হঠাৎ দেখা, হ্যালো; চৈতি মানখিন।


হঠাৎ দেখা, হ্যালো; চৈতি মানখিন।

Jadil Mri(জাডিল মৃ)
তরুণ লেখক এবং ব্লগার

ছবি:চৈতি মানখিন



সচারচর ক্যাম্পাস দিনগুলো যেমন যায়,এই কই দিন , দিন গুলো তেমন যাচ্ছে না। প্রোগ্রামের কর্মচঞ্চলতা অন্য মাত্রা যোগ করেছে।আমি অবশ্য কোন প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ  অংশগ্রহণ করিনি, তবে হালকা পাতলা যোগ দিয়েছিলাম। প্রোগ্রামের কারনে সবাই প্যারা থেকে মুক্ত মানে ক্লাশ বা পরীক্ষা নাই।আমাদের ক্যাম্পাসে  ১২০তম নজরুল জয়ন্তী ২০১৯ পালন হচ্ছে।ক্যাম্পাসে যে কোন প্রোগ্রাম থাকলেই ভালো লাগে।সবচেয়ে ভালো লাগা এবং অনুভূতির  ব্যাপারটা হচ্ছে, এই প্রথমবারের মতো  ক্যাম্পাসে বই মেলা শুরু হয়েছে।যদিও তেমন ঢাকা থেকে বড় বড় প্রকাশনী আসেনি তবে বই মেলা যে হচ্ছে সেটাই এখন মূখ্য বিষয়।প্রোগ্রামে নিয়ে আর কোন কথা বলবো না, আজকে শুধু একজনের কথা বলবো, যে কিনা আমাদের ভবিষ্যতের স্টার।

তাই ক্রেডিট নিতে আগে ভাগেই রং তামাশা করছি....হাহাহা😁😁😁🤪😜



আজকে হঠাৎ করে দেখা তাও আবার শাড়ি পড়া অবস্থায় , নাম তার" চৈতি মানখিন"। ক্যাম্পাসের অনেকে হয়তো চিনবে না কারন সে হচ্ছে আম্যাবসার চাঁদ। সহজে দেখা পাওয়া দুস্কর।যেমন রংধনু সহজে দেখা যায় না , রংধনু মিষ্টি করে আসে বৃষ্টির পর, তেমনি আজকে চৈতি প্রোগ্রামের পর এসেছিল আমাদের "জোনে"(আমাদের বসার জায়গা)। আজকে অনেক দিন পর দেখা হলো, হ্যাঁ   অনেক দিন পর, ভাবা যায়!দেখে মনে হলো খুব ভালোই আছে। আমি কি ঠিক বলেছি চৈতি মানখিন?তাকে অনেক আগে থেকেই চিনতাম, স্বাভাবিক  ভাবে প্রায় তিন বছর তো হবেই।কিন্তুু কোন দিন এত সামনা সামনি কথা হয়নি।একটু চালাকি করে,  আজকে পুরানো দিনের কথা তুলে ধরলাম। সেই তিন বছর আগে একবার আমাদের ফোন কথা হয়েছিল মানে আমি নিজেই ফোন দিয়েছিলাম,  তা আজকে সরাসরি  প্রকাশ করলাম।এই কথা শুনে লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গিয়েছিল, যা দেখার মতো ছিল। সে হয়তো কল্পনা করেনি, যে আমি তাকে ফোন দিবো বা দিয়েছিলাম।  হ্যাঁ,  আমি সেই ব্যক্তি ছিলাম যে কিনা সত্যি সত্যিই তাকে ফোন দিয়েছিলাম তাও আবার তিন বছর হয়ে গেল, অবিশ্বাস্য - অবিশ্বাস্য  ভাবা যায়।সে মনে মনে বোধয় খুব খুশি হয়েছিল যে তিন বছর পরে হলেও সে জানতে পেরেছে,  সত্য কথা। সত্য কথা জানার পর অনেক আনন্দিত হয়েছিল, দেখলাম।


এত বছর পর, আজকে সামনা সামনি নিজে গিয়ে একখানা ছবি তুলেছি।যেটা কিনা উপরে ছবি দিয়ে দিয়েছি,হ্যাঁ সম্মতিরর আগেই ছবি তুলা শেষ।
(আর তাকে বলেছিলামম,তাকে নিয়ে লিখব কিছু.🤪🤪.)


ফোন দেওয়ার মূল কারন ছিল ভিন্ন, সেটা অবশ্য আমার কারনে ফোন দেওয়া হয়নি।ফোন দিয়েছিলাম এক বন্ধুর কারনে, যেকিনা তাকে পছন্দ করতো।সেই সুবাধে একটু মজা করার জন্য ফোন দিয়েছিলাম।সে জানতো না যে কে তাকে ফোন দিয়েছিল, সেই ব্যক্তি আমিই ছিলাম, যে কিনা আজকে তার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল।


পাঠকদের বুঝানোর স্বার্থে বলি,আমরা একি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছি, একি ব্যাচ তবে ডিপার্টমেন্ট আলাদা।ডিপার্টমেন্ট বড় কথা না, আসল কথা হচ্ছে আমাদের দেখা। এই কেমন দেখা একটু বলি, মাঝে মাঝে ক্যাম্পাসে দেখা হতো হাই, হ্যালো, এইটুকুই। আজকে যে আমাদের আখড়া বা বসার জায়গায় আসবে কে ভাবতো!সেটা সমস্যা না, তবে হঠাৎ করে যে দেখা হয়ে গেল সেটাই, অবিশ্বাস্য।অবিশ্বাস্য এই কারনে যে হঠাৎ করে দেখা মানে চিন্তার বাইরে।আসল কথা হচ্ছে ময়মনসিংহ থাকে সেই জন্য দেখা সাক্ষাৎ হয় না,আরিকি!


যে জন্য এত লম্বা কাহিনী বললাম, তার কারন হচ্ছে এই কিছু দিন আগে আচিক মৌলিক গানের খোঁজে যে সাত জন প্রতিযোগী জয়ী হয়েছিল তাদের মধ্যে সে অন্যতম।অনেক ভালো গান গায়,গলা ভালো, ভবিষ্যত উজ্জ্বল,স্রেলিব্রেটি তো হবেই। সে যুবক যুবতীদদের নিয়েও কাজ করে। কিছু দিন আগে তারা নতুন ব্যান্ড তৈরি করেছে "Bring "নামে,সেখানে সে গান গাই।আমি বিশ্বাস করি "Bring"এমন একটি ইতিহাস সৃষ্টি করবে যেটা কিনা হবে ইউনিক এবং ঐতিহাসিক।আমার বান্ধবীর জন্য শুভকামনা রইল।জীবনে অনেক বাঁধা বিপত্তি আসবে সমস্যা আসবে কাজের গতি কমে যাবে।কিন্তুু নিজের প্যাশন এবং স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখে লড়াই চালিয়ে যাও ও কাজটা করে যাও।এত দূর পর্যন্ত আসছো, আমি তোমাকে প্রশংসা করি।আশা করি ভবিষ্যতেও আরো অনেক দূর পর্যন্ত যাবা।তোমার স্বপ্ন সত্যি হোক, স্বপ্ন দেখো, কাজ চালিয়ে যাও।


ও আরেকটা কথা, "শুনেছি, মানুষটা ভালো"।তবে আমি জানি না... হাহাহাহাহহাহ.🤪🤪🤪..(মজা নিলাম)




যাদু দা..

"Bring " বলে ক্যাম্পাসে আসবো শনিবার,সত্যি নাকি?



৩.০৭.১৯

No comments

Theme images by saw. Powered by Blogger.