অগুছালো আমার লেখা, ভাইরা জীবন;কক্সবাজার ২

Jadil Mri



অগুছালো আমার লেখা, ভাইরা জীবন💓;কক্সবাজার ২








সূর্য তুমিও আমার মতো একা



সবকিছু তো আর লেখা যায় না,ঘটনার কিছু কিছু অংশ লেখতে হয়।সেই সুবাধে আমার ভাইরা জীবন কে নিয়ে নিজের মত করে অগুছালো ভাবে যা পারি সবকিছুই লিখছি।

আমার ভাইরা আমাকে অনুরোধ করেছিল তাই লিখলাম..প্রমাণ সহ নিচে দেওয়া হলো ..😁😁😁😁







প্রথম মত আমার ভাইরা" জীবন "একজন বিরক্তিকর মানুষ😴😴।বিরক্তিকর বলছি এই কারনে যে যার মধ্যে কোন সিরিয়াস জিনিশটাই নাই।তবে একদিকে ভালো সিরিয়াস জিনিশ নাই বলেই কাউকে কষ্ট দেয় না বা দিতে পারে না।হিসাব মতে জীবন আমার ভাইরা হবে না,কোন মতেই কোন কালেই ভাইরা হওয়া অসম্ভব।  কিন্তুু কোন এক কারনে গুজামিল ভাবে ভাইরা হয়ে যায়।যাই হোক,জীবনের টাইটেল আমি প্রকাশ করবো না,যদি সে কিছু মনে করে তবুও ঝুঁকি নিয়ে নামটাই বলে দিলাম,হাহাহাহহিহিহিহি হাহাহহাাহহিহিহিহসিসিসি।
ভাইরা কি রাগ করলো নাকি, চিন্তার বিষয়!হেহেহেহিহহি🤣🤣😂😂

জীবন কে নিয়ে লিখলে অনেক কিছুই লেখা যায়, যার মধ্যে অনেক গুলো কেচ্ছা কাহিনী আছে।সেই সব কেচ্ছা কাহিনীতে যাবো না,যদি বলে দেয় ভাইরা রাগে আগুন হয়ে যাবে।তখন আমাদের ভাইরা সম্পর্ক চিড় ধরতে পারে,আমি অবশ্য সিওর না।হাহাহাহাহহিহহিহিহিহিহিহি....🤣😂😂

কি ভাইরা কেমন লাগে?😎😎

 কারন ভাইরার সত্য মিথ্যা অভিনয় বুঝা খুবই মুশকিল🙄🙄।ভাইরা আগে থেকে এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে, এখন কাজের কাজ করে, কাজ করতে ভালোবাসে।ভাইরা আগের থেকে এখন বেশ মন উদার😍😍🤩😘।আগে দশ কি দুই টাকাও পকেট  বের হতো না আর এখন একশ কি পাঁচশ টাকা পর্যন্ত বের হয়ে যায়। এত অল্প সময়ে পরিবর্তন যে কোন মানুষকে অবাক করে দিবে।😮😮


আমাদের একট গ্রুপ আছে। আমরা নিজে নিজেরাই তৈরি করেছিলাম।ভাইরা কে ছাড়া কোন ভাবে ভ্রমণ কল্পনা করা যায় না কারন ভাইরা যেখানে থাকে ভ্রমণ খারাপ হলেও সেই ভ্রমণ কেমনে কেমনে জানি জমে যায়।এই বারের ভ্রমণটাও জমে গিয়েছিল,কারন ভাইরা সাথে ছিল।যখন শুনলাম ভাইরা যাবে হঠাৎ করেই যাওয়ার জন্য মন কেমন করে যেন উঠাল পাতাল শুরু হয়ে গিয়েছিল।জানতাম,ভাইরা যেখানে থাকবে সেখাসে অটোমেটিক মজা হবেই।সবকিছু তো আর বলা যায় না আমাদের সাথে ঘটে যাওয়া মানে ভাইরার সাথে ঘটে যাওয়া একটা কাহিনী শেয়ার করতে চাই।😏😏

ভ্রমনের সময় জীবন ভাইরা একটি মেয়ে কে পছন্দ করে ফেলে,সে নানা ভাবে মেয়েটিকে নিজের পছন্দের কথা বলতে থাকে। কিন্তুু মেয়েটি বুঝতে সক্ষম হয় কিনা সেটা অবশ্য তখন জানতাম না।ভাইরা কোন মতেই বুঝাতে পারলো না যে মেয়েটি তার পছন্দ হয়েছে।যেহেতু কোন ভাবেই বুঝাতে পারছিল না তখন মহা বিপদ হিসাবে দেখা দেয়।ভাইরা জীবন খুব চিন্তায় পড়ে যায়,কি করা যায় কি করা যায় ভাবতে থাকে।আমরা নানা ভাবে পরামর্শ দিতে থাকি এটা করো সেটা করো ওটা করো কিন্তুু কোন ভাবেই কোন কিছু হয় না, কোন কাজ হচ্ছিল না।

ভ্রমন চলাকালীন এক সময়ে যখন আমরা অটোতে উঠলাম তখন মেয়েটিও আমাদের সাথে উঠে পড়লো। তখন রাত সাড়ে সাতটা বা কি আটটা।ভাইরার কি মজা, তখন মনে হচ্ছিল ভাইরা মতো সুখী মানুষ পৃথিবীতে আর কেউ নাই🤠।ভাইরা এত সুখী যে তার মুখ জ্বল জ্বল করছিল, বার বার মুখমন্ডল ঝিলিক দিয়ে উঠেছিল😇। খুব মজার ব্যাপার হলো ভাইরা এবং মেয়েটি সোজাসোজি বসেছিল,অবশ্য এটা সাধারণ ব্যাপার, ভাইরার দৃষ্টি সর্বদা মেয়েটির দিকেই ছিল।কথার প্রসঙ্গে আমাদের অনেক কথা হয়েছিল, কথা চলছিলো তো চলছিল অন্যদিকে মেয়েটিও আমাদের কথায় মুচকি মুচকি হাসছিলো। কথার ছলে আমার  আরেক বন্ধু বলেই ফেললো, তুই যদি বলতে পারস তুই কাকে পছন্দ করসো বা কাকে পছন্দ হয়সে সাহস করে, তাহলে তোর অটো ভাড়া আমি দিয়া দিবো(পাইজলামি করে বলসিলো অবশ্য)।এই পাইজলামিটাই ভাইরার জন্য আর্শীবাদের কারন হয়ে দাঁড়ায় তখন আমরা বলতে থাকলাম যে কোন একজনরে বলে দে অটো ভাড়া বেঁচে যাবে..হাহাহাহহিহিহিিহহিিহ(আমরা অবশ্য জানতাম কাকে পছন্দ করে)


ভাইরা তখন খুবই সিরিয়াস.. বুঝতে পারছিল না, আসলে বলে ফেলবে নাকি বলবে না।আমরা তখন শয়তানেরর মতো কাজ করলাম প্ররোচনা দিতে লাগলাম, বলতে লাগলাম বলে দাও বলে দাও অটো ভাড়া বেচে যাবে।তখন ভাইরা বলতে লাগলো, যারে পছন্দ করি তারে বলতে তো সমস্যা নাই।সে আমার সামনেই বসে আছে ,সে আর কেউ না  ।একটু থেমে সময় নিয়ে ,মেয়ের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ করেই বলে উঠলো, আমি তারে পছন্দ করি😍।হঠাৎ করেই চারিদিকে সবকিছু থমকে গেল,কারো কোন কথা নাই🤐😶😶।আমরা সবাই বোকচোদ হয়ে গেলাম।কাহিনী অন্য দিকে মোড় নিতে থাকলো.....তারপর. ......তারপর.......🤔🤔🤔

🤔🤔🤔🤔🤔
তারপর অনেক কিছুই হয়ে গেল.... সেইগুলো আর নাই বলি... 🤐🤐🤐🤐

তখন আরেক বন্ধু ভ্যাবাচ্যাকা খেল, তার কল্পনাতেও আসিনি এমনি করে সামনা সামনি বলে দিবে। শেষ পর্যন্ত   বাধ্য হয়ে অটো ভাড়া দিতে হলো।😌

আমরাও ভাবি নাই এমন করে বলে দিবে...😐😐

(বি:দ্র- সংসারে কি আগুন জ্বলবে? 🤔নাকি ফায়ার সার্ভিস রেডি😌😌😌?)









No comments

Theme images by saw. Powered by Blogger.