কবি মিঠুন রাকসাম Part-1
Ja'dil Mri
কবি মিঠুন রাকসামের" মুখ না ধুয়ে লেখা কবিতা "থেকে সব কবিতা হুবহু তুলে ধরার চেষ্টা করছি।প্রায় চল্লিশটা'র মত কবিতা; তাই সব গুলো না দিয়ে নয় বা দশটা করে ধাপে ধাপে আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।আপনাদের কেমন লাগবে সেটা অবশ্য বলতে পারব না তবে আমার কাছে কবি মিঠুন রকসামের কবিতা খুবই প্রিয়। সেই জন্য ভালো লাগার জায়গা থেকে আমি নিজে, কবি মিঠুন দার অনুমতি নিয়ে এই কবিতা গুলো আপলোড দিচ্ছি।আশা করি আমার মত আপনাদের ভালো লাগবে কবি মিঠুন রাকসামের কবিতা,অবশ্য ভালো লাগার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না ,কবিতাগুলো অনুভব করতে হবে। কবি কবিতার মাধ্যমে কি বুঝাতে চাইছেন।আর হ্যাঁ, কমেন্ট করতে ভুলবেন না যেন,আপনাদের কেমন লাগলো কবিতাগুলো।
১
বাবার হাতটি
বাবার হাতটা
মাটি রংয়ের
লাঙল চালিয়ে
মাটি কুপিয়ে-মই দিয়ে
যে হাতটা আমাকে ছোঁয়
বাবার হাতটা
প্রৌঢ় ঝিনুক
শক্ত-কটকটা পিঠ
তালু উম দেয়া মুক্তো
রেখাগুলো লাঙলের দাগ...
বাবার হাতটা
শৈশবের ঝিনুক
ভেতরে আমার মুখটি আঁকা।
২
যমজ চোখ
প্রতিদিন একই দৃশ্য ভালো লাগে না
যমজ চোখ মোহের আধার
ক্লান্ত হলে যেমন শুয়ে পড়ে মান্দি বাড়ির শূকর
যমজ চোখও তাই
পাক খেতে খেতে জন্মান্ধ হয়ে যায়!
৩
শাদা শাদা মেঘের হাজার ওলান!
দুধ
ভরে যাচ্ছে
বাছুরে চোখ সাঁতার কাটছে
বালতির কিনারে।
ও কিষাণ বউ
তোমার ওলান কি ফোলা ফোলা?
শাদা মেঘের মত ভেসে বেড়ায়
যুবতীর নবীন স্তন।
গেরস্থ কৃষক
যে হাতে ওলান ধরে
সেই হাতে লাঙল
মেঘ
মেঘ থাকে না
গোলাপ বনে যায়
গেরস্থের জমিতে
শাদা শাদা মেঘের
হাজার হাজার ওলান!
৪
মাছরাঙা জানে
পেসাবের ফেনা মিলিয়ে যায়
জলফড়িংয়ের মত
কৃত্রিমস্তন নিয়ে
নিশিরা নামে
বুক সমান নদীর ঘাটে
তখন নদী ও আগুনের যুগল
পিরিত
তরতরিয়ে বাড়ে।
কঞ্চিতে বসা
মাছরাঙা জানে
কৃত্রিমস্তনের কেমন গন্ধ।
৫
পৃথিবী ঈশ্বরের হাতে রঙিন অ্যাকোরিয়াম
উদাস হলেই মনে পড়ে
মান্দি পাড়ার কথা
কত গান-নাচ-চু'র আসর!
শূকরের ঘুঁত ঘুঁত
কচুর ডগা পেলেই শান্ত!
মদের সাবা খেতে খেতে শূকরও মাতাল
দেখতে মজাই লাগে
বেঁধে রাখা খুঁটিতে ঘুরতেই থাকে
ঘুরতেই থাকে...
উদাস হলেই
চাগিয়ে উঠে
পুষে রাখা স্মৃতি
পুষে রাখা দাউদের মতো ধীরে ধীরে
গ্রাস করে বিশ্বস্ত হ্দয়!
কে পারে পোষা স্মৃতিকে হত্যা করতে?
স্মৃতি একমাত্র ঘাতক
যে মানুষকে তালুতে রেখে
নেড়েচেড়ে দেখে
পৃথিবী ঈশ্বরের হাতে রঙিন অ্যাকোরিয়াম !
৬
উত্তরাধিকার সেতু!
অনেক গান আছে যা শুনলে বুকটা
চড়চড়িয়ে উঠে
মনে পড়ে
এক একটা বাঁকের কথা
যে যে বাঁকের যে যে মানিক
লুপ্ত হয়েছে
অনেক গান উত্তরাধিকারসূত্রে নিয়ে গেছে
ক্রুশকাঠের কবরস্থানে
নিয়ে গেছে
ক্ষয়প্রাপ্ত যৌবনের সোনালীপ্রান্তে
গান এ বাঁক থেকে ও বাঁক
তাড়িয়ে তাড়িয়ে তৈরি করেছে
উত্তরাধিকার সেতু!
৭
তার হ্দপিণ্ড
আপন শরীর থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কি দেখে?
স্তন ঠিক ঢেকে রাখা কোড়ল
ঝিল্লি মারে!
মুঠোতে এলে
হাপরের মতো উঠানামা করে
তার হ্দপিণ্ড!
৮
গারো মদ ও প্রেম-১
গারো মদ আস্তে আস্তে ধরে
প্রেমে পড়ার মতো
গোলাপি নেশা পর্যন্ত ভালো
পাড় মাতাল হলে বিপর্যয়
গ্লাশ ভরতি গারো মদ
এক ডজন প্রেমিকার কথা
স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে
চুমুক দিচ্ছি
নাম নিচ্ছি
গোলাপি নেশা হচ্ছে...
মদ আর প্রেম
একটি রঙিন স্বপ্ন
চুমুক দিচ্ছি...
চুমুক দিচ্ছি...
মন ভরে না!
৯
গারো মদ ও প্রেম-২
আস্তে আস্তে চুমুক দিচ্ছি গারো মদ
লিখছি প্রেমের কবিতা
মাঝে মাঝে কপালের ব্রোণ টিপছি
নাকে আঙুল ঢুকাচ্ছি
মাঝে মাঝে শিশ্ন ধরছি
অকারণেই...
লিখছি প্রেমের কবিতা
চুমুক দিচ্ছি গারো মদ...
থকবিরিম |
কবি মিঠুন রাকসামের" মুখ না ধুয়ে লেখা কবিতা "থেকে সব কবিতা হুবহু তুলে ধরার চেষ্টা করছি।প্রায় চল্লিশটা'র মত কবিতা; তাই সব গুলো না দিয়ে নয় বা দশটা করে ধাপে ধাপে আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।আপনাদের কেমন লাগবে সেটা অবশ্য বলতে পারব না তবে আমার কাছে কবি মিঠুন রকসামের কবিতা খুবই প্রিয়। সেই জন্য ভালো লাগার জায়গা থেকে আমি নিজে, কবি মিঠুন দার অনুমতি নিয়ে এই কবিতা গুলো আপলোড দিচ্ছি।আশা করি আমার মত আপনাদের ভালো লাগবে কবি মিঠুন রাকসামের কবিতা,অবশ্য ভালো লাগার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না ,কবিতাগুলো অনুভব করতে হবে। কবি কবিতার মাধ্যমে কি বুঝাতে চাইছেন।আর হ্যাঁ, কমেন্ট করতে ভুলবেন না যেন,আপনাদের কেমন লাগলো কবিতাগুলো।
১
বাবার হাতটি
বাবার হাতটা
মাটি রংয়ের
লাঙল চালিয়ে
মাটি কুপিয়ে-মই দিয়ে
যে হাতটা আমাকে ছোঁয়
বাবার হাতটা
প্রৌঢ় ঝিনুক
শক্ত-কটকটা পিঠ
তালু উম দেয়া মুক্তো
রেখাগুলো লাঙলের দাগ...
বাবার হাতটা
শৈশবের ঝিনুক
ভেতরে আমার মুখটি আঁকা।
২
যমজ চোখ
প্রতিদিন একই দৃশ্য ভালো লাগে না
যমজ চোখ মোহের আধার
ক্লান্ত হলে যেমন শুয়ে পড়ে মান্দি বাড়ির শূকর
যমজ চোখও তাই
পাক খেতে খেতে জন্মান্ধ হয়ে যায়!
৩
শাদা শাদা মেঘের হাজার ওলান!
দুধ
ভরে যাচ্ছে
বাছুরে চোখ সাঁতার কাটছে
বালতির কিনারে।
ও কিষাণ বউ
তোমার ওলান কি ফোলা ফোলা?
শাদা মেঘের মত ভেসে বেড়ায়
যুবতীর নবীন স্তন।
গেরস্থ কৃষক
যে হাতে ওলান ধরে
সেই হাতে লাঙল
মেঘ
মেঘ থাকে না
গোলাপ বনে যায়
গেরস্থের জমিতে
শাদা শাদা মেঘের
হাজার হাজার ওলান!
৪
মাছরাঙা জানে
পেসাবের ফেনা মিলিয়ে যায়
জলফড়িংয়ের মত
কৃত্রিমস্তন নিয়ে
নিশিরা নামে
বুক সমান নদীর ঘাটে
তখন নদী ও আগুনের যুগল
পিরিত
তরতরিয়ে বাড়ে।
কঞ্চিতে বসা
মাছরাঙা জানে
কৃত্রিমস্তনের কেমন গন্ধ।
৫
পৃথিবী ঈশ্বরের হাতে রঙিন অ্যাকোরিয়াম
উদাস হলেই মনে পড়ে
মান্দি পাড়ার কথা
কত গান-নাচ-চু'র আসর!
শূকরের ঘুঁত ঘুঁত
কচুর ডগা পেলেই শান্ত!
মদের সাবা খেতে খেতে শূকরও মাতাল
দেখতে মজাই লাগে
বেঁধে রাখা খুঁটিতে ঘুরতেই থাকে
ঘুরতেই থাকে...
উদাস হলেই
চাগিয়ে উঠে
পুষে রাখা স্মৃতি
পুষে রাখা দাউদের মতো ধীরে ধীরে
গ্রাস করে বিশ্বস্ত হ্দয়!
কে পারে পোষা স্মৃতিকে হত্যা করতে?
স্মৃতি একমাত্র ঘাতক
যে মানুষকে তালুতে রেখে
নেড়েচেড়ে দেখে
পৃথিবী ঈশ্বরের হাতে রঙিন অ্যাকোরিয়াম !
৬
উত্তরাধিকার সেতু!
অনেক গান আছে যা শুনলে বুকটা
চড়চড়িয়ে উঠে
মনে পড়ে
এক একটা বাঁকের কথা
যে যে বাঁকের যে যে মানিক
লুপ্ত হয়েছে
অনেক গান উত্তরাধিকারসূত্রে নিয়ে গেছে
ক্রুশকাঠের কবরস্থানে
নিয়ে গেছে
ক্ষয়প্রাপ্ত যৌবনের সোনালীপ্রান্তে
গান এ বাঁক থেকে ও বাঁক
তাড়িয়ে তাড়িয়ে তৈরি করেছে
উত্তরাধিকার সেতু!
৭
তার হ্দপিণ্ড
আপন শরীর থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কি দেখে?
স্তন ঠিক ঢেকে রাখা কোড়ল
ঝিল্লি মারে!
মুঠোতে এলে
হাপরের মতো উঠানামা করে
তার হ্দপিণ্ড!
৮
গারো মদ ও প্রেম-১
গারো মদ আস্তে আস্তে ধরে
প্রেমে পড়ার মতো
গোলাপি নেশা পর্যন্ত ভালো
পাড় মাতাল হলে বিপর্যয়
গ্লাশ ভরতি গারো মদ
এক ডজন প্রেমিকার কথা
স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে
চুমুক দিচ্ছি
নাম নিচ্ছি
গোলাপি নেশা হচ্ছে...
মদ আর প্রেম
একটি রঙিন স্বপ্ন
চুমুক দিচ্ছি...
চুমুক দিচ্ছি...
মন ভরে না!
৯
গারো মদ ও প্রেম-২
আস্তে আস্তে চুমুক দিচ্ছি গারো মদ
লিখছি প্রেমের কবিতা
মাঝে মাঝে কপালের ব্রোণ টিপছি
নাকে আঙুল ঢুকাচ্ছি
মাঝে মাঝে শিশ্ন ধরছি
অকারণেই...
লিখছি প্রেমের কবিতা
চুমুক দিচ্ছি গারো মদ...
No comments