গারো ঘরবাড়ি চেনার উপায়।

গারো ঘরবাড়ি চেনার উপায়।

জাডিল মৃ( Jadil Mri)
তরুণ লেখক এবং ব্লগার










গারো জনগোষ্ঠী জনসংখ্যার দিক দিয়ে কম সংখ্যক হলেও বাংলাদেশ কিংবা ভারত মিলিয়ে আনুমানিক ১৪ থেকে ১৬ লাখ তো হবেই।তার পরেও বলতে পারেন, অন্যান্য আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী থেকে তো মোটামোটি বৃহৎ জাতি।এখন পর্যন্ত মেঘালয় রাজ্যের গারো গ্রাম বা পরিবারে যাওয়া হয়ে উঠেনি।তবে বর্ডার থেকে যতটুকু দেখেছি ও দেখার সুযোগ হয়েছে তা থেকে কিছুটা অনুমান করতেই পারি।তবে বাংলাদেশের গারো পরিবার বা ঘরবাড়ি নিয়েই আলাপ গল্প করতে চাই।বাংলাদেশে গারোদের জনসংখ্যা আনুমানিক ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার হবে।আজকে আলোচনায় গারো জাতিগোষ্ঠীর জনসংখ্যা বা কোথায় বসবাস করে তা মূখ্য বিষয় নয়।আজকে আলোচনা করবো গারো পরিবার বা ঘরবাড়ি চেনার উপায় ।



মানুষ যে প্রান্তে'ই থাকুকু না কেন,আশেপাশে যা জিনিস আছে তাই তার বেঁচে থাকার উপাদান।তাই গারোরা যেখানেই থাকুকু একেক জায়গায় একেক রকম।যেহেতেু আমার জন্মস্থান আ'বিমা'তে(মধুপুরে),সেহেতু প্রথমে আ'বিমা নিয়েই আলোচনা করি।আ'বিমা এলাকার প্রায় গারো গ্রাম আমার দেখা ঘুরার সৌভাগ্য হয়েছে।তাই আজকে গারো বাড়ি বা পরিবার নিয়ে আলোচনা করতে চাই।


অতি সহজেই যে কেউ গারো বাড়ি চিনতে পারবে,যদি কিছু কিছু জিনিস খেয়াল করে।সাধারণত, গারো বাড়ি মাটির ঘর হয়ে থাকে এবং যাদের মোটামোটি টাকা পয়সা হয়েগেছে, তাদের বিন্ডিং ঘর থাকে।কিছু লক্ষণ দেখলেই গারো বাড়ি চিনে যাবেন,  নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হল..


১.গারো বাড়ি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।
২.যদি গরু বা ছাগল বা মৃুরগি প্রভৃতি পালন করে।তাহলে তাদের জন্য আলাদা ঘর থাকে,তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
৩. সব গারো পরিবার, মোটামোটি জায়গা নিয়ে বাড়ি তৈরি করে এবং একটা বাড়ির উঠান থাকবেই।
৪.উঠানের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফল থাকবে নয়তো ঔষধি ও প্রথাগত কিছু লতাপাতা থাকবে।
৫.বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ থাকবে,বিশেষ করে আম,কাঁঠাল এবং লিচু।
৬.আমার ব্যক্তিগত মতামত বা অভিমত গারো জাতি খুবই লিচু প্রিয় জাতি।কারণ কোন না কোন ভাবে,গারো বাড়িতে আপনি এক বা একের অধিক লিচু গাছ পাবেন।
৭.বাড়ির আশেপাশে কোন ফলের গাছ না দেখলেও লিচু গাছ দেখতে পাবেন।
৮.প্রত্যেকটি বাড়ি'র লাগকড়ির ঘর থাকবে,কম হোক কিংবা বেশি হোক লাগড়ির ঘর থাকবেই।এখন গ্যাসের চুলার কারনে অবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে।
তবুও লাকড়ি ঘর পাবেন।
৯.বাড়ির আশেপাশে একটি হলেও শুকর দেখতে পাবেন।
১০.বাড়িগুলো থেকে অন্য রকম বাতাস(বায়ু) পাবেন,ঐহিত্যগত বাতাস,যে বাতাসে মিশে আছে গারোদের পরিচয়।
১১.বাড়ির আশে পাশে খিম্মা থাকবে নয়তো ডিক্কা।তবে খ্রিষ্টান হওয়ার পরে তা কমে গেছে।



আরো অনেক পয়েন্ট থাকতে পারে, বর্তমানে সময় কে ধরেই বলার চেষ্টা করেছি মাত্র।



No comments

Theme images by saw. Powered by Blogger.