ভ্রমণের অভিজ্ঞতা,সুনামগঞ্জ ভ্রমণ-৪।। Blog-6।।



ভ্রমণের অভিজ্ঞতা,সুনামগঞ্জ ভ্রমণ-৪।। Blog-6।।

জাডিল মৃ( Jadil Mri)
তরুণ লেখক এবং ব্লগার




 জাডিল মৃ




কাইতকোনা গ্রামে এসে দেখি দুর্গাপূজো প্রায় শেষের দিকে মানে বিসর্জনের শেষ প্রস্তুুতি চলছে।বিসর্জনের আগে হলি(রং) খেলবে, তাই সবাই মিলে নিজেদের মতো করে প্রস্তুুতি নিচ্ছিল।আমাদের চাঁর পাঁচ জনের রং খেলার ইচ্ছা ছিল না,তাই হলি খেলা থেকে অনেক দূরে চলে গেলাম।খেলার শেষের দিকে, এসে দেখি সবার জামাকাপড় রঙ্গিন হয়েগেছে। সেখানে যারা ছিল হলি খেলাতে কেউ বাদ যায়নি,আমরা বাদে।আপনারা নিচের ছবি দেখেই তা বুঝতে পারছেন।

হলিখেলা




বিসর্জন দেওয়ার শেষে,সবাই গোসল করতে চলেগেল। রং মাখামাখি না করলেও গোসল করে নিলাম,যেন শরীর মন চাঙ্গা থাকে।সবার গোসল শেষে, গ্রামের মানুষের সাথে গল্প আড্ডা দিতে দিতে দুপুরবেলার খাবার খেলাম।কিছুক্ষণ পরেই গ্রামের মানুষের সাথে এবং যারা গিয়েছিল তাদের সাথে মতবিনিময় সভা হলো(মন্দিরের সামনে) এবং সুখ দুঃখের কথা বেশ সময় ধরেই চললো।শেষ হতে হতে প্রায় রাত নেমে এসেছিল,এতক্ষণ বসে থাকা নিশ্চিয় সহজ কাজ নয়।তাই পর সবাই মিলে আশেপাশের জায়গা ঘুরতে বের হয়েছিলাম।ঘুরে  ফিরে একি জায়গাতে(মন্দির) এসে আবার গান বাজনা আড্ডা শুরু হলো।


রাতের খাবার খেতে বেশ সময় লেগেছিল। কারন এত মানুষের জন্য রান্নাবান্না খুব সহজ কাজ নয়।রাতের খাবারের পর যে যার মতো চলেগেল। কেউ গল্প আড্ডা দিচ্ছে কেউবা ঘুমাচ্ছে।সারাদিন এত ঘুরাঘুরি তারপর আবার জার্নি বেশ দুর্বল হয়ে গিয়েছিলাম।বলা যায়,আগে বাগেই ঘুমাতে চলে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে জেগে দেখি সকাল হয়েগেছে,সবার পরে আমাদের কয় একজনের ঘুম ভেঙ্গেছিল।

(মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত,৮-১০-২০১৯)


সকাল বেলা উঠে আবার ঘুরাঘুরি করলাম, নাস্তা করলাম।তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে রওনা দিলাম পরবর্তী গন্তব্য স্থানে।কাইতকোনা গ্রাম থেকে বিশ থেকে পঁচিশ মিনিট হাঁটার পর পৌঁছে গেলাম একটি বাজারে।বাজার থেকে অটোতে করে রওনা দিলাম টেকেরঘাট, যেখানে নৌকা করে পার হয়ে যেতে হবে কড়ইকড়া গ্রামে...


সবাই মিলে টেকেরঘাটে যাচ্ছি, তারপর কড়ইগড়া




কাইতকোনা গ্রামে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছিলাম...
(চলবে....)



(বুধবার সকাল থেকে দুপুর,৯-১০-২০১৯)

No comments

Theme images by saw. Powered by Blogger.