বহু ভাষার দেশ পাপুয়ানিউগিনি

 JaDil Mri







বহু ভাষার দেশ পাপুয়ানিউগিনি



যোগাযোগেরর প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ভাষা,ভাষা ছাড়া যোগাযোগ কল্পনা করা যায় না।মানুষের যোগাযোগের জন্য যেমন ভাষা আছে তেমনি কম্পিউটার বা অন্যন্য যোগাযোগের জন্য সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আছে সংকেত।আমরা মনে করতে পারি রাশিয়া,চীন,ভারত,আমেরিকা বা যুক্তরাজ্য প্রভূতি দেশ যেহেতু বড় সেখানে বহু ভাষায় মানুষ জন কথা বলে। আমাদের ধারণা একে বারেই ভুল।পৃথিবীতে সবচাইতে বহু ভাষার দেশ হচ্ছে পাপুয়ানিউগিনি।পৃথিবীতে প্রায় সাত হাজারেরর মত ভাষা আছে। তার মধ্যে পাপুয়ানিউগিনিতেই পৃথিবীতে যত ভাষা আছে এর ১১.৮৬ শতাংশ।

পাপুয়ানিউগিনিতে প্রায় ৮২০ মত ভাষা আছে। কিন্তুু অফিস আদালত সংসদ সংবাদ বা যোগাযোগের জন্য প্রধানত তিনটি ভাষা ব্যবহার করা হয়।যেমন,ইংরেজি,হিরি মতু এবং পিজিন।পিজিন হচ্ছে এক ধরনের কৃত্রিম ভাষা যেটা কিনা অনেক ভাষা সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে।

পাপুয়ানিউগিনি প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটি মূলত ওশেনিয়া মহাদেশে।এই দেশটির আয়তন প্রায় ৪ লাখ ৬২ হাজার ৮৪০ বর্গ কিলোমিটার। পাপুয়ানিউগিনি ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতা লাভ করে অস্ট্রেলিয়া থেকে।এই দেশে রয়েছে অনেক মূল্যবান সম্পদ এবং রয়েছে ঘন বন জঙ্গল। প্রচুর ঘন জঙ্গল থাকার কারনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাওয়া খুবই দুষ্কর ব্যাপার।এমনো জায়গা আছে যেখানে যেতে চাইলে হেলিকপ্টার ছাড়া যাওয়া যাবে না।এই দেশে অনেক আদিবাসীর বসবাস।যোগাযোগের জায়গাটা  দুষ্কর হওয়ার ফলে এক জাতির সাথে অন্য জাতির ভাষা মিল খুঁজে পাওয়া যায় না বা সম্পর্ক সৃষ্টি হয়নি।এমনো অনেক জাতিগোষ্ঠী পাওয়া যায়, যাদের লোকসংখ্যা এক হাজার বা তার থেকেও কম মানুষ নিজের ভাষায় কথা বলে।

পাপুয়ানিউগিনিতে যে ভাষাটা সবচাইতে বেশি ব্যবহার হয় সেটা হচ্ছে এনগা।এনগা ভাষায় প্রায় ২ লক্ষর এর অধিক মানুষ কথা বলে।

No comments

Theme images by saw. Powered by Blogger.