কড়ইগড়া গ্রাম থেকে টাঙ্গুয়ার হাওর,সুনামগঞ্জ ভ্রমণ-৫।। Blog-7।।


কড়ইগড়া গ্রাম থেকে টাঙ্গুয়ার হাওর,সুনামগঞ্জ ভ্রমণ-৫।। Blog-7।।
জাডিল মৃ(Jadil Mri)
তরুণ লেখক এবং ব্লগার



নিপুণ ত্রিপুরা এবং জাডিল মৃ





কমরেড আমাকে মেঘালয় রাজ্যের পাহাড় দেখাছিলেন এবং স্বপ্নের কথা অনর্গল বলে চলছিলেন...(এই ছবিটি জ্যাক না জানিয়ে তুলেছিল)।নিচের ভিডিও গুলো এলোমেলো করে দেওয়া।



টেকেরঘাটের নৌকাতে পৌঁছাতে ছয় থেকে দশ মিনিট তো লাগবেই।নিজের এবং বালির উপর রোদ, হাঁটতে তো বেশ মজাই লাগবে!তিন কিংবা চাঁর মিনিট নৌকার জন্য অপেক্ষা করলাম,তার পর রওনা দিলাম কড়ইগড়া গ্রামের দিকে।বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম,২০১৭ সালে আমি একবার "গারো ব্যাপ্টিষ্ট কনভেনশন, জিবিসি,বাংলাদেশের" বড় সভাতে এসেছিলাম।তখন যেভাবে দেখেছিলাম চারপাশ এখনো সেই ভাবেই দেখেছি,সামান্য কিছু পরিবর্তন হয়েছে।এই'টুকুই।


নৌকায় দাঁড়িয়ে কিছু ভিডিও করেছিলাম, যা আপনারা নিচে দেখতে পাচ্ছেন।
















কড়ইকড়া'তে পৌঁচ্ছেই ব্যাগের কিছু জিনিস রেখে  রওনা দিলাম টাঙ্গুয়ার হাওর এর দিকে।নিলাদ্রি লেকে দাঁড়িয়ে বসে, আবার অপেক্ষা করলাম ট্রলার আসার অপেক্ষায়। অনেকক্ষণ বাদে ট্রলার এসে হাজির,সবাই তাড়াতাড়ি উঠে গেলাম,ট্রলার ছাড়বে বলে কথা!কিন্তুু ট্রলারে উঠেও শান্তি নেই, এই কাজ সেই কাজ,আবার অপেক্ষা।এই ভ্রমণে এত যে অপেক্ষা করতে হয়েছে!যাক বাবা তিন চাঁর ঘন্টা তো আর অপেক্ষা করতে হয়নি,বেঁচে গেলাম।ট্রলার চলতে শুরু করলো টাঙ্গুয়ার হাওর এর ওয়াচ টাওয়ারের দিকে।"টাঙ্গুয়ার হাওর"সম্পর্কে বিস্তারিত লিখছি না, আপনারা ইন্টারনেট থেকে পড়ে নিবেন।












ওয়াচ টাওয়ারে যখন পৌঁছালাম তখন থেকেই বৃষ্টি।
আমাদের ভাগ্য এমনি, খারাপ নাকি ভালো বলবো, যতক্ষণ পর্যন্ত ট্রলারে ছিলাম ততক্ষণ পর্যন্ত   বৃষ্টি আর বৃষ্টি।ওয়াচ টাওয়ারে যখন পৌঁছলাম তখন থেকে বৃষ্টি শুরু হলো।পানি ছোট এবং নিরাপদ বলে সবাই এখানে গোসল করতে আসে।অনেক জন গোসল করতে নেমে গেল। একদিকে বৃষ্টি তারপর ঠান্ডা বাতাস, গোসল কি করা যায়?তাই পানিতে নামলাম না।ওয়াচ টাওয়ারে উপরে উঠে জ্যাক আর আমি কিছু ভিডিও করলাম। যা আপনারা নিচে দেখতে পাচ্ছেন।








গোসল শেষ করে একটা বাজারের দিকে গেলাম।আবাহাওয়া কেমন ছিল তা নিচের ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন।








তারপর তো ইতিহাস...

ট্রলারে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ছিলাম।একটুকু ঘুমিয়ে নেব বলে যখনি চোখ বন্ধ করেছি আবার বৃষ্টি শুরু হলো।আমরা তো ঘুমিয়েছিলাম ট্রলারের উপরে বসার জায়গায়। নিচে জায়গা ছিল না।বৃষ্টি শুরুর হওয়ার পর  ট্রলারের নিচে বসে থাকার জন্য পর্যন্ত জায়গায় ছিল না, ফলে শেষ পর্যন্ত আমার আশ্রয় হয় রান্না ঘরে।পরে ভোরবেলা পরাজিত সৈনিকের মতো মাঝির বিছানায় শুয়ে পড়ি।সকালবেলা উঠে দেখলাম আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে।এই রাতের বৃষ্টিতে শৌভনের শখের ফোন পানিতে পড়ে যায়,টাঙ্গুয়ার হাওরের ফোনটি নিয়ে নিলো।ফোন কেনার একমাস পর্যন্ত হয়নি, দামি ফোন পানিতে!বন্ধুর জন্য অনেক কষ্ট হলো, কি আর করার।কিছু করতে পারলাম না।

টাঙ্গুয়ার হাওয়ারে ট্রলারে উপর একরাত কাটানোর কাহিনী বললে বাক্য লম্বা থেকে আরো লম্বা হতে থাকবে।




(বুধবার বিকাল থেকে বৃহঃপতি বার সারাদিন ট্রলারে ছিলাম মানে টাঙ্গুয়ার হাওর মানে পানির উপরে।)

(বুধবার-বৃহঃপতিবার,৯- ১০,১০মাস-১৯)









No comments

Theme images by saw. Powered by Blogger.