মাতগ্রিক(যোদ্ধা) অর্থাৎ উদ্যোক্তা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মিলনস্থল! ।। জাডিল মৃ।।
মাতগ্রিক(যোদ্ধা) অর্থাৎ উদ্যোক্তা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মিলনস্থল! ।। জাডিল মৃ।।
ছবি:সংগৃহীত। |
এক
কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে বটে(!)তবে কার্যক্রম শুরু হলেও নতুন নতুন উদ্যোগের যে ধারা সূচনা শুরু হলো তাতে অবশ্যম্ভব আশার আলো দাউ দাউ করে জ্বলে চলছে।যে প্রদীপের আলো সারাক্ষণ জ্বলে চলছে তা যেন নিভে না যাই, সেটার জন্য আস্থা রাখছি।মাতগ্রিক গ্রুপের পদচারণা ক'দিন'বা হলো!!কিন্তুু তাতেই ছক্কা,ভাবা যায়!এত এত গারো উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী আছে।হয়তোবা গ্রুপ না থাকলে জানতেই পারতাম না(!!)।গ্রুপের কারণে অনেকেই নতুন করে(পুনরায়) কাজ শুরু করার কিংবা মনের বাসনা ব্যক্ত করতে উৎসাহ পাচ্ছে, সাহস পাচ্ছে,শক্তি পাচ্ছে,ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি হয়েছে।তাও'বা কম কিসের!!অনেকে হয়তো ভাববে প্রচুর উদ্যোক্তা কিংবা ব্যবসা শুরু করবে/ করছে বলে প্রশ্ন তুলতে পারে এমন, 'সবাই যদি ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হয় তাহলে কিনবে কে?' আসলে সেটাও সত্য কিনবে কে!! তবে নানা প্রশ্নের উত্তর যেমনি হোক সংশয় থাকুক সেটা মানতেই হবে যে সবার দ্বারা সবকিছু হয় না, ঠিক তেমনি সবার দ্বারা উদ্যোক্তা বা ব্যবসা করা সম্ভব না।তবে হ্যাঁ,ব্যতিক্রম যে থাকবে, সেটা বলাই যায়।
দুই
মাতগ্রিক এর বাংলা অর্থ 'যোদ্ধা'।আসলেই তো আমরা যে যেমন যে কাজটা'ই করি না কেন সবাই সবার ক্ষেত্র বা জায়গা থেকে একেক জন যোদ্ধা। যদি সে-ই ভাবেই চিন্তা করি,আমরা প্রত্যেকেই একজন যোদ্ধা ।একটি যে সুন্দর প্লাটফর্ম তৈরি হলো যাদের মাধ্যমে সৃষ্টি হলো এবং যারা নিয়মিত গ্রুপকে সচল রাখছে, প্রচার ও প্রসারে নিরন্তর কাজ করে চলছে।গ্রুপে সময় দিচ্ছে উদ্যোক্তা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রত্যেকে সাধুবাদ জানাই।আমি বিশ্বাস করি এই প্লাটফর্ম একদিন অন্যান্য নজির স্থাপন/ সৃষ্টি করবে।যা হয়তো গারো জাতির জন্য,আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর জন্য কিংবা জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।সে-ই অপেক্ষায় রইলাম।
তিন
যতদিন যাচ্ছে আমার প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে,বাড়ছে তো বাড়ছেই ।আমি স্বপ্ন দেখি একদিন এমন সময় আসবে যখন মাতগ্রিক প্লাটফর্ম'টি দুই,তিন বা সাতদিনের মেলা আয়োজন করবে।অনেক উদ্যোক্তারা তাঁদের পণ্য সাজাবে,নতুন নতুন আইডিয়া বসাবে,হয়তো অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী থেকেও নতুন নতুন উদ্যোক্তা পরিচিত মুখ আসবে মেলায়। সেখানে প্রচুর লোকের সমাগম হবে।তখন একটা অন্য নজির স্থাপন হবেই/ করবেই।সবাই নিজের পছন্দমতো জিনিস কিনবে ক্রেতা এবং বিক্রেতার দারণ মিলনস্থল হবে।যেভাবে গারো সমাজে নতুন চিন্তার প্রসার ঘটছে নতুন কিছু করার যে তাগিদা তৈরি হয়েছে।তা সত্যিই জাতির জন্য মঙ্গলজনক চিহ্ন। এই সেক্টরে অনেকে টিকে থাকবে,অনেকে টিকে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে হয়তো অনেকেই ঝরে যাবে।তবে যে যেমন অবস্থাতেই থাকুক না কেন,সবার জন্য রইল শুভকামনা। সবাই সবার মতো নতুন চিন্তা নতুন ভাবনার মাধ্যমে নতুন কিছু সৃষ্টি করে এগিয়ে যাক,সেটাই চাই।
চাঁর
গ্রুপে আমার একটা অনুরোধ থাকবে,"এমন করতে হবে, তেমন করতে হবে, না হলে উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ি হওয়া যাবে না"।এই সব কথা বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।তবে হ্যাঁ,নিজের কাজ সম্পর্কে বা নিজে কিভাবে এতদূর আসতে পেরেছো কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষীদের রিভিউ থাকতে পারে।তবে অযথা জ্ঞান বিতরণ না করাই ভালো।কেন না,কাজ করতে করতেই মানুষ শিখবে বা কাজের মাধ্যমেই অভিজ্ঞতা ও কাজের ধরণ বুঝতে পারবে।কারণ যে কেউ জ্ঞান বিতরণ করতে পারে।(আমার কথায় রাগ করবেন না প্লিজ কারণ কাউকে উদ্দেশ্য করে বলিনি। যা মনে হলো তাই বললাম।)
পাঁচ
মাতগ্রিক গ্রুপ সামনে আরো এগিয়ে যাক, সেটাই চাই।মাতগ্রিক গ্রুপের কারণে যেমন উদ্যোক্তা বা পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। সেটা সত্যই খুশির খবর।আর করোনাকালে নতুন পন্থায় কর্মসংস্থান বা কাজে প্লাটফর্ম যে তৈরি হলো তাইবা কম কিসের!!মানুষের মধ্যে যে একটা কিছু করার বাসনা ও মানুষের প্রতিভা বিকাশের যে সুযোগ তৈরি হলো তা সত্যিই মাতগ্রিক গ্রুপের মাধ্যমে হলো।
ছয়
মাতগ্রিক গ্রুপের সফলতা কামনা করি।উদ্যোক্তা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য রইল অফুরন্ত ভালোবাসা।
No comments