করোনাকালে তরুণ আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ভাবনা।।পর্ব-৪।।

করোনাকালে তরুণ আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ভাবনা।।পর্ব-৪।।



ছবি-সংগৃহীত।




এই রকম সংকটময় সময় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া  হচ্ছে। কিন্তু সবার পক্ষে অনলাইনে ক্লাস করাটা সম্ভব না কারণ অনেক শিক্ষার্থীই গ্রামে আাছে এবং পারিবারিক আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে অনেকের ক্ষেত্রেই মোবাইলে  ডাটা কিনে এক ঘন্টা/দুই ঘন্টা ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। আমাদের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা বেশি এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। যদিও আমাদের সবার জন্যই ক্লাস করাটা অনেক দরকার ছিল।আমাদের শিক্ষার্থীদের আর একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মেস সমস্যা। করোনাকালীন সংকটে আমরা সবাই নিজ নিজ বাসায় অবসস্থান করছি।প্রথম দিকে আমাদের কারোরই ধারণা ছিল না যে বিশ্ববিদ্যালয় এতদিন বন্ধ রাখা হবে যার কারণে আমরা মেস এবং বাসা ভাড়া নিয়ে আগে থেকেই কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। কিন্তু এখন এমন একটা অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে বাসা ভাড়া কমানো নিয়ে মেস মালিক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হচ্ছে। 

সবশেষে বলতে চাই, আমাদের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যে  প্রফেশনাল ডিভারসিফিকেশন থাকতে হবে। প্রত্যেক সেক্টরেই আমাদের বিচরণ থাকা খুবই দরকার। 


কেননা এমন একটা পর্যায়ে এসে আমাদের আদিবাসী কোটা বাতিল করা হয়েছে যেসময় আমাদের এই সুবিধার আরও দরকার ছিল  যা আমাদেরকে খুবই আশাহত করেছে। যদিও আমাদের জননেত্রী  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি আশার বাণী দিয়েছিলেন যে আমাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হবে কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোন বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাচ্ছি না।  আশা করছি আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুব শীঘ্রই এর বাস্তবায়ন করে আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুন্দর সুযোগ করে দিবেন।



এলিজা রাকসাম(গারো)
শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। 

2 comments:

Theme images by saw. Powered by Blogger.