে এতদিন টিকে থাকা সম্ভব ছিল না।
আমার বন্ধুবর দিদি দাদা ভালো থেকো, কষ্ট দিয়েছি বটে, তবে ভালোবাসা অটুট থাকবে।
সংগ্রামী শুভেচ্ছা নিও।
No comments