আদিবাসী স্বীকৃতির প্রশ্নে কে মীর জাফর ?
Nipon Tripura
আদিবাসী স্বীকৃতির প্রশ্নে কে মীর জাফর ? সরকার না আদিবাসী জনগণ? চলুন তাহলে এর উত্তর খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করি
১। প্রথম ছবির ক্যাপশন- আওয়ামীলীগ ২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদের আগে তার ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহার। সে ইশতেহারে আওয়ামীলীগ আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার করেছে এবং আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে তারা ঐক্যমতে পৌঁছেছিল এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের কথাও অঙ্গীকার করেছিলেন। বিস্তারিত ইশতেহারের লেখা আছে ।
২।জাতিসংঘ-ঘোষিত বিশ্ব আদিবাসী দিবস সামনে রেখে বিভিন্ন সময়ে সরকারপ্রধানেরা বাণী দিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন। যেমন, ২০০৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের প্রকাশনা সংহতি ২০০৯-এ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় বজায় রেখে আদিবাসী জনগণ যাতে সকলের মতো সমান মর্যাদা ভোগ করতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।...জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত আদিবাসী অধিকার ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নেও আমরা একযোগে কাজ করতে চাই।’ (সূত্র: ‘সংহতি ২০০৯’ বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম)। এ ছাড়া ২০০৮ সালে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি আদিবাসীদের অধিকারের প্রতি সংহতি জানিয়েছিলেন। ২০১০ সালে বর্তমান সংসদ উপনেতা ও জাতীয় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সাজেদা চৌধুরী ‘ট্রাইবেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর প্রকাশনা অংশীদার, আন্তর্জাতিক বিশ্ব আদিবাসী দিবস-২০১০-এ তাঁর বাণীতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন (সূত্র: জেম্স জর্নেশ চিরান ও দুলেন আরেং সম্পাদিত ‘অংশীদার’, ২০১০)
৩। ২০০৮ সালের ৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে আয়োজিত শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে সমাবেশে দীপু মনি আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষার পক্ষে বক্তব্য দিয়েছিলেন। কিন্তু আদিবাসীদের স্বীকৃতির প্রশ্নে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের অবস্থান এখন উল্টো পথে। বলাবাহুল্য আই এল ও কনভেনশন ১০৭টি বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭২ সালে অনুস্বাক্ষর করেছিল। তিনিও স্বীকার করে নিয়েছিলেন বাংলাদেশে আদিবাসী আছে।
৪। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০০৪ সালে বি এন পি- জামাত জোট সরকারের আমলে মধুপুরের ইকৈপার্ক বিরোধী সমাবেশে পুলিশ ও বকথিত বনরক্ষীদের গুলীতে নিহত হওয়া পীরেন স্লানের স্ত্রী রিতা নকরেকের সাথে দেখা করে ক্ষমতায় এলে তিনি সমতলের আদিবাসীদের ভূমি মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার এবং সে সময়ের বি এন পি সরকারকে তিনি আহবান জানিয়েছিলেন । টানা ১০ বছর শাসন করেছেন , সমতলের আদিবাসীরা ভূমির মালিকানা ফিরে পেয়েছি কি ? এ ব্যাপারে বাংলাদেশের মাথা মোটা বুদ্ধিজীবীদের কোন ভাবনা আছে কি? উল্টো দিনে আলোর মত পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি , গাইবান্ধাই গোবিন্দগঞ্জে সান্তালদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে, লাশে পর লাশ ফেলে সেখান থেকে সান্তালদের উচ্ছেদ করেছে। মধুপুরে এখনো বন আইনের মামলাই আতঙ্কে মানুষ ভিটে ছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
৫। বর্তমান সরকার ২০১০ সালে ২০১০ সালে আদিবাসীদের মতামতের তোয়াক্কা না করে ১২ এপ্রিল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান- ২০১০ আইনটি প্রণয়ন করা হয়।মজার ব্যাপার হল- এই আইনের ধারা ২(২) এ বলা হয়েছে, ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ অর্থ তফসিলে উল্লিখিত বিভিন্ন আদিবাসী তথা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও শ্রেণীর জনগণ’। একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশে কোনো আদিবাসী নেই (!) আবার একই আইনে বলা হচ্ছে, আদিবাসীরাই ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’!
৬। ২০১১ সালে আদিবাসী জনগণ, রাজনৈতিক ও সামাজিক ছাত্র সংগঠন সমূহের ব্যাপক বিরোধিতার স্বতেও ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে বাঙ্গালীর বাইরে যারা এ দেশে বাসবাস করেন তাদের সকলকে উপজাতি থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বানিয়ে দেয়া হয় যা রাষ্ট্র কতৃক মানুষ হিসেবে মানুষের অস্ত্বিতের পরিচয়কে অস্বীকারের সমান।
৬। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় যে মন্ত্রণালয়য় সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির একটি ফসল হিসেবে। তারাও উপসচিব (সমন্বয়-২) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে (স্মারক নং-পাচবিম (সম-২) ২৯/২০১০/২৫, তারিখ: ২৮/০১/২০১০) বাংলাদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন ভাষাভাষী ৪৫টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী’ না বলে ‘উপজাতি’ হিসেবে অভিহিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। কেবল পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় নয় ‘বিশ্ব আদিবাসী দিবস’ পালন না করার জন্য ২০১১ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে এক চিঠিতে (সূত্র: স্মারক নং-৪৬.০৪৫.০২২.১০.০৪.০০৪.২০১১-৫৪৬, তারিখ: ১১ মার্চ ২০১২) পার্বত্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে ‘বিশ্ব আদিবাসী দিবস’ পালনে যাতে কোনো ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা করা না হয়! সে সময় আদিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে অভিহিত না করা, ‘আদিবাসী দিবস’ পালনে সহায়তা না করার জন্য পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, পার্বত্য মন্ত্রণালয়গুলো রীতিমতো ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছিল। এখনও সে দৃশ্য বিদ্যমান। সংবিধানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী লেখা থাকলেও সংবিধানের কোথাও লেখা নাই আদিবাসী বলা যাবেনা। বলা ভালো সংবিধানে এটাও লেখা আছে ধর্ম, গোষ্ঠীর কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না। তাহলে আমাদের যে উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বানিয়ে দেয়া হল সেটা কি সংবিধানে যথার্থতা প্রয়োগ হয়েছে? উপরন্তু ৬(২) বাঙ্গালদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙ্গালী পরিচিত হইবেন। কি চমৎকার সংবিধান আমাদের !! এক পক্ষকে জাতি আরও এক পক্ষকে উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তা
আদিবাসী স্বীকৃতির প্রশ্নে কে মীর জাফর ? সরকার না আদিবাসী জনগণ? চলুন তাহলে এর উত্তর খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করি
১। প্রথম ছবির ক্যাপশন- আওয়ামীলীগ ২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদের আগে তার ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহার। সে ইশতেহারে আওয়ামীলীগ আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার করেছে এবং আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে তারা ঐক্যমতে পৌঁছেছিল এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের কথাও অঙ্গীকার করেছিলেন। বিস্তারিত ইশতেহারের লেখা আছে ।
২।জাতিসংঘ-ঘোষিত বিশ্ব আদিবাসী দিবস সামনে রেখে বিভিন্ন সময়ে সরকারপ্রধানেরা বাণী দিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন। যেমন, ২০০৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের প্রকাশনা সংহতি ২০০৯-এ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় বজায় রেখে আদিবাসী জনগণ যাতে সকলের মতো সমান মর্যাদা ভোগ করতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।...জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত আদিবাসী অধিকার ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নেও আমরা একযোগে কাজ করতে চাই।’ (সূত্র: ‘সংহতি ২০০৯’ বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম)। এ ছাড়া ২০০৮ সালে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি আদিবাসীদের অধিকারের প্রতি সংহতি জানিয়েছিলেন। ২০১০ সালে বর্তমান সংসদ উপনেতা ও জাতীয় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সাজেদা চৌধুরী ‘ট্রাইবেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর প্রকাশনা অংশীদার, আন্তর্জাতিক বিশ্ব আদিবাসী দিবস-২০১০-এ তাঁর বাণীতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন (সূত্র: জেম্স জর্নেশ চিরান ও দুলেন আরেং সম্পাদিত ‘অংশীদার’, ২০১০)
৩। ২০০৮ সালের ৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে আয়োজিত শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে সমাবেশে দীপু মনি আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষার পক্ষে বক্তব্য দিয়েছিলেন। কিন্তু আদিবাসীদের স্বীকৃতির প্রশ্নে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের অবস্থান এখন উল্টো পথে। বলাবাহুল্য আই এল ও কনভেনশন ১০৭টি বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭২ সালে অনুস্বাক্ষর করেছিল। তিনিও স্বীকার করে নিয়েছিলেন বাংলাদেশে আদিবাসী আছে।
৪। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০০৪ সালে বি এন পি- জামাত জোট সরকারের আমলে মধুপুরের ইকৈপার্ক বিরোধী সমাবেশে পুলিশ ও বকথিত বনরক্ষীদের গুলীতে নিহত হওয়া পীরেন স্লানের স্ত্রী রিতা নকরেকের সাথে দেখা করে ক্ষমতায় এলে তিনি সমতলের আদিবাসীদের ভূমি মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার এবং সে সময়ের বি এন পি সরকারকে তিনি আহবান জানিয়েছিলেন । টানা ১০ বছর শাসন করেছেন , সমতলের আদিবাসীরা ভূমির মালিকানা ফিরে পেয়েছি কি ? এ ব্যাপারে বাংলাদেশের মাথা মোটা বুদ্ধিজীবীদের কোন ভাবনা আছে কি? উল্টো দিনে আলোর মত পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি , গাইবান্ধাই গোবিন্দগঞ্জে সান্তালদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে, লাশে পর লাশ ফেলে সেখান থেকে সান্তালদের উচ্ছেদ করেছে। মধুপুরে এখনো বন আইনের মামলাই আতঙ্কে মানুষ ভিটে ছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
৫। বর্তমান সরকার ২০১০ সালে ২০১০ সালে আদিবাসীদের মতামতের তোয়াক্কা না করে ১২ এপ্রিল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান- ২০১০ আইনটি প্রণয়ন করা হয়।মজার ব্যাপার হল- এই আইনের ধারা ২(২) এ বলা হয়েছে, ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ অর্থ তফসিলে উল্লিখিত বিভিন্ন আদিবাসী তথা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও শ্রেণীর জনগণ’। একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশে কোনো আদিবাসী নেই (!) আবার একই আইনে বলা হচ্ছে, আদিবাসীরাই ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’!
৬। ২০১১ সালে আদিবাসী জনগণ, রাজনৈতিক ও সামাজিক ছাত্র সংগঠন সমূহের ব্যাপক বিরোধিতার স্বতেও ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে বাঙ্গালীর বাইরে যারা এ দেশে বাসবাস করেন তাদের সকলকে উপজাতি থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বানিয়ে দেয়া হয় যা রাষ্ট্র কতৃক মানুষ হিসেবে মানুষের অস্ত্বিতের পরিচয়কে অস্বীকারের সমান।
৬। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় যে মন্ত্রণালয়য় সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির একটি ফসল হিসেবে। তারাও উপসচিব (সমন্বয়-২) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে (স্মারক নং-পাচবিম (সম-২) ২৯/২০১০/২৫, তারিখ: ২৮/০১/২০১০) বাংলাদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন ভাষাভাষী ৪৫টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী’ না বলে ‘উপজাতি’ হিসেবে অভিহিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। কেবল পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় নয় ‘বিশ্ব আদিবাসী দিবস’ পালন না করার জন্য ২০১১ সালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে এক চিঠিতে (সূত্র: স্মারক নং-৪৬.০৪৫.০২২.১০.০৪.০০৪.২০১১-৫৪৬, তারিখ: ১১ মার্চ ২০১২) পার্বত্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে ‘বিশ্ব আদিবাসী দিবস’ পালনে যাতে কোনো ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা করা না হয়! সে সময় আদিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে অভিহিত না করা, ‘আদিবাসী দিবস’ পালনে সহায়তা না করার জন্য পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, পার্বত্য মন্ত্রণালয়গুলো রীতিমতো ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছিল। এখনও সে দৃশ্য বিদ্যমান। সংবিধানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী লেখা থাকলেও সংবিধানের কোথাও লেখা নাই আদিবাসী বলা যাবেনা। বলা ভালো সংবিধানে এটাও লেখা আছে ধর্ম, গোষ্ঠীর কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না। তাহলে আমাদের যে উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বানিয়ে দেয়া হল সেটা কি সংবিধানে যথার্থতা প্রয়োগ হয়েছে? উপরন্তু ৬(২) বাঙ্গালদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙ্গালী পরিচিত হইবেন। কি চমৎকার সংবিধান আমাদের !! এক পক্ষকে জাতি আরও এক পক্ষকে উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তা
No comments