আমার প্রথম চাপের পরীক্ষা, স্নায়ু রক্তক্ষরণ


আমার প্রথম চাপের পরীক্ষা, স্নায়ু রক্তক্ষরণ
Jadil Mri( জাডিল মৃ)
তরুণ লেখক 

Jadil Mri





খুব তাড়াতাড়ি তৃতীয় বর্ষ চলে যাচ্ছে, কবে যে চতুর্থ বর্ষ চলে আসবে সময়ের কারনে টের পাওয়া যাবে না।সময় খুব'ই নিষ্ঠুর কবে কোনদিক দিয়ে চলে যায়,যদি সময় কে আটকে রাখা যেতো। তাহলে আমি সেই প্রথম বর্ষে চলে যেতাম যখন কোন প্যারা নামক শব্দ যোগ হতো না।এই পর্যন্ত চাঁরটা সেমিস্টার দিয়েছি এখন দিচ্ছি পাঁচ নাম্বার। খুব জগণ্য পরীক্ষা দিচ্ছি, কোন দিন যে ভালো ছিল তেমনটা না।তবে এই পরীক্ষা আমাকে খুব চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।যতগুলো পরীক্ষা ছিল কোনদিন এমনটা মনে হয় নি পড়তে হবে। বার বার মাথার মধ্যে ঘুরে ফিরে একি কথা কাজ করে পড়তে হবে।মাথায় আছে পড়তে হবে কিন্তু পড়া হয় না। মনকে বুঝানোর চেষ্টা করি সবার দ্বারা সবকিছু হয় না, আমার দ্বারা পড়াশুনা হবে না, হতে পারে অন্যকিছু,স্বপ্নের মতো অন্যকিছু ।



এই চাপ নিতে পারছি না, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা কবে যে পরীক্ষা শেষ হবে।একটু মুক্ত পাখির মতো আকাশে উড়তে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে কতদিন বাইরে ঘুরতে যাই না মনের ফ্রেশ দরকার, তাহল জীবন বৃথা,তাই নয় কি!আমার মতো মানুষ আছে যারা অন্যকিছু করতে চাই মানে ভিন্ন কিছু।এই ভিন্ন কিছু যে করবো,কিন্তু কি যে করবো নিজেও জানি না ।



আমি জানি, পড়াশুনাতে কোনদিন এত ভালো ছিলাম না,এই চাকরির বাজারে এই পয়েন্ট নিয়ে ভালো চাকরি পাওয়া দুস্কর ব্যাপার হয়ে যাবে।সেই জন্য চাকরির বাজারে না ছুঁটে নতুন কিছু করার কথা ভাবছি।এই ধরো,এমন একটা কিছু যা কেউ কোন দিন করেনি বা এমন কিছু যা আগে হয়েছে বর্তমানে তার কোন অস্তিত্ব নেই বা এমন কিছু যা দিয়ে পেটের ভাত সংগ্রহ করা যাবে।মোট কথা চাইছি, একজন উদ্যোগতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা।উদ্যোগতা সহজ ব্যাপার কিন্তুু আইডিয়া হতে হবে শক্ত, যা কিনা একটা মজবুত জায়গা দাঁড়াতে হবে।আমার আত্নবিশ্বাস আছে, তবে নিজের পছন্দের মতো আইডিয়া পাচ্ছি না।


সেই জন্য পড়াশুনা বাদ দিয়ে আইডিয়া খুঁজি,হয়তো বৃথা চেষ্টা, নাকি সত্যি!
কিন্তু এই ৫ম সেমিস্টার মানসিক ভাবে খুব চাপ দিচ্ছে, যদি বলো, কেন?আমি বলবো,"আমি জানি না"।আমার কাছে কোন দিন ভালো পয়েন্ট বা ভালো ফলাফলের নজির নেই,এতটাও গুরুত্ববহ মনে হয় না।কিন্তুু তারপরেও একটা চাপ সৃষ্টা হচ্ছে।মনে মনে কারন খুঁজতে গিয়ে একটা ফলাফল পেয়েছি, সেটা একটু শেয়ার করি..বলতে দ্বিধা নেই লজ্জাবোধ নেই, যা সত্য তাই।


প্রথম সেমিস্টার, কোন মতে সব সাবজেক্ট পাশ করেছিলাম।কোন সাবজেক্টে কত পেয়েছি সেইগুলো দেখার সময় ছিল না(অলসের কারনে দেখি নাই)।তারপর গেল দ্বিতীয় সেমিস্টার, একটা সাবজেক্ট ফেল, তারপর গেল তৃতীয় সেমিস্টার আরেকটা ফেল এবং চতুর্থ সেমিস্টার গেল তখনো আরেকটা ফেল।মোট আমাকে তিনটা পরীক্ষা" Improve "দিতে হবে।একটা Improve পরীক্ষা দিতে গিয়ে প্রাণ যাই অবস্থা, অনেক দৌঁড়াদৌড়ি করার পর পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলাম।তখন একটা কথা মাথায় আসছিল আর ফেল করা যাবে না।
যেগুলোতে ফেল করেছি সব ছিল অংক, ফেল করার কারণ হচ্ছে আমি ছিলাম আর পড়েছি" মানবিক " আর এখন পড়ছি " ব্যবসা " নিয়ে।অবশ্য অলস্যটা তার অন্যতম কারন আর পড়ি না,সেই জন্য ফেল...


কবে যে পরীক্ষা শেষ হবে.... ঈশ্বর..

No comments

Theme images by saw. Powered by Blogger.