হাগুড়াকুড়ী বাজার,স্মৃতিরোমন্থন।
হাগুড়াকুড়ী বাজার,স্মৃতিরোমন্থন।
জাডিল মৃৃ
জাডিল মৃৃ
তরুণ লেখক
হাগুড়াকুড়ী বাজার |
অনেকদিন বাদে হাগুড়াকুড়ী বাজারে গিয়েছিলাম।সম্ভবত দিনটি শনিবার ছিল। বাজারটি তে'মাথা ও কালিয়াকুড়ী বাজার বা জায়গাটির মাঝখানে অবস্থিত।বাজারটি ফুলবাগচালা ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে পড়েছে।
সেটির আয়তন .০৩ কি.মিঃ।
করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে মানুষ জন কম ছিল তবুও সেটা নেহাতি কম বলা চলে না।
দেখলাম,মানুষজন মোটামোটি খুবই সচেতন।সবাই মাস্ক পড়েছে, বাজার শেষে সবাই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যাচ্ছে,একে অন্যের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে,কেউ আবার সারিবদ্ধ ভাবে বাজার করছে।হাগুড়াকুড়ী বাজারটি সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবারে হাট বসে।
সেটির আয়তন .০৩ কি.মিঃ।
করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে মানুষ জন কম ছিল তবুও সেটা নেহাতি কম বলা চলে না।
দেখলাম,মানুষজন মোটামোটি খুবই সচেতন।সবাই মাস্ক পড়েছে, বাজার শেষে সবাই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যাচ্ছে,একে অন্যের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে,কেউ আবার সারিবদ্ধ ভাবে বাজার করছে।হাগুড়াকুড়ী বাজারটি সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবারে হাট বসে।
হাতে সময় কম ছিল সাথে ভাইরাসের ভয় সে-ই জন্য বেশিক্ষণ বাজারটি পর্যবেক্ষণ বা দাঁড়িয়ে দেখার স্থায়িত্ব কম ছিল।কিন্তুু আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি বিষয় খেয়াল করেছি।
এক,
বাজারে ঢুকার সাথে সাথে খেয়াল করেছি 'নাখাম' কেউ বিক্রি করে কীনা!দেখেছি দুইজন ব্যক্তি নাখাম নিয়ে এসেছে কিন্তুু দু'ব্যক্তিই অ-গারো ছিল।তারা(অ-গারো) তো "নাখামি" খাই না,অনেকে তো সহ্যই করতে পারে না।ভাবছিলাম, গারো কেউ নাখাম পর্যন্ত বিক্রি করতে আসে না।ব্যবসার জন্যও উৎপাদন করে না, শুধু খাই আর খাই।"নাখাম" পর্যন্ত হাতে নেই!!!বিক্রি করে না!!যারা খাই না তারাই ব্যবসা করছে।কীরে ভাই কী অবস্থা!মরণ!
বাজারে ঢুকার সাথে সাথে খেয়াল করেছি 'নাখাম' কেউ বিক্রি করে কীনা!দেখেছি দুইজন ব্যক্তি নাখাম নিয়ে এসেছে কিন্তুু দু'ব্যক্তিই অ-গারো ছিল।তারা(অ-গারো) তো "নাখামি" খাই না,অনেকে তো সহ্যই করতে পারে না।ভাবছিলাম, গারো কেউ নাখাম পর্যন্ত বিক্রি করতে আসে না।ব্যবসার জন্যও উৎপাদন করে না, শুধু খাই আর খাই।"নাখাম" পর্যন্ত হাতে নেই!!!বিক্রি করে না!!যারা খাই না তারাই ব্যবসা করছে।কীরে ভাই কী অবস্থা!মরণ!
দুই,
অনেক বাঙালি আছে যারা "কুৎচিয়া" খাই না আবার অনেকেই খাই।যখন থেকে কুৎচিয়া বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু হলো বা অনেকে খাওয়া শুরু করলো তখন কুৎচিয়ার দাম বেড়েগেল।আমাদের দিকে অ-গারোরা কুৎচিয়া কমি খাই।তবে যিনি বেচতে এসেছেন তিনিও বাঙালি ছিলেন।ছোটবেলায় কুৎচিয়া সব্বোর্চ ২৫/৩০ টাকা কেজি পর্যন্ত কিনেছি আর এখন-এখন তো ২৩০-২৫০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না।বেশি টাকা দিয়ে হলেও পাওয়া যায় না।কি-যে এক অবস্থা!যদি সবাই খেতো তাহলে কী অবস্থাই না হতো।
অনেক বাঙালি আছে যারা "কুৎচিয়া" খাই না আবার অনেকেই খাই।যখন থেকে কুৎচিয়া বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু হলো বা অনেকে খাওয়া শুরু করলো তখন কুৎচিয়ার দাম বেড়েগেল।আমাদের দিকে অ-গারোরা কুৎচিয়া কমি খাই।তবে যিনি বেচতে এসেছেন তিনিও বাঙালি ছিলেন।ছোটবেলায় কুৎচিয়া সব্বোর্চ ২৫/৩০ টাকা কেজি পর্যন্ত কিনেছি আর এখন-এখন তো ২৩০-২৫০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না।বেশি টাকা দিয়ে হলেও পাওয়া যায় না।কি-যে এক অবস্থা!যদি সবাই খেতো তাহলে কী অবস্থাই না হতো।
দু'বিষয় থেকেই আমাদের বুঝতে বাকি নেই আমরা কোন পর্যায়ে আছি।সম্ভবত গারো কেউ এখন আর বেচাকেনার জন্য 'নাখাম'বানাই না।তারাইইই বানাই!!!আমরা সবকিছু দিক থেকেই শিকলে বাঁধা পড়েগেছি।
যাই হোক, আপনাদের এত ভাবাতে চাই না; তারচেয়ে বরং,
আমি কিছুক্ষণ যে বাজারের এক কোণায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখান থেকেই স্মৃতিরোমন্থনের কথা বলতে চাই..
আমি কিছুক্ষণ যে বাজারের এক কোণায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখান থেকেই স্মৃতিরোমন্থনের কথা বলতে চাই..
হাগুড়াকুড়ী বাজারটি ছবিতে যেমন দেখছেন সেটা এতটাইবা ছোট ছিল না।অনেক বড় বিস্তৃত জায়গা নিয়ে বাজার'টি বসতো।এখন সে-ই জায়গাতে কলাবাগান, আনারস বাগান,পেঁপে বাগান হয়েগেছে।আমি যখন প্রাইমারি স্কুলে ছিলাম তখন গরুর গাড়ি ও ভ্যানে করে প্রায় সেই বাজারটি'তে যেতাম।প্রায় সময় যেতাম মামাদের সাথে আচ্চুর(নানা) ধান বেচতে। অনেক সময় পুরো গাড়ির ধান বেচতে পারতাম অনেক সময় পারতাম না।তারা যখন বাজার থেকে কিছু খাবার ও অপ্রত্যাশিত জিনিস কিনে দিতো তাতেই আমি খুশি ছিলাম।কারণ তখন চাহিদা বলতে বাজারে ঘুরতে যাওয়া, বাজার দেখতে পাওয়া সেটাই বড় পাওনা ছিল।তখনকার মতো তেমন এখন দোকানপাট নেই,মানুষ জন কম। কারণ এখন তো গ্রামে গ্রামে অনেক দোকানপাট ও সবজিও এখন সহজলভ্য।আগে যেমন বাজার ছাড়া কাঁচাবাজার পাওয়া দু্ষ্কর ছিল এখন সময় পাল্টেছে।এখন তো হাতের মুঠোয় সবকিছুই পাওয়া যায়,সবকিছুর বিরাট পরিবর্তন হয়েগেছে ।আগে বাজার বসলে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকতো ও কেনাবেচা হতো।এখন তো আগের মতো জৌলুস দৃশ্য নেই।ছোটবেলায় বাজারে হারিয়ে যেতে ভয় পেতাম,তাই মামাদের পিছন পিছন লেগে থাকতাম।সে-ই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে হাসি পাই।এমনো দিন আছে প্রাইভেট বা পড়াশুনার ভয়ে বাজারে যেতাম বা যেতে চাইতাম।সময় ও সুযোগ থাকলে বাজারে যাওয়া মিস করতাম না, এখনো করি না।মাঝে মাঝে মনে হয় কত কিছুই তো পরিবর্তন হয়েছে, হচ্ছে।শুধু আমি নিজেই একি রয়েগেলাম।
যাদের সাথে বাজারে যেতাম তাদের কারোর সাথে এখন কোন যোগাযোগ নেই।তারা কোথায় আছে বা কী করে কিছুই জানি না।তবে আমি খুব ভাগ্যবান ছিলাম যে কিছু সুন্দর স্মৃতি আমি পেয়েছি তাদের কারণেই ও স্মৃতিরোমন্থন করতে পারছি।
শুনেছি,হাগুড়াকুড়ী বাজারটি যেখানে বসে কিংবা আশেপাশের যতজমি ছিল সবি গারোদের ছিল।এখন যা ইতিহাস,হয়তো একদিন সবি ইতিহাস হয়ে থাকবে।শুধু মাত্র লোকমুখে থাকবে,'গারোদের ছিল,গারোদের ছিল, গারোদের ছিল......!!
No comments