কক্সবাজার।। জাডিল মৃ।।


কক্সবাজার

ইনানী বিচ'২০





বিকেলের রৌদ উঠেছে দারুণ,তবে একটু পড়ে সূর্য ডুবে যাবে।কক্সবাজারে আছি বলে হয়তো আমার ঘনঘন জলের তৃষ্ণা পাচ্ছে। তবুও জলের সন্ধানে কোথাও যাইনি;শুয়ে আছি বেশ আরাম করে,বিশাল সমুদ্র সৈকত দেখছি।শুয়েই ভাবছি, এই বিশাল সমুদ্রের মতো যদি আমার মন বড় করতে পারতাম। প্রত্যেক মানু্ষের মন যদি সমুদ্রের মতো বড় হতো।পৃথিবী কতই না আরো মানবিক পৃথিবী হয়ে উঠতো।এই যে এত ভাবছি,কিছু হচ্ছে, হবে কী!তবুও স্বপ্নের কোন শেষ নেই,আশায় মানুষ বাঁচে,আমিও বাঁচি।সমুদ্রের প্রতি আমার দরদ বা ভালোবাসা বা পছন্দের জায়গাটা খুবই কম।সবেচেয়ে পাহাড় আমার ভালো লাগে।তবে সমুদ্রের টেউ এর যে আওয়াজ তা বড্ড বেশি টানে।যখন রাত নামে শুনশান হয়ে যায় চারপাশ,কোলাহলময় শহর যখন শান্ত হয়ে যায়।তখন সমুদ্রের টেউ আমাকে বড্ড বেশি টানে, আমি সমুদ্রের টেউ এর আওয়াজে নানা রকম শব্দ শুনতে পাই।এই শব্দ আমাকে এনে দেয় পৃথিবীর এক অবিরাম শান্তি।যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়াজ শুনি মনের ভেতর আনন্দ ও সুখ খেলা করে।



কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এখন পর্যন্ত গোসলের ইচ্ছা জাগেনি।কেন জানি, পাহাড়ের ঝর্ণা কথা মনে পড়ে।শুধু পাহাড় আর পাহাড় ভালো লাগে।কেন যে এত পাহাড় প্রিয় হয়ে উঠেছি,আমি জানি না।হাতে সময় আছে,কক্সবাজারে আছি,এত সুন্দর সময় ও জায়গা।তবুও পাহাড়ের কথা মনে পড়ে।এত সুন্দর জায়গা রেখে পাহাড়ে যেতে মন চাই।কিন্তুু কেন?আমি কী পরবর্তীতে আফসোস করবো!সমুদ্রের প্রতি ভালো না লাগাটা আমার ব্যর্থতা। হয়তোবা না,হয়তোবা হ্যাঁ!


কক্সবাজারে আসার সম্ভাবনা ছিল না।হঠাৎ করেই চলে আসা,এমন সুবর্ণ সুযোগ হয়তো কেউ মিস করবে না,আমিও করিনি। তবে পাহাড়ের কথা বড্ড বেশি মনে পড়ছে।তবুও আসা হয়েগেল কক্সবাজারে ক'জন মানুষের জন্য।তাদের কে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না, সারাজীবনের জন্য কৃতজ্ঞতা,চিরঋণী হয়ে থাকলাম।

ইনানী বিচ,
শুক্রবার,মার্চ,২০২০ খ্রিষ্টাব্দ(১৩/০৩/২০২০)




No comments

Theme images by saw. Powered by Blogger.