জীবন নিয়া টানাটানি..
Jadil Mri
যার টাকা পয়সা নাই মানে ব্যক্তিগত ভাবে আমার টাকা পয়সা নাই তাই এসি সহ্য হয় না।এত আরাম আয়েশ শরীর সহ্য করতে পারলো না মানে এত আরাম শরীর নিতে পারলো না।অবশেষে কি হলো?এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লাম।এরে বাবা,এক সাথে মাথা ব্যাথা গলা ব্যথা তার সাথে মাথার মধ্যে পৃথিবী ঘুরতে লাগলো।দুইটা সেশন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলাম। ভাবতে লাগলাম যে সময় গুলো উপভোগ করছিলাম শেষ বেলায় এসে এই কাহিনী। মামা মজা করে বললো,এইটুকুই নিতে পারো না, কেমনে কাজ করে খাবা?হাহাহহাহাহাহাহাা।
যখন এক মাস তিন মাস পাঁচ মাস প্রশিক্ষণ করতে হবে, তখন! তখন তো সহ্য করতে পারবা না নিতে পারবা না।আমি ভাবতে লাগলাম, তাই তো, হঠাৎ করে মাথায় ঘুরতে লাগলো আসলে আমার দ্বারা কিছুই হবে না, বোকা একটা মানুষ।হাহাহহাহাহ।
কাউকে বলতে পারছিলাম না এখানে আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আমি আর নিতে পারছি না,এত আরাম সহ্য হচ্ছে না।শুয়ে শুয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন প্রশিক্ষণ শেষ হবে,কখন ব্যাগ নিয়ে এই চার দেওয়ালের মাঝখান থেকে বের হতে পারবো।একটি রাত কে মনে হলো দীর্ঘতম রাত আবার পরের দিন দুপুর পর্যন্ত এক টানা সেশন চললো। সহ্যক্ষমতা নাই হয়ে যাচ্ছিল, অনেক কষ্টে সেশনগুলো প্রশিক্ষণের সময় শেষ করলাম, যাবতীয় সবকিছু শেষ করে যখন গেটের সামনে এসে এক পা দিলাম,মনে হলো অনেক দিন পর জেলখানা থেকে মুক্তি পেলাম।আবার যখন দুই পা দিলাম আমার অসুস্থতা মোটামোটি নাই হয়েগেল। এক বারে যে নাই হয়ে গিয়েছিল তেমনটা না তখনো হালকা মাথা ব্যাথা ছিল, একদমি খাওয়া দাওয়া হয় নাই। শরীর দুর্বল ক্লান্ত ছিল বার বার মনে হচ্ছিল এই বুঝি পরে যাবো।মামার সাথে কষ্ট করে ফার্মগেট আসলাম,ফার্মগেট থেকে একা হয়ে গেলাম।আমি চারিদকে তাকিয়ে দেখি মানুষ আর মানুষ আমার চোখ শুধু খোঁজতে লাগলো কিছু পরিচিত মুখ।পরিচিত মুখ দেখলে শান্তি লাগতো, কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস,কাউকে দেখতে পাইনি।
আমার একদম কাছের বন্ধুবর আসার পর নাপা খেলাম কিছুক্ষণ এক দৃষ্টিতে স্থির হয়ে বসে থাকলাম।হঠাৎ করে আবিষ্কার করলাম আমার কোন মাথা ব্যাথা বা মাথা ঘুরা গলা ব্যাথা আর নেই।কেমন যেন মন ফ্রেশ ফ্রেশ লাগছিল।মোটামোটি নিজেকে সুস্থ সুস্থ মনে হলো।ক্যাম্পাসে যাওয়ার সাহস বেড়ে গেল তখন প্রায় ছয়টা বাজে, উবার খবর দিলাম, যখনি উবার চলে আসলো তখনি মুষল ধারে ওলট পালট বাতাস বয়তে শুরু করলো।এই যে বৃষ্টি শুরু হলো থামার কোন নাম গন্ধ নাই।কোন উপায় না পেয়ে বসে থাকার জায়গা মানে যাত্রী ছাউনীতো আশ্রয় নিলাম।হালকা বৃষ্টি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে লাগলো।শুধু মাত্র বৃষ্টির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রইলো না। জোরে জোরে বাতাস আসতে লাগলো মনে হলো সাইক্লোন,ঘূর্ণিঝড় এসে পরলো বুঝি।আমার এবং বন্ধুবরেরর সবকিছু ভিজে গেল। বৃষ্টির সময় এত বাতাস এত বিদুৎ চমকাচ্ছিল যে ভয়ে বার বার ঈশ্বরের নাম মাথায় আসতে লাগলো।আমরা এই বৃষ্টি কবলে পরে চল্লিশ মিনিটের মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম,দুই জন দুইজনের দিকে তাকিয়ে খুব হাসাহাসি করেছিলাম।আমরা যদিও ভয় পেয়েছি,কিন্তুু সময়টা বেশ উপভোগের ছিল।
সেদিন আর ক্যাম্পাসে যাওয়া হলো না,ভিজা কাপড় নিয়ে সংসদের সামনে দিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম।
সেদিন আর ক্যাম্পাসে যাওয়া হলো না,ভিজা কাপড় নিয়ে সংসদের সামনে দিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম।
এমনেই সর্দিকাশি মাথা ব্যাথা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম।আরো যেহেতু বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে ভাবছিলাম এই বুঝি অসুস্থ হয়ে পরবো।কিন্তুু আমি অসুস্থ হয়নি।তবে বৃষ্টি সময় একটা কিছু হয়ে যেতে পারতো কারন আমরা নিরাপদে ছিলাম না।
এই ভাবেই জীবন নিয়ে টানাটানির অবসান ঘটলো।
No comments