"ডিক্কা,মিরং,সু.মানচ্চি,জান্থি,ফং"= "চু"।।জাডিল মৃ।।
"ডিক্কা,মিরং,সু.মানচ্চি,জান্থি,ফং"= "চু"
জাডিল মৃ
তরুণ লেখক
ছবি-ফং এবং জান্থি। |
"চু"(মদ) বানাতে অনেক খাটুনি আছে,তা সকলেই জানি।আবার, এমনি এমনি "চু" ভালো হয় না,তার জন্য লাগে অনেক উপকরণ ও ভালো হাত।প্রথাগত "চু" বানাতে কিছু নিয়ম নীতি মানতে হয়।সে-ই দিকে নাইবা গেলাম। তবে এইটা সত্য ছিল যে, "চু" এর সাথে গারোদের সম্পর্ক জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি!যে কোন অনুষ্ঠান বা যা কিছুই হোক না কেন, চু ছাড়া কী চলে,আপনিই বলেন!অবশ্য সময়ের স্রোতে সবকিছুই পরিবর্তন হয়েছে,যা আজও হচ্ছে।তবে আজকের আলোচনার বিষয় বস্তুু "চু"বানাতে কী কী লাগে ও যেগুলো না থাকলে তো "চু" অসম্পূর্ণ লাগবেই।খুঁটিনাটি আলোচনা করবো না, শুধুমাত্র কী কী জিনিস লাগে সেটাই বলবো।
ব্যক্তিগত ভাবে "চু" নিয়ে আমার কোন এলার্জি নেই।কিন্তুু যখন দেখি মাতাল হয়ে উলটপালট করে কিংবা আচ্চুর(নানা)বাড়িতে প্রতিদিন খাওয়া হয়।তখন খুবই বিরক্ত লাগে।আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না সেটা চু হোক কিংবা অন্য কিছু, যাই হোক!
ছবি-১(ডিক্কা প্রক্রিয়াকরণ জায়গা)। |
ছবি:ডিক্কা-২ |
১.প্রথমত,
'চু' বানানোর জন্য ডিক্কা অবশ্যই লাগবে।কিন্তুু বর্তমান সময়ের স্রোতে ডিক্কার প্রচলন কমে যাচ্ছে।ডিক্কার বদলে এখন বালতি,ড্রাম,ছোট বালতি,প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস বেশি ব্যবহৃত হয়।যা খুবই উদ্বেগজনক, কেন না ডিক্কার প্রচলন কমে যাচ্ছে।আর ডিক্কা না থাকার কারণে "চু" এর আসল গুণাগুণ কিংবা অরিজিনাল স্বাদটা পাওয়া যায় না।ডিক্কা'তে "চু" বানানোটাই ভালো।আ-হা!অরিজিনাল স্বাদ।ডিক্কা বিভিন্ন রকম ধরনের ডিজাইন হতে পারে,যে যেমন মার্জি!
'চু' বানানোর জন্য ডিক্কা অবশ্যই লাগবে।কিন্তুু বর্তমান সময়ের স্রোতে ডিক্কার প্রচলন কমে যাচ্ছে।ডিক্কার বদলে এখন বালতি,ড্রাম,ছোট বালতি,প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস বেশি ব্যবহৃত হয়।যা খুবই উদ্বেগজনক, কেন না ডিক্কার প্রচলন কমে যাচ্ছে।আর ডিক্কা না থাকার কারণে "চু" এর আসল গুণাগুণ কিংবা অরিজিনাল স্বাদটা পাওয়া যায় না।ডিক্কা'তে "চু" বানানোটাই ভালো।আ-হা!অরিজিনাল স্বাদ।ডিক্কা বিভিন্ন রকম ধরনের ডিজাইন হতে পারে,যে যেমন মার্জি!
ছবি-সু.মানচ্চি |
২.দ্বিতীয়ত,
"চু" বানাতে অবশ্যই সু.মানচ্চি;লাগবে তো লাগবেই। যদি বলি সু.মানচ্চি হলো "চু" এর প্রাণ,ভুল হবে কী! কারণ সু.মানচ্চির উপর নির্ভর করে চু কেমন হবে,তিতা,মিষ্টি নাকি...!! যাই হোক,ডিক্কার পরিবর্তে যেমন প্লাস্টিকের জিনিস ব্যবহার করা যায় কিন্তুু সু.মানচ্চির কোন বিকল্প নেই।সু.মানচ্চি অবশ্যই থাকতে হবে।সু.মানচ্চি বানানোর কিছু কৌশলগত দিক আছে।যা সবাই পারে না,সবার দিয়ে হয় না,যার হাত ভালো তার তা বেশি ভালো হয় সু.মানচ্চি। বলতে পারেন,গুপ্ত বিদ্যা!হাহাহাহা...হিহিহি...
"চু" বানাতে অবশ্যই সু.মানচ্চি;লাগবে তো লাগবেই। যদি বলি সু.মানচ্চি হলো "চু" এর প্রাণ,ভুল হবে কী! কারণ সু.মানচ্চির উপর নির্ভর করে চু কেমন হবে,তিতা,মিষ্টি নাকি...!! যাই হোক,ডিক্কার পরিবর্তে যেমন প্লাস্টিকের জিনিস ব্যবহার করা যায় কিন্তুু সু.মানচ্চির কোন বিকল্প নেই।সু.মানচ্চি অবশ্যই থাকতে হবে।সু.মানচ্চি বানানোর কিছু কৌশলগত দিক আছে।যা সবাই পারে না,সবার দিয়ে হয় না,যার হাত ভালো তার তা বেশি ভালো হয় সু.মানচ্চি। বলতে পারেন,গুপ্ত বিদ্যা!হাহাহাহা...হিহিহি...
ছবি-মিরং(চাল) |
৩.তৃতীয়ত,
"চু"বানাতে মিরং (চাল)লাগবে না, এইটা কেমন কথা?অবশ্য অন্য জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে "চু"বানাতে চাল লাগে না, আবার লাগেও।চালের উপরো নির্ভর করে কি রকম "চু"হবে বা কেমন চু বানাতে চাইছেন।চিকন চাল,মোটা চাল নাকি মিমিদ্দিম(বিন্নি চাল) বা ব্বিয়া মিরং।যাই হোক,চু বানাতে চালের প্রক্রিয়াকরণ আছে।যা যথাযথ প্রক্রিয়াকরণ না করলে চু বানানো বৃথা হয়ে যাবে।তাই সাবধানে সবকিছুই দেখভাল করে চু বানাতে হবে।
"চু"বানাতে মিরং (চাল)লাগবে না, এইটা কেমন কথা?অবশ্য অন্য জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে "চু"বানাতে চাল লাগে না, আবার লাগেও।চালের উপরো নির্ভর করে কি রকম "চু"হবে বা কেমন চু বানাতে চাইছেন।চিকন চাল,মোটা চাল নাকি মিমিদ্দিম(বিন্নি চাল) বা ব্বিয়া মিরং।যাই হোক,চু বানাতে চালের প্রক্রিয়াকরণ আছে।যা যথাযথ প্রক্রিয়াকরণ না করলে চু বানানো বৃথা হয়ে যাবে।তাই সাবধানে সবকিছুই দেখভাল করে চু বানাতে হবে।
৪.চতুর্থ,
"ফং" অতি প্রয়োজনীয় বস্তুু।কেন না,চাবি ছাড়া যেমন তালা খোলা যায় না, তেমনি "ফং" ছাড়া চু উঠানো যায় না।মানে যদি সঠিক নিয়মে থুক্কু প্রথাগত দিক দেখি তাহলে "ফং" হচ্ছে তালার চাবি।"ফং" এর বিকল্প হিসাবে এখন প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহৃত হয় যা সত্যিই উদ্বেগজনক বটে!কারণ ডিক্কার মতো ফং এর প্রচলন কমে যাচ্ছে।এখন যৎসামান্য বাড়িতেই ফং এর ব্যবহার পাওয়া যায়,বলতে পারেন সৌখিন বাড়িতে। এই যাবৎ থানারবাইদের নকমা বাড়িতেই প্রচুর ফং দেখেছি।
"ফং" অতি প্রয়োজনীয় বস্তুু।কেন না,চাবি ছাড়া যেমন তালা খোলা যায় না, তেমনি "ফং" ছাড়া চু উঠানো যায় না।মানে যদি সঠিক নিয়মে থুক্কু প্রথাগত দিক দেখি তাহলে "ফং" হচ্ছে তালার চাবি।"ফং" এর বিকল্প হিসাবে এখন প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহৃত হয় যা সত্যিই উদ্বেগজনক বটে!কারণ ডিক্কার মতো ফং এর প্রচলন কমে যাচ্ছে।এখন যৎসামান্য বাড়িতেই ফং এর ব্যবহার পাওয়া যায়,বলতে পারেন সৌখিন বাড়িতে। এই যাবৎ থানারবাইদের নকমা বাড়িতেই প্রচুর ফং দেখেছি।
ছবি-বাঁশের জান্থি। |
৫.
পঞ্চম
জান্থির প্রয়োজনীয়তাও কিন্তুু কম নয়!জান্থি হলো জালের মতো মানে চা সাকনির মতো,সাকনি চায়ের গুড়া আটকিয়ে দেয়।তেমনি জান্থি একি কাজ করে মাঝখানে যেন "চু" বা "বিচ্চি" তোলার সময় ভাত এসে না পড়ে।আমার দেখা শুধু মাত্র জান্থি বাঁশ দিয়ে বানাই, কিন্তুু এখন দেখছি প্লাস্টিকের ব্যবহার।
"চু" বানাতে এর অপরিহার্য পাঁচটি জিনিস ।অনেকে বলতে পারেন, এমনে সেমনে বানানো যায়। হ্যাঁ,বানাতে পারেন তাতে কোন সমস্যা নেই। আমি শুধুমাত্র বলতে চেয়েছি,প্রথাগত ভাবে কিকি জিনিস লাগে!
"চু" খাওয়ার একটা রীতি ছিল,নিয়ম ছিল, তার কারণ ছিল।কিন্তু এই সময়ে খাইতে কোন কারণ লাগে না!যাই হোক সময়ের স্রোতে অনেককিছুই মানতে হয়,মানতে বাধ্য!আপনাদের মনে হতে পারে, আমরা তো জানিই চু বানাতে কী কী লাগে। এখন প্রাসঙ্গিকতা না থাকলেও অনেক বছর পরে এইটা তথ্যবহুল লেখা হয়ে থাকবে, হয়তো!নতুন প্রজম্ম জানতে পারবে কিকি লাগে, ছবি-সহ...
সময় থাকলে একটু চিন্তা কইরেন,
এই যে পাঁচটি জিনিস লাগে এখানে কোন প্রকৃতির ক্ষতিকরে এমন উপাদান আছে?নাই।
কি করছি! আমরাই প্লাস্টিকের ব্যবহার বা পরিহার্য করে তুলছি, তা ঠিক?একটু মাথায় যেন থাকে।আর আপাতোত চু খাওয়ার দরকার নাই।
#সুস্থ্য থাকুন #বাড়িতে থাকুন #নিরাপদে থাকুন।
এই যে পাঁচটি জিনিস লাগে এখানে কোন প্রকৃতির ক্ষতিকরে এমন উপাদান আছে?নাই।
কি করছি! আমরাই প্লাস্টিকের ব্যবহার বা পরিহার্য করে তুলছি, তা ঠিক?একটু মাথায় যেন থাকে।আর আপাতোত চু খাওয়ার দরকার নাই।
#সুস্থ্য থাকুন #বাড়িতে থাকুন #নিরাপদে থাকুন।
No comments