অগুছালো আমার লেখা; কক্সবাজার -১


Jadil Mri


লেখা গুলো বিছিন্ন ভাবে লিখেছি ,ছবিও বিছিন্ন ভাবে দিয়েছি। সবকিছুই অগুছালো সবকিছুই বিচ্ছিন্ন তবে  একে অপরের সাথে সম্পর্কিত ।


 কোরাম
   


জীবনে সবকিছুই পাওয়া হয়েগেছে, যখন মনে হয়;তখন অসময়ে এমন কিছু পাওয়া দরকার যা অপ্রত্যাশিত। জীবনে প্রথম বারের মতো আমি আজকে  কক্সবাজারে উপস্থিত  হয়েছি, আমি বাস্তবতার সাক্ষী রেখে এই সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে আছি।এই বিশাল সমুদ্রজল আমার মনের ভেতর এক অন্য রকম মনুষ্যত্বপূর্ণ জীবন দান করেছে।এই বিশাল সমুদ্রতা আমায় দিয়েছে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।যদিও আমার কল্পনার মত কোন কিছু হয়নি মানে যা প্রত্যাশা করেছিলাম তা পূরণ হয়নি তবে সবকিছু মিলিয়ে খারাপ সময় যায়নি।যেমন কিছু খারাপ সময় ছিল তার চাইতে বেশি ছিল ভালো সময়।
আমার কাছে মনে হয়েছে যতটুকু অনুভব করা দরকার বা করা উচিত ততটুকু অনুভব বা মজা পাওয়া যাবে না যদি না প্রমিক বা প্রেমিকা না থাকে(ব্যক্তিগত মতামত)।মানে যদি কারো প্রেমিক বা প্রেমিকা থাকে তাহলে অবশ্যই নিয়ে যেতে চেষ্টা করবা।যেন পরে আপসোস না হয়।


জীবন স্টাইল 


সবাই যখন গোসল করছিল,মজা করছিল, আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম।আমাকে অনেক ভাবে গোসলের  করানো চেষ্টা করা হয়েছিল, আমি শেষ পর্যন্ত সমুদ্রজলে নামিনি ।আমি চেয়েছিলাম সমুদ্র জলে না নেমে কোন কিছু অনুভব করা যায় কিনা! আমি নিজে নিজেই চিন্তা করছিলাম এই সমুদ্রজলের মত যদি সব মানুষের বিশাল মন হতো যেখানে কোন নিজ স্বার্থ,হিংসা থাকতো না। সমুদ্রেরর মতো যদি সব মানুষের ভালোবাসা থাকতো তাহলে পৃথিবী আরো কতই না সুন্দর হতো!

ভালো লাগার কিছু কথা শেয়ার করতে চাই..
আমরা যে জায়গাটিতে ছিলাম সেই জায়গা ছিল আবাসিক এলাকা কোন একটা এনজিওর প্রতিষ্ঠান ছিল।এত বেশি জায়গা যে সুন্দর না হলেও খুব নিরিবিলি পরিবেশ ছিল,অনেকের হয়তোবা ভালো লাগে নাই।আমার কাছে কেমন যেন ভালো লেগে গিয়েছিল।যেখানে শুধু আমরা আমরাই ছিলাম, নিজের মত করে থাকতে পেরেছিলাম।খাবারের কথা বাদি দিলাম।



কচ্ছপ 



আমাদের কয়েক জনের ভাগ্য এত ভালো যে আমরা একটা সমুদ্র কচ্ছপ এর দেখা পেয়েছিলাম(কচ্ছপ বলব নাকি কি বলব বুঝতাসি না)।কিন্তুু আমরা কচ্ছপের শুধু মাত্র দেহ দেখতে পেরেছিলাম তখন কচ্ছপের আর প্রাণ ছিল না।কিছু সংখ্যক ছোট বড় লাল কাঁকড়া দেখেছিলাম দেখেছিলাম কিন্তুু ছবি তুলতে পারিনি।
এই বিশাল সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে ভাটার সময় মানে তীর থেকে পানি অনেক দূর পর্যন্ত সরে গিয়েছিল। যতদূর পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল ততদূর পর্যন্ত গিয়ে সূর্যাস্ত দেখেছি।সচারচর আমরা যেমন সূর্যাস্ত দেখে থাকি তেমন না,তখন অদ্ভুত রকম ভাবে অনুভূতির সৃষ্টি হয়।এই বিশাল সমুদ্রের মাঝখান দিয়ে চারিদকে শুধু পানি আর পানি  সূর্য যখন আস্তে আস্তে পানির নিচে নেমে যায় তখন দেখতে দারুণ লাগে।যদি কেউ কখনো ঘুরতে যাও এই দৃশ্যটা মিস করা যাবে না।তাহলে ঘুরতে আসাটা বৃথা যাবে।


নেতাজী



আমার কাছে বার্মিজ মার্কেট দারুণ লেগেগেছে,যখনি বার্মিজ মার্কেটে পৌঁছালাম তখনি রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর কিছু লোক দেখতে পেলাম।তখন মনে হলো,আচ্ছা তাহলে শেষ পর্যন্ত আদিবাসীদের সাথে দেখা হয়ে গেল।যতই মার্কেট গুলো দেখতে লাগলাম অনেক গুলো রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর দোকান পেলাম।খুব আশ্চর্যের বিষয় হলো যাদের কে দোকানদার হিসাবে পেলাম বা দেখেছি সব হচ্ছে মেয়ে। যত দোকান ঘুরেছি বা অন্যান্য জায়গায় গিয়েছি তার মধ্যে পুরুষ হাতে গোনা কয় একজন আর বাদ বাকি সব বিক্রেতা মেয়ে দেখেছি।



No comments

Theme images by saw. Powered by Blogger.