Hari Hajong গুচ্ছ কবিতা -৩
Hari Hajong
(১)
আমার ভালোবাসা
তুমি আমার উদ্দীপনা
যেকোনো কাজের প্রেরণা।
তুমি আমার জীবনের অভিধান
সেখানে আমার জীবনের স্বপ্ন বিদ্যমান।
তুমি আমার দিক নির্দেশক বাতিঘর
সেখানে জীবন দর্শন বিদ্যমান আমার।
পাদ প্রদীপের আলো তুমি
সেই আলোতে দেখি তোমায় আমি।
আমার ভালোবাসার ট্রাজেডি তুমি
আমার জীবনের প্রতিভা তুমি।
আকাশে চাঁদের চন্দ্রগ্রহণ লাগে
আমার ভুবনে তোমারগ্রহণ লাগে।
তোমার মায়ার সাগরে
ডুবে মারো আমারে।
তুমি দাও আমার মন জুরিয়ে
ভোরের হিম শীতল বাতাস হয়ে।
আমার যত রয়েছে পাপ
তোমার কোমল হাতের স্পর্শে হয়েছে নিস্পাপ।
তুমি আমার ভালোলাগা
তুমিই আমার ভালোবাসা।
(২)
প্রথম দেখা
নীল আকাশটা পরিস্কার
মিষ্টি মধুর সূর্যের আলো,
বাস স্টেশনে আছি দাড়িয়ে
বাসের অপেক্ষায় অনেকক্ষণ হলো।
একটা বাস সামনে এসে থামলো
আমি বাসের গেঁটে তাকাতেই,
সাদামাটা একটি মেয়ে নামলো
তাকে দেখলে যে কেউ হারিয়ে যাবেই।
অন্ধকার রাত্রির ঘুটঘুটে কালো রংটা
যেন লেগে গেছে তার চুলে,
জোষনার অপূর্ব চাঁদখানা
তার মুখ মন্ডলে খোঁজ মিলে।
অপরূপ তার চোখের চাহনি
মন মাতানো তার হাসি,
কিছুতেই ভুলতে পারছি না
প্রথম দেখাতেই তার প্রেমে পড়ে গেছি।
সে এখন আমার স্বপ্ন
হৃদয়ে তার প্রতিচ্ছবি একেঁছি,
রহস্যময় সেই প্রথম দেখা
সারাজীবনের জন্য গেঁথে রেখেছি।
(৩)
স্বপ্নে দেখি তোমায়
মনে আছে কি তোমার
তুমি আমি হাতে হাত ধরে,
রাজপথের লেমপোষ্টের আলোতে
হেটে বেড়াতিস বহুক্ষণ বহুদূরে।
আমার এখনো মনে পড়ে
তোমার সুকোমল স্নেহে মাখা মুখ,
এখনো চোখে ভেসে উঠে
তোমার কাজল কালো হড়িণী চোখ।
কখনো মনে হয় তুমি
ঐ আকাশে তারা হয়ে জ্বলছো,
না না, একি কখনো হতে পারে
তুমিতো আমার আকাশে চাঁদ হয়ে আঁধারে আলো ছড়াছো।
এখনো স্বপ্নে দেখি তোমায়
সেই নীল শাড়ি পড়ে,
দাড়িয়ে আছো আমার অপেক্ষায়
এঁকেবেঁকে যাওয়া চিরচেনা নদের ধারে।
এখনো আমার কর্ণে আসে
তোমার শেষ নিঃশ্বাসের আওয়াজ,
আমার কোলে মাথা রেখে
সব স্বপ্ন গুলো চুরমার করে গেলে চলে।
(৪)
আমার পৃথিবী
আমারও একটা পৃথিবী আছে অন্য সবার মতো
সেই পৃথিবী আমি যতন করে রেখেছি
আমার ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন গুলোকে জিইয়ে রাখি
আমার গড়া এই একটুকরো পৃথিবীতে।
আমার পৃথিবীতে জোনাকিদের আনাগোনা
রঙিন, সাদাকালো স্বপ্নে ভরা পৃথিবী,
আমার পৃথিবীতে প্রেম ভালোবাসা, হাসি কান্না,
মান অভিমান, সংঘাত প্রতিবাদ সবই আছে।
আমার পৃথিবীতে দুঃখ পেলে কান্না আছে,
আনন্দ পেলে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়,
রাত হলে দিনের ক্লান্তি শেষে ঘুমিয়ে পড়ে,
নিজেকে সে নিজের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
পৃথিবীর মতো আমার পৃথিবীতে ঋতু বদলায়
কখনো কান্না, কখনো হাসি, কখনো অভিমান,
কখনো প্রতিবাদ, কখনো অভিযোগ, কখনো অভিনয়,
সবই বদলায় আমার মনের পরিস্থিতিতে।
সব বাধা পেরিয়ে আপন মহিমায় চলে
আমার পৃথিবী বিশ্বাস করে না হারমানা,
এখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলে
ন্যায়ের পক্ষে অনায়াসে জীবন বিলিয়ে দিতেও নেই মানা।
(৫)
চলো ঘাস ফড়িং হই
চলো ঘাস ফড়িং হই
সবুজ ঘাসে মিশে থাকি
চলো নীল আকাশে উড়ি
ঘুরে বেড়ায় নীল দিগন্তে।
সব স্মৃতি পড়ে থাক ধুলোভরা টেবিলে
ক্লান্ত এই দূষিত শহর,
পড়ে থাক প্রেমিক প্রেমিকাদের আত্নকথা
মানুষের নিশ্বাসে ভরা শহর।
পিছনে ফেলে সব ঝনঝাট
মানুষের অশ্রাব্য সব ভাষা ,
হিংসা প্রতিহিংসায় গড়ে উঠা সংঘাত
পড়ে থাক মানুষে মানুষে এই যুদ্ধ সংঘাত।
ভদ্রতার মুখোশে ঢেকে থাকা মুখ
স্বার্থে জ্বল জ্বল করা চোখ
বিচারহীনতার এই কংক্রিটের শহর
পড়ে থাক দুর্গন্ধে ভরা এই শহর।
চলো ঘাস ফড়িং হই
সীমাহীন চির সবুজে ডুব দেই,
শেষ করে দেয় ক্লান্তিকর পথচলা
জাগিয়ে তুলি প্রকৃতির প্রেমলীলা।
Hari Hajong |
(১)
আমার ভালোবাসা
তুমি আমার উদ্দীপনা
যেকোনো কাজের প্রেরণা।
তুমি আমার জীবনের অভিধান
সেখানে আমার জীবনের স্বপ্ন বিদ্যমান।
তুমি আমার দিক নির্দেশক বাতিঘর
সেখানে জীবন দর্শন বিদ্যমান আমার।
পাদ প্রদীপের আলো তুমি
সেই আলোতে দেখি তোমায় আমি।
আমার ভালোবাসার ট্রাজেডি তুমি
আমার জীবনের প্রতিভা তুমি।
আকাশে চাঁদের চন্দ্রগ্রহণ লাগে
আমার ভুবনে তোমারগ্রহণ লাগে।
তোমার মায়ার সাগরে
ডুবে মারো আমারে।
তুমি দাও আমার মন জুরিয়ে
ভোরের হিম শীতল বাতাস হয়ে।
আমার যত রয়েছে পাপ
তোমার কোমল হাতের স্পর্শে হয়েছে নিস্পাপ।
তুমি আমার ভালোলাগা
তুমিই আমার ভালোবাসা।
(২)
প্রথম দেখা
নীল আকাশটা পরিস্কার
মিষ্টি মধুর সূর্যের আলো,
বাস স্টেশনে আছি দাড়িয়ে
বাসের অপেক্ষায় অনেকক্ষণ হলো।
একটা বাস সামনে এসে থামলো
আমি বাসের গেঁটে তাকাতেই,
সাদামাটা একটি মেয়ে নামলো
তাকে দেখলে যে কেউ হারিয়ে যাবেই।
অন্ধকার রাত্রির ঘুটঘুটে কালো রংটা
যেন লেগে গেছে তার চুলে,
জোষনার অপূর্ব চাঁদখানা
তার মুখ মন্ডলে খোঁজ মিলে।
অপরূপ তার চোখের চাহনি
মন মাতানো তার হাসি,
কিছুতেই ভুলতে পারছি না
প্রথম দেখাতেই তার প্রেমে পড়ে গেছি।
সে এখন আমার স্বপ্ন
হৃদয়ে তার প্রতিচ্ছবি একেঁছি,
রহস্যময় সেই প্রথম দেখা
সারাজীবনের জন্য গেঁথে রেখেছি।
(৩)
স্বপ্নে দেখি তোমায়
মনে আছে কি তোমার
তুমি আমি হাতে হাত ধরে,
রাজপথের লেমপোষ্টের আলোতে
হেটে বেড়াতিস বহুক্ষণ বহুদূরে।
আমার এখনো মনে পড়ে
তোমার সুকোমল স্নেহে মাখা মুখ,
এখনো চোখে ভেসে উঠে
তোমার কাজল কালো হড়িণী চোখ।
কখনো মনে হয় তুমি
ঐ আকাশে তারা হয়ে জ্বলছো,
না না, একি কখনো হতে পারে
তুমিতো আমার আকাশে চাঁদ হয়ে আঁধারে আলো ছড়াছো।
এখনো স্বপ্নে দেখি তোমায়
সেই নীল শাড়ি পড়ে,
দাড়িয়ে আছো আমার অপেক্ষায়
এঁকেবেঁকে যাওয়া চিরচেনা নদের ধারে।
এখনো আমার কর্ণে আসে
তোমার শেষ নিঃশ্বাসের আওয়াজ,
আমার কোলে মাথা রেখে
সব স্বপ্ন গুলো চুরমার করে গেলে চলে।
(৪)
আমার পৃথিবী
আমারও একটা পৃথিবী আছে অন্য সবার মতো
সেই পৃথিবী আমি যতন করে রেখেছি
আমার ভেঙে যাওয়া স্বপ্ন গুলোকে জিইয়ে রাখি
আমার গড়া এই একটুকরো পৃথিবীতে।
আমার পৃথিবীতে জোনাকিদের আনাগোনা
রঙিন, সাদাকালো স্বপ্নে ভরা পৃথিবী,
আমার পৃথিবীতে প্রেম ভালোবাসা, হাসি কান্না,
মান অভিমান, সংঘাত প্রতিবাদ সবই আছে।
আমার পৃথিবীতে দুঃখ পেলে কান্না আছে,
আনন্দ পেলে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়,
রাত হলে দিনের ক্লান্তি শেষে ঘুমিয়ে পড়ে,
নিজেকে সে নিজের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
পৃথিবীর মতো আমার পৃথিবীতে ঋতু বদলায়
কখনো কান্না, কখনো হাসি, কখনো অভিমান,
কখনো প্রতিবাদ, কখনো অভিযোগ, কখনো অভিনয়,
সবই বদলায় আমার মনের পরিস্থিতিতে।
সব বাধা পেরিয়ে আপন মহিমায় চলে
আমার পৃথিবী বিশ্বাস করে না হারমানা,
এখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলে
ন্যায়ের পক্ষে অনায়াসে জীবন বিলিয়ে দিতেও নেই মানা।
(৫)
চলো ঘাস ফড়িং হই
চলো ঘাস ফড়িং হই
সবুজ ঘাসে মিশে থাকি
চলো নীল আকাশে উড়ি
ঘুরে বেড়ায় নীল দিগন্তে।
সব স্মৃতি পড়ে থাক ধুলোভরা টেবিলে
ক্লান্ত এই দূষিত শহর,
পড়ে থাক প্রেমিক প্রেমিকাদের আত্নকথা
মানুষের নিশ্বাসে ভরা শহর।
পিছনে ফেলে সব ঝনঝাট
মানুষের অশ্রাব্য সব ভাষা ,
হিংসা প্রতিহিংসায় গড়ে উঠা সংঘাত
পড়ে থাক মানুষে মানুষে এই যুদ্ধ সংঘাত।
ভদ্রতার মুখোশে ঢেকে থাকা মুখ
স্বার্থে জ্বল জ্বল করা চোখ
বিচারহীনতার এই কংক্রিটের শহর
পড়ে থাক দুর্গন্ধে ভরা এই শহর।
চলো ঘাস ফড়িং হই
সীমাহীন চির সবুজে ডুব দেই,
শেষ করে দেয় ক্লান্তিকর পথচলা
জাগিয়ে তুলি প্রকৃতির প্রেমলীলা।
No comments