গারো বৃদ্ধাশ্রম এবং আমার কিছু ভাবনা
গারো বৃদ্ধাশ্রম এবং আমার কিছু ভাবনা
Jadil Mri(জাডিল মৃ)
তরুণ লেখক এবং ব্লগার
তরুণ লেখক এবং ব্লগার
(আদিবাসী দিবস ২০১৯,"চিরিং" ম্যাগাজিনের জন্য লেখা)
![]() |
ছবি:বোনের সাথে কনফারেন্স রুম |
সত্যি,আমি এমন এক জাতিগোষ্ঠীর সদস্য যেখানে বৃদ্ধাশ্রম বলতে কোন শব্দ নেই।আসলে সত্যিই, আমাদের কোন আলাদা করে বৃদ্ধাশ্রম লাগে না।কোন কিছু যদি আবিষ্কার হয়, তাহলে সেটা মানুষের প্রয়োজনেই হয়। প্রয়োজনীয় জিনিস বা বস্তুু আবিষ্কার করেও ব্যবহারে অনুপযোগী তাহলেন তো লাভ নেই,তাই না।ঠিক তেমনি আমাদের বৃদ্ধাশ্রমের কোন প্রয়োজন নেই দরকারে নেই,তাই আলাদা করে কোন শব্দ তৈরি হয়নি বা প্রয়োজন ছিল না আশা করি ভবিষ্যতেও থাকবে না।সমাজ ব্যবস্থা বা কাঠামো এমন ভাবে তৈরি, যেখানে সত্যিই বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজন নেই।এই বিষয় নিয়ে আমাদের প্রত্যেকের গর্ব করা উচিত।
আমাদের সমাজ বা আইন নিয়ে যদি কেউ প্রশ্ন তুলে বা সেটা যদি অন্য জাতি গোষ্ঠীর লোক হয়,তাহলে তো কথাই নেই।মাথায় আগুন ধরে যাই।সে আমাদের সমাজের কি বালদা জানে যে, কোন কিছু না জেনে না বুঝে বললেই হবে নাকি?যদি না জেনে শুনে, না বুঝে বলে, সে তার মূর্খতা এবং জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে পরিচয় দেয়, তাই নয় কি?কিছু দিন আগে একটা কাহিনী দেখলাম, দেখে অবাক হয়নি বটে।কারন, আগে থেকেই জানা ছিল, এই সংগঠনের সাথে যারা যুক্ত তাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা কতটুকু।এবং তাদের সাথে যারা সুর মিলাছে তারা বুঝে নাকি না বুঝে কথা বলে সেটা মারাত্মক সন্দেহের বিষয়।আমরা যতই মুখে বলি না কেন আমরা আধুনিক হচ্ছি ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি, আমাদের সময়ে হেন হয়সে তেন হয়সে,লাভ কি?মূলত আমরা মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছি।যতই আধুনিক হওয়ার জন্য চেষ্টা করি না কেন,আমরা মধ্য যুগের পথিক। এখন যদি আবার মধ্যযুগ কি বলে প্রশ্ন করে? উপায় কি??
আমাদের প্রথাগত আইন প্রচলিত আইন সম্পর্কে আমার কোন অভিযোগ নেই।এইটা হতে পারে সময়ের তালে কিছু আইন পরিবর্তন করা উচিত, তবে এমন না হোক মূল ভিত্তিটা যেন পরিবর্তন হয়ে না যায়।
আমাদের সমাজ কাঠামো বা আইন এমন ভাবে তৈরি যেখানে নারী এবং পুরুষের অধিকারের ভারসাম্যর যে ব্যাপারটা, সেটা কিন্তুু অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী থেকে মহৎ, আধুনিক এবং প্রগতিশীল।যেখানে নারী এবং পুরুষ সমান তালে বৃদ্ধ মা-বাবার দায়িত্ববহন করে।সমাজ বা আইন এমনি পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যে নারী এবং পুরুষকে মা-বাবা কে দেখার জন্য দায়িত্ব নিতে হবেই।আর আমরা এমন বিবেকহীন জাতি না যে বৃদ্ধদের জন্য আলাদা বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করবো।আমি একটা জিনিস বুঝি না,"মা-বাবাকে ভরণপোষণ বা লালন পালনের জন্য কেন মান্দি(গারো) ছেলেদের অধিকার চাইতে হবে!"আমার তো এখানে অধিকার ব্যাপারটা বোধগম্য নয়।তার যদি সামর্থ্য থাকে, তাহলে সে তো দুটো পরিবারকেই সাহায্য করতে পারে।সেই জন্য আবার অধিকার কিসের?ব্যাপারটা কেমন হাস্যকর হয়ে যায়,তাই না।এই অধিকার ব্যাপারটা শুনে, আমার কাছে মনে হচ্ছে, কই দিন পর বলবে বা মূল সুর হতে পারে এই রকম, আরিকি ,"মান্দি ছেলেদের ভাত খেতে দেয় না,বোন কে তিনটা ডিম দেয় ভাইকে একটা ডিম দেয়,শুধু মাত্র মেয়েরা পড়াশুনা করে ছেলেরা করে না,মেয়েকে দশ হাজার দিলে ছেলেকে দেয় তিরিশ টাকা,মেয়েরা নতুন নতুন জামা পরে ছেলেরা পরে না.... ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা।আরো কত কি করে যে ব্যানার নিয়ে আন্দোলন ঘোষণা দিবে কে জানে।
যারা সমাজ বা আইন সম্পর্কে না জেনেই ওল্টা পাল্টা কথা বলে অনুরোধ জানাবো, আগে নিজের চরকায় তেল দেন তারপর না হয় ......ব্লা ব্লা ব্লা..!আর অন্যজাতি থেকে নাক গলানো আমার একদম পছন্দ না।নিজেদেরি কোন কিছু ঠিক নাই আবার আইসে অন্য পাড়ায় নাক গলাতে।
আর যারা এত অধিকার নিয়ে চিল্লাচিল্লি করে, তাদের প্রতি অনুরোধ জানাবো, যে বিষয় গুলো সমাজের জন্য বিভেদ সৃষ্টি করে এবং মধ্যযুগীয় পর্যায়ে নিয়ে যায় প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়েন।এত এত কাজ করা দরকার, কই এইগুলো নিয়ে তো কোন চিন্তা করেন না?
মাঝে মাঝে নিজেরি লজ্জা লাগে, এত সব ভালো কাজ থাকতে কি সব করে বেড়ায়।তাও আবার নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা, তাই নয় কি?
মাঝে মাঝে নিজেরি লজ্জা লাগে, এত সব ভালো কাজ থাকতে কি সব করে বেড়ায়।তাও আবার নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা, তাই নয় কি?
কাজ যদি না পান আমি কিছু আইডিয়া দিতে পারি..
প্রান্তিক এলাকা গুলোতে স্কুল চালু করেন,শহর গুলোতে আচিক স্কুল করেন ,গ্রামে গ্রামে লাইব্রেরী তৈরি করেন,গ্রামে গ্রামে গিয়ে পড়াশুনার জন্য ক্যাম্পেইন করেন,আইসিটি সম্পর্কে ধারনা দেন,মেয়ে ছেলেদের স্বপ্ন দেখান, যে কোন কাজে উৎসাহ দেন,মান্দি জাতিগোষ্ঠীর জন্য রক্তের গ্রুপ তৈরি করেন।কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, আর্টিস, ব্লগার, ইউটিউবার, দার্শনিক, ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, লেখক, ডাক্তার, নার্স, শিক্ষক, উদ্যোগতা, মোটিভেশনাল শিক্ষক .... প্রভৃতি তৈরি করেন।
প্রান্তিক এলাকা গুলোতে স্কুল চালু করেন,শহর গুলোতে আচিক স্কুল করেন ,গ্রামে গ্রামে লাইব্রেরী তৈরি করেন,গ্রামে গ্রামে গিয়ে পড়াশুনার জন্য ক্যাম্পেইন করেন,আইসিটি সম্পর্কে ধারনা দেন,মেয়ে ছেলেদের স্বপ্ন দেখান, যে কোন কাজে উৎসাহ দেন,মান্দি জাতিগোষ্ঠীর জন্য রক্তের গ্রুপ তৈরি করেন।কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, আর্টিস, ব্লগার, ইউটিউবার, দার্শনিক, ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, লেখক, ডাক্তার, নার্স, শিক্ষক, উদ্যোগতা, মোটিভেশনাল শিক্ষক .... প্রভৃতি তৈরি করেন।
ভালো কাজে তো মানুষ পাওয়া দুষ্কর হয়ে যায়, ভালো আইডিয়া গুলো তো মাথায় আসে না। যত সব আলতু ফালতু চিন্তা মাথায় আসে....
পরিশেষে একটা কথা বলি,বর্তমানে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরাই সুযোগ সুবিধা ভোগ করে বেশি।এত কিছু দেওয়ার পরেও যদি আরো চিল্লাচিল্লি করো,তাহলে তো একাই সব সাবার করে দিবা।
আমি একজন ছেলে হয়ে বলছি,আমার বোনের চাইতে আমি সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা নিচ্ছি।তারপরেও কি আমার বোনের অধিকার আরো আমি সংকচিত করবো?বেলাশেষে কি থাকবে, গরুর ডিম নাকি ছাগলের ডিম নাকি কুকুরের ডিম??
লেখা গুলো ধারুণ😍😍😍😍
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Delete