রাঙামাটি সফর কেমন হলো?
রাঙামাটি সফর কেমন হলো?
জাডিল মৃ( Jadil Mri)
তরুণ লেখক এবং ব্লগার
চতুর্থ বারের মতো, রাঙামাটি।।
রাঙামাটি আমার প্রিয় শহর,আদিবাসীদের শহর,আমি বলি আদিবাসীদের রাজধানী "রাঙামাটি"।ইতিমধ্যে তিন পার্বত্য চট্রগ্রামের ম্যান শহর গুলো দেখা হয়েগেছে।তবে বিশেষ করে "রাঙামাটি "শহরে অনেক বার যাওয়া হয়েগেছে, অন্য দুই শহরের তুলনায়।প্রিয় শহর বলেই কি, ইদানিং বার বার যাওয়া হচ্ছে?নাকি যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে?এইটা বোধয় ঈশ্বরের ইচ্ছা।
এর আগের বার রাঙামাটি শহরের বাইরে বেশিদূর যাওয়া হয়নি,দুর্ভাগ্যবশত গ্রাম গুলোতে যাওয়ার সুযোগ হয়েই উঠেনি,যা এই বার হয়েছে।প্রথমে আমি ধন্যবাদ জানাবো, যারা এই প্রোগ্রামের আয়োজক ছিল,যাদের কারনে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি বিশেষ ভাবে, "চন্দ্রা দিদি কে", অসংখ্য ধন্যবাদ । আমার কাছে প্রোগ্রামের তাৎপর্য ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রোগ্রামের সময়ের মুহূর্ত গুলো মনের অনুভূতি মুখে প্রকাশের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বলতে পারিনি, তাই আমার অনুভূতি লেখনির মাধ্যমে শেয়ার করতে চাই।
লেখা বেশি লম্বা এবং দীর্ঘায়ত করতে চাই না বলে,আমার কাছে যে বিষয় গুলো নাড়া দিয়েছে এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেগেছে, তাই লিখছি।
প্রথমত প্রোগ্রামেরর শুরুর দিকে যে বিষয়টা আমাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে,সেটা হচ্ছে প্রোগ্রামেরর যেট ব্যানার সেই তা নিয়ে,গ্রামের সুন্দর ঝর্ণার ধারের জায়গাতাতে গিয়ে লেখা এবং আর্ট করা হয়েছে, যা আমার কাছে ছিল" বিস্ময়কর"।মানে এত বছর এত প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি, কিন্তুু এই রকম প্রোগ্রাম ও ব্যানার করা জীবনেও পাইনি।যেখানে ব্যানার টা নিজেদের মধ্যেই করা হয়েছে,সেই গ্রামে গিয়ে।এছাড়াও তিনটা গ্রুপে ভাগ হয়ে আর্ট করেছিলাম,বিভিন্ন সেশনে অংশগ্রহণে সুযোগ হয়েছে,সময় গুলো ছিল খুবই দারুণ,সবকিছু সম্মেলিত ।যেখানে আমি শব্দের ব্যবহার বা আমিত্ব নেই, সেখানে রয়েছে বা ছিল "আমরা" করেছি এবং করবো।আদিবাসীদের ক্ষেত্রে আমির চাইতে আমরা শব্দটাই বেশি ব্যবহারকৃত শব্দ এবং প্রচলিত প্রয়োগকৃত শব্দ।
প্রায় চল্লিশ কিংবা পঁচাশ মিনিটের রাস্তা হেঁটে একটি সুন্দর ঝর্ণার কাছে যেতে সক্ষম হয়েছিলাম।যাওয়ার সময় ছোট বড় প্রচুর পাথর দেখেছি, দেখেছি স্বচ্ছ পানি, কিন্তুু মাছ দেখার সৌভাগ্য হয়নি।হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিলাম,প্রকৃতি বিরুদ্ধমতাবলম্বী লোভী কোন ব্যক্তি এখানে যদি থাকতো, তাহলে এই পাথর গুলো সেখানে থাকতো না। অবশ্যই না! পাথর গুলো আছে বলেই পানি আছে, পানি আছে বলেই প্রকৃতি সুন্দর,প্রকৃতি সবকিছু যোগান দিচ্ছে বলেই আদিবাসীরা বাস করছে।যদি সেখানে আদিবাসী মানুষগুলো না থাকতো তাহলে পাথর গুলো থাকতো তো?আদিবাসীরা না থাকলে কি স্বচ্ছ পানি দেখতাম?এত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বান্ধব গ্রাম, দেখার সৌভাগ্য কত জনের বা হয় মানে সেখান থেকে বড় কিছু শিক্ষা ভাগ্যের ব্যাপার।
প্রায় শুনি বান্দরবানে পানির তীব্র সংকট,এই সংকট গুলো সৃষ্টি হচ্ছে কেমন করে,নিশ্চয় কোন ঝামেলা আছে।ঝামেলা হচ্ছে, বান্দরবানে অবৈধ ভাবে পাথর তোলা হচ্ছে,ফলে ঝর্ণার যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং পানি থাকার যে ব্যবস্থা, সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
যে গ্রামে সকাল থেকে অবস্থান করেছিলাম, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার উপায় নেই যে,এত সুন্দর রাঙামাটি, এত সুন্দর আদিবাসী পাড়া গুলো,অপূর্ব দৃশ্য যা শুধু মাত্র কল্পনার মাধ্যমে দেখা যায়,বলতে গেলে জাস্ট, ওয়াও.. ওয়াও।জানো তো, আমি সেশনের সময়ে একটি কথা বলেছিলাম যে," আমরা যদি ভাবি আদিবাসী গ্রাম গুলো এই রকম হয় সেই রকম হয়,ফলে এই গ্রামই হচ্ছে কল্পনার নিরিখে বাস্তবতা,প্রত্যেকটা আদিবাসী মানুষের স্বর্গ হতে পারে এই গ্রাম"।সত্যিই ঠিক তাই,চারিদিকে পাহাড় গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলছে ঝর্ণার পানি, জাস্ট ওয়াও।রাঙামাটি যাওয়া আমার সার্থক।
অনেক দিনের স্বপ্ন যে বাস্তবে রুপ নিবে কে জানতো?সত্যিই তাই, আমি আমার প্রিয় চাকমা চিপ সার্কেলের রাজা এবং রানীর সাথে কথা বলা ও প্রশ্ন করা মানে তাদের সান্নিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম।অনেকের কাছে সামান্যতম বিষয় হতে পারে, কিন্তুু আমার কাছে রাজা ও রানীর সাথে সাক্ষাৎতের সময়টা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়েছে।উনাদের কাছ থেকে যতটুকু সম্ভব তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করেছি।আগেকার দিনে রাজা রানীর শাসন আমল ছিল, আস্তে আস্তে তা রাজ্য থেকে দেশে রুপান্তরিত হয়।পৃথিবীতে রাজা বা রানীদের শাসন আমল শেষ হলেও কিছু কিছু দেশে তা এখনো বজায় রয়েছে সীমিত আকারে।আমাদের দেশেও যে এখনো রাজা ও রানী আছে তা অনেকে জানে না।
চাকমা রাজার অফিসে ভেতরের চেহারা দেখার খুব খায়েস ছিল,মিটে গেল, এছাড়াও দরবার, খাজনার কক্ষ, মিনি লাইব্রেরী, এনজিওর অফিস,অনেক ছবি, আরো কত কি যে দেখেছি,এই মুহূর্তে ভুলেগেছি। রাজার অফিস এত সুন্দর এবং পরিপাটি, সুযোগ থাকলে নিজের চোখে দেখা উচিত।
প্রোগ্রাম থেকে অনেক কিছু নিয়ে এসেছি, সব চাইতে বেশি আশ্চর্য ভাবে নাড়া দিয়েছে "প্রথা গত আইন"।নিজের মনে উপল্ধি করতে পেরেছি, প্রথাগত আইন ছাড়া আদিবাসীদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব না।আমি জানি না, আমাদের মুরুব্বি গুলো কি চিন্তা করছে বা ব্যবস্থা নিচ্ছে।
প্রেগ্রামের থিম ছিল""চল ফিরি শেকড়ে,উচ্ছল তারুণ্যে,গান হবে ঝর্ণার সাথে,গল্প হবে প্রকৃতির সান্নিধ্যে" বেশ দারুণ।
থিমের সাথে সবকিছু মিল রেখে প্রোগ্রাম সুন্দর ভাবে শেষ হয়েছে, সত্যিই শিকড়ের সন্ধানে গিয়ে, অনেকে অনেক কিছু উপল্ধি করতে পেরেছে যা প্রত্যেকটা মানুষের বিষণ প্রয়োজন,বিশেষ করে আদিবাসী যুবক যুবতীর ক্ষেত্রে।
যাদের সাথে প্রথম দেখা হয়েছে এবং পরিচয় হয়েছে, সবাই ভালো থেকো, নিজেদের প্রতিজ্ঞার কথা ভুলে যেও না।নিজের মতো করে কাজ চালিয়ে যাও,হয়তো একদিন দেখা হবে আবার কোন এক সময়ে কিংবা চলার পথে।চন্দ্রা দিদি, আবার ধন্যবাদ।
পরিশেষে বলতে চাই, প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য সার্থক হয়েছে।
(বি:দ্র-যদি কেউ ভিডিও দেখতে চাও, তাহলে Youtube গিয়ে"Jadil Mri" লিখে সার্চ দিলেই ভিডিও চলে আসবে)
জাডিল মৃ( Jadil Mri)
তরুণ লেখক এবং ব্লগার
প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী |
চতুর্থ বারের মতো, রাঙামাটি।।
রাঙামাটি আমার প্রিয় শহর,আদিবাসীদের শহর,আমি বলি আদিবাসীদের রাজধানী "রাঙামাটি"।ইতিমধ্যে তিন পার্বত্য চট্রগ্রামের ম্যান শহর গুলো দেখা হয়েগেছে।তবে বিশেষ করে "রাঙামাটি "শহরে অনেক বার যাওয়া হয়েগেছে, অন্য দুই শহরের তুলনায়।প্রিয় শহর বলেই কি, ইদানিং বার বার যাওয়া হচ্ছে?নাকি যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে?এইটা বোধয় ঈশ্বরের ইচ্ছা।
এর আগের বার রাঙামাটি শহরের বাইরে বেশিদূর যাওয়া হয়নি,দুর্ভাগ্যবশত গ্রাম গুলোতে যাওয়ার সুযোগ হয়েই উঠেনি,যা এই বার হয়েছে।প্রথমে আমি ধন্যবাদ জানাবো, যারা এই প্রোগ্রামের আয়োজক ছিল,যাদের কারনে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি বিশেষ ভাবে, "চন্দ্রা দিদি কে", অসংখ্য ধন্যবাদ । আমার কাছে প্রোগ্রামের তাৎপর্য ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রোগ্রামের সময়ের মুহূর্ত গুলো মনের অনুভূতি মুখে প্রকাশের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বলতে পারিনি, তাই আমার অনুভূতি লেখনির মাধ্যমে শেয়ার করতে চাই।
কাপ্তাই লেক |
লেখা বেশি লম্বা এবং দীর্ঘায়ত করতে চাই না বলে,আমার কাছে যে বিষয় গুলো নাড়া দিয়েছে এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেগেছে, তাই লিখছি।
প্রথমত প্রোগ্রামেরর শুরুর দিকে যে বিষয়টা আমাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে,সেটা হচ্ছে প্রোগ্রামেরর যেট ব্যানার সেই তা নিয়ে,গ্রামের সুন্দর ঝর্ণার ধারের জায়গাতাতে গিয়ে লেখা এবং আর্ট করা হয়েছে, যা আমার কাছে ছিল" বিস্ময়কর"।মানে এত বছর এত প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি, কিন্তুু এই রকম প্রোগ্রাম ও ব্যানার করা জীবনেও পাইনি।যেখানে ব্যানার টা নিজেদের মধ্যেই করা হয়েছে,সেই গ্রামে গিয়ে।এছাড়াও তিনটা গ্রুপে ভাগ হয়ে আর্ট করেছিলাম,বিভিন্ন সেশনে অংশগ্রহণে সুযোগ হয়েছে,সময় গুলো ছিল খুবই দারুণ,সবকিছু সম্মেলিত ।যেখানে আমি শব্দের ব্যবহার বা আমিত্ব নেই, সেখানে রয়েছে বা ছিল "আমরা" করেছি এবং করবো।আদিবাসীদের ক্ষেত্রে আমির চাইতে আমরা শব্দটাই বেশি ব্যবহারকৃত শব্দ এবং প্রচলিত প্রয়োগকৃত শব্দ।
প্রায় চল্লিশ কিংবা পঁচাশ মিনিটের রাস্তা হেঁটে একটি সুন্দর ঝর্ণার কাছে যেতে সক্ষম হয়েছিলাম।যাওয়ার সময় ছোট বড় প্রচুর পাথর দেখেছি, দেখেছি স্বচ্ছ পানি, কিন্তুু মাছ দেখার সৌভাগ্য হয়নি।হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিলাম,প্রকৃতি বিরুদ্ধমতাবলম্বী লোভী কোন ব্যক্তি এখানে যদি থাকতো, তাহলে এই পাথর গুলো সেখানে থাকতো না। অবশ্যই না! পাথর গুলো আছে বলেই পানি আছে, পানি আছে বলেই প্রকৃতি সুন্দর,প্রকৃতি সবকিছু যোগান দিচ্ছে বলেই আদিবাসীরা বাস করছে।যদি সেখানে আদিবাসী মানুষগুলো না থাকতো তাহলে পাথর গুলো থাকতো তো?আদিবাসীরা না থাকলে কি স্বচ্ছ পানি দেখতাম?এত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বান্ধব গ্রাম, দেখার সৌভাগ্য কত জনের বা হয় মানে সেখান থেকে বড় কিছু শিক্ষা ভাগ্যের ব্যাপার।
প্রায় শুনি বান্দরবানে পানির তীব্র সংকট,এই সংকট গুলো সৃষ্টি হচ্ছে কেমন করে,নিশ্চয় কোন ঝামেলা আছে।ঝামেলা হচ্ছে, বান্দরবানে অবৈধ ভাবে পাথর তোলা হচ্ছে,ফলে ঝর্ণার যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং পানি থাকার যে ব্যবস্থা, সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
যে গ্রামে সকাল থেকে অবস্থান করেছিলাম, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার উপায় নেই যে,এত সুন্দর রাঙামাটি, এত সুন্দর আদিবাসী পাড়া গুলো,অপূর্ব দৃশ্য যা শুধু মাত্র কল্পনার মাধ্যমে দেখা যায়,বলতে গেলে জাস্ট, ওয়াও.. ওয়াও।জানো তো, আমি সেশনের সময়ে একটি কথা বলেছিলাম যে," আমরা যদি ভাবি আদিবাসী গ্রাম গুলো এই রকম হয় সেই রকম হয়,ফলে এই গ্রামই হচ্ছে কল্পনার নিরিখে বাস্তবতা,প্রত্যেকটা আদিবাসী মানুষের স্বর্গ হতে পারে এই গ্রাম"।সত্যিই ঠিক তাই,চারিদিকে পাহাড় গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলছে ঝর্ণার পানি, জাস্ট ওয়াও।রাঙামাটি যাওয়া আমার সার্থক।
ভাগ্নিনা এবং মামা |
অনেক দিনের স্বপ্ন যে বাস্তবে রুপ নিবে কে জানতো?সত্যিই তাই, আমি আমার প্রিয় চাকমা চিপ সার্কেলের রাজা এবং রানীর সাথে কথা বলা ও প্রশ্ন করা মানে তাদের সান্নিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলাম।অনেকের কাছে সামান্যতম বিষয় হতে পারে, কিন্তুু আমার কাছে রাজা ও রানীর সাথে সাক্ষাৎতের সময়টা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়েছে।উনাদের কাছ থেকে যতটুকু সম্ভব তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করেছি।আগেকার দিনে রাজা রানীর শাসন আমল ছিল, আস্তে আস্তে তা রাজ্য থেকে দেশে রুপান্তরিত হয়।পৃথিবীতে রাজা বা রানীদের শাসন আমল শেষ হলেও কিছু কিছু দেশে তা এখনো বজায় রয়েছে সীমিত আকারে।আমাদের দেশেও যে এখনো রাজা ও রানী আছে তা অনেকে জানে না।
চাকমা রাজার অফিসে ভেতরের চেহারা দেখার খুব খায়েস ছিল,মিটে গেল, এছাড়াও দরবার, খাজনার কক্ষ, মিনি লাইব্রেরী, এনজিওর অফিস,অনেক ছবি, আরো কত কি যে দেখেছি,এই মুহূর্তে ভুলেগেছি। রাজার অফিস এত সুন্দর এবং পরিপাটি, সুযোগ থাকলে নিজের চোখে দেখা উচিত।
প্রোগ্রাম থেকে অনেক কিছু নিয়ে এসেছি, সব চাইতে বেশি আশ্চর্য ভাবে নাড়া দিয়েছে "প্রথা গত আইন"।নিজের মনে উপল্ধি করতে পেরেছি, প্রথাগত আইন ছাড়া আদিবাসীদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব না।আমি জানি না, আমাদের মুরুব্বি গুলো কি চিন্তা করছে বা ব্যবস্থা নিচ্ছে।
প্রেগ্রামের থিম ছিল""চল ফিরি শেকড়ে,উচ্ছল তারুণ্যে,গান হবে ঝর্ণার সাথে,গল্প হবে প্রকৃতির সান্নিধ্যে" বেশ দারুণ।
থিমের সাথে সবকিছু মিল রেখে প্রোগ্রাম সুন্দর ভাবে শেষ হয়েছে, সত্যিই শিকড়ের সন্ধানে গিয়ে, অনেকে অনেক কিছু উপল্ধি করতে পেরেছে যা প্রত্যেকটা মানুষের বিষণ প্রয়োজন,বিশেষ করে আদিবাসী যুবক যুবতীর ক্ষেত্রে।
যাদের সাথে প্রথম দেখা হয়েছে এবং পরিচয় হয়েছে, সবাই ভালো থেকো, নিজেদের প্রতিজ্ঞার কথা ভুলে যেও না।নিজের মতো করে কাজ চালিয়ে যাও,হয়তো একদিন দেখা হবে আবার কোন এক সময়ে কিংবা চলার পথে।চন্দ্রা দিদি, আবার ধন্যবাদ।
পরিশেষে বলতে চাই, প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য সার্থক হয়েছে।
কাপ্তাই লেক |
(বি:দ্র-যদি কেউ ভিডিও দেখতে চাও, তাহলে Youtube গিয়ে"Jadil Mri" লিখে সার্চ দিলেই ভিডিও চলে আসবে)
No comments