করোনাকালে তরুণ আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ভাবনা।।পর্ব-১।।
করোনাকালে তরুণ আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ভাবনা।।পর্ব-১।।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ।এই লকডাউনের সময় হয়তো আমাদের তরুণ'দের একটা বিশাল অংশ বাড়িতে বসে অলস সময় কাটাচ্ছে। এতে যে মূল্যবান সময় গুলো আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এগুলো আর কখনোই ফিরে পাওয়া যাবেনা। এই আপদকালীন সময় বাড়িতে বসে থাকাটাই বরং উচিত। কিন্তু বাড়িতে বসেও এই অলস সময় গুলোকে কাজে লাগানো যায়। বাড়িতে বসেই কিভাবে এই সময় গুলোকে কাজে লাগানো যায়।সেটাই সংক্ষেপে আলোচনা করার জন্য চেষ্টা করলাম।
১.
বাড়িতে বসে আমরা অনলাইন এ ফ্রি কোর্স করতে পারি। কোর্সেরা (Coursera), ইএক্সডি (EXD) এর মত লার্নিং প্ল্যাটফর্ম গুলো'তে অ
২.
এছাড়াও বিভিন্ন কম্পিউটার স্কিল কোর্স অনলাইনেই করা যায় বাসায় বসে। মাইক্রোসফট অফিস, ওয়েব ডিজাইনিং, বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এবং আরো অনেক কিছু ইউটিউব বা অনলাইন এ বসেই শিখা যায়। এক্ষেত্রে ইউডেমি (UDemy) এর মত আরো অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে যেগুলোর টিউটরিয়াল ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে অফলাইনেও শেখা যায়। এই স্কিলগুলো অবশ্যই ভবিষ্যতে কাজে দিবে। কারণ এই যুগে কম্পিউটার স্কিল ছাড়া চাকরির বাজারে উন্নতির আশা করা'টা বোকামি বৈকি!
৩.
আমরা যারা ইংরেজিতে দুর্বল তারা এই সময় কে কাজে লাগিয়ে নিজের ইংরেজীর দখল একটু হলেও বাড়িয়ে নিতে পারি। ইংরেজি মুভি দেখা, পত্রিকা বা বই পড়া, ভালো ভালো লেখক বা স্কলার'দের জার্নাল বা আরটিক্যাল পড়া এক্ষেত্রে অনেকটাই কার্যকর। কোন শব্দের অর্থ না জানলে তার জন্য অনলাইন বা স্মার্টফোনে ডিকশনারি তো আছেই। এই স্কিলটা বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন থেকে শুরু করে ভবিষ্যতে চাকরি পর্যন্ত সারাজীবন কাজে দিবে।
৪.
আমরা অনেকে আছি যারা একদমি রান্না পারিনা। কিন্তু এটাও একটা লাইফ স্কিল। কিছুদিন নিজে রান্না করে চলার মত রেসিপি যদি এই লকডাউনের সময় শিখে ফেলা যায় সেটা বরং ভবিষ্যতের জন্যই কাজে দিবে।
৫.
এই সময় আমরা বাসায় বসে হয়তো অনেক'টা সময় সোস্যাল মিডিয়া তে ব্যয় করছি। সোস্যাল মিডিয়া আমাদের জন্য অবশ্যয় প্রয়োজনীয়। কিন্তু তার মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার সময় এর অপচয় আর বিষন্নতার কারণ। মনে রাখতে হবে এই মূল্যবান সময় গুলো কিন্তু আর কখনোই ফেরত পাওয়া যাবেনা। তাই সময়টা কে যদি কাজে লাগানো যায় তাতে নিজেরি লাভ।
রংগন আরেং(গারো)
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments