ধন্যবাদ, কাপেং ফাউন্ডেশন!
ধন্যবাদ, কাপেং ফাউন্ডেশন!
জাডিল মৃ
তরুণ লেখক এবং ব্লগার
তরুণ লেখক এবং ব্লগার
প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী গারো যুব প্রতিনিধি |
ধন্যবাদ বৃত্তান্ত,
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই 'কাপেং ফাউন্ডেশন' কে সুন্দর একটি যুব সম্মেলটি'তে আমাদের-কে অংশগ্রহণে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।এছাড়াও কাপেং এর সহযোদ্ধা কমরেডগণ যারা আমাদের কে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছেন, আমাদের সুবিধা অসুবিধা ও সমস্যাগুলো সমাধানের পাশে ছিলেন,প্রত্যেক কে অন্তরের অন্তঃস্তল থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যুব প্রতিনিধি হিসাবে ধন্যবাদজ্ঞাপন করছি।সাথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক'জনের অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া, সত্যিই আমরা গর্বিত এবং নিজেদের কে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই 'কাপেং ফাউন্ডেশন' কে সুন্দর একটি যুব সম্মেলটি'তে আমাদের-কে অংশগ্রহণে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।এছাড়াও কাপেং এর সহযোদ্ধা কমরেডগণ যারা আমাদের কে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছেন, আমাদের সুবিধা অসুবিধা ও সমস্যাগুলো সমাধানের পাশে ছিলেন,প্রত্যেক কে অন্তরের অন্তঃস্তল থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যুব প্রতিনিধি হিসাবে ধন্যবাদজ্ঞাপন করছি।সাথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক'জনের অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া, সত্যিই আমরা গর্বিত এবং নিজেদের কে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
দিদির সাথে |
জ্ঞাতার্থে,
কাপেং ফাউন্ডেশন আয়োজিত,'জাতীয় আদিবাসী যুব সম্মেলন-২০২০'অনুষ্ঠিত হয়েছে।গত ১৪-১৬ মার্চ'২০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সম্মেলনটি হোটেল অর্কিড ব্লু, ইনানী বিচ রোড,ইনানী, কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়।যুব সম্মেলনে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১৬টি জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ৫০ জনের অধিক যুব প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে।
কাপেং একটি 'খুমি' শব্দ। বাংলা অর্থ 'অধিকার'।
কাপেং ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গতবছর সিলেটে যুব সম্মেলন'১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।এই বছর কক্সবাজারে সম্মেলন'২০ অনুষ্ঠিত হলো।
কাপেং ফাউন্ডেশন আয়োজিত,'জাতীয় আদিবাসী যুব সম্মেলন-২০২০'অনুষ্ঠিত হয়েছে।গত ১৪-১৬ মার্চ'২০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সম্মেলনটি হোটেল অর্কিড ব্লু, ইনানী বিচ রোড,ইনানী, কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়।যুব সম্মেলনে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১৬টি জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ৫০ জনের অধিক যুব প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে।
কাপেং একটি 'খুমি' শব্দ। বাংলা অর্থ 'অধিকার'।
কাপেং ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গতবছর সিলেটে যুব সম্মেলন'১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।এই বছর কক্সবাজারে সম্মেলন'২০ অনুষ্ঠিত হলো।
ব্যক্তিগত অভিমত(অনুভূতি),
পরাজিত সৈনিক হতে চেয়েও অপরাজিত সৈনিক হয়েছি।অর্থাৎ অনেকের না যাওয়াতে আমাদের যাওয়ার সুযোগ হয়।শুধুমাত্র তা সম্ভব হয়েছে 'কাপেং ফাউন্ডশনের' জন্য।যদি বলি, জীবনের একটি মাইফলক হয়ে থাকবে সম্মেলনটি;তা বলা ভুল হবে না।কারণ সম্মেলন থেকে যতটুকু প্রাপ্তির চিন্তা বা আশা করেছিলাম তার চাইতেও অধিক পেয়েছি।পাহাড় এবং সমতলের যুব আদিবাসীদের এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে পারা এবং নিজেদের সমস্যাগুলো সহভাগিতা ও এক সাথে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয়ের যে দৃষ্টান্ত, তা কাপেং ফাউন্ডেশন করিয়ে দেখিয়েছে।যা সময় উপযোগী সিদ্ধাত ছিল।
সেশন চলাকালীন |
আমি মনে করি, যুব সম্মেলন'২০ খ্রিষ্টাব্দ;পাহাড় এবং সমতলের আদিবাসীদের এক মিলনমেলার রুপ নেয়।পাহাড় ও সমতলের যুব প্রতিনিধিরা নিজেদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন।ভবিষ্যতে যে কোন সমস্যা ও অধিকার আদায়ে এক সাথে কাজ করার অঙ্গীকারবদ্ধ হন।সম্মেলনের শেষে একটি নেটওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়।যাতে পাহাড় ও সমতলের যুব আদিবাসীদের যোগাযোগ থাকে এবং এক সাথে কাজ করতে পারে।আরো বিশেষত্ব হলো,কমিটিতে প্রায় প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠী থেকে যুব প্রতিনিধি নিশ্চিত করা হয়।
যুব সম্মেলনে অনেকগুলো ইতিবাচক দিক আমি লক্ষণ করেছি।যেমন-
*পাহাড় এবং সমতলের যুব আদিবাসীরা একে অপরের কাছে আসার সুযোগ পেয়েছে।
*পাহাড় ও সমতলের সমস্যাগুলো জানার কিংবা সহভাগিতার সুযোগ পেয়েছে।
*প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠী থেকে কমপক্ষে একজন যুব প্রতিনিধি রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
*বক্তা এবং প্রোগ্রামের শিডিউল অনেক মানসম্মত ছিল।
*প্রশ্ন উত্তরের যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছিলাম।
*প্রোগ্রামের শিডিউলগুলো সময় উপযোগী ছিল।
*প্রত্যেকে সমান সুযোগ সুবিধা পেয়েছে।
*বিশাল বড় নেটওয়ার্কিং তৈরি হয়েছে।
*প্রাপ্তির খাতা ছিল, বিশাল বড়।
সর্বোপরি, সবকিছুই চমৎকার হয়েছিল।
রেটিং যদি ধরি,আমি ৫ এর মধ্যে ৫ দিবো।
রেটিং যদি ধরি,আমি ৫ এর মধ্যে ৫ দিবো।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সিলেটের যুব প্রতিনিধিবৃন্দ |
আমার কাছে আরো মনে হয়েছে যে,প্রোগ্রামের পরিবেশ ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ। যেমন,কাউকে আমি সংকোচবোধ হতে দেখেনি।প্রোগ্রামের আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সত্যিই আমাকে অবাক করেছে।মোটকথা,সবাই ফ্রি মান্ডের ছিল।পরিচিত পরিচিত বসলে বা কথা বললে বকা দেওয়া, আমি প্রসংশা না করে থাকতে পারছিনা।আয়োজরা সবসময় চেষ্টা করেছেন অংশগ্রহণকারী সবাই যেন সবার সাথে বসে, কথা বলে, সময় কাটাই আরো কাছাকাছি যেতে পারে সম্পর্কগুলো যেন মজবুত হয়।এবং একে অপরের সমস্যাগুলোও যেন বুঝতে পারে এক সাথে কাজ করার মানসিকতা গড়ে উঠে ও দূরত্ব যেন না থাকে,আমি মনে করি তা দিক দিয়েও আয়োজকরা সফল।যা সত্যিই পাহাড় ও সমতল যুব আদিবাসীদের জন্য প্রয়োজন ছিল।আরো আমি মনে করি,অংশগ্রহণকারী সবাই উপকৃত হয়েছে কিছু না কিছু শিখতে পেরেছে।
যতজন বক্তাগণ উপস্থিত ছিলেন সবার সেশন গুরুত্বপূর্ণ এবং যুব আদিবাসীদের জন্য অধিক পরিমাণে প্রয়োজন ছিল।কোন কিছুর কমতি আমি লক্ষ্য করিনি।এমন একটি প্লাটফর্ম সত্যিই দরকার,সত্যিই দরকার ছিল।আশা ব্যক্ত করি,ভবিষ্যত এমন আরো অনেক প্রোগ্রাম হবে।
সবাই একি ক্যাম্পাসের |
উপসংহার,
শেষমেশ আয়োজকদের বলতে চাই,আগামীতে যদি সুযোগ হয় তাহলে দ্বিধাহীনভাবে সংকোচবোধ না করে আমি আবার প্রোগ্রামে যেতে চাই।সেই সুযোগের প্রত্যাশা করছি।
ধন্যবাদ, কাপেং ফাউন্ডেশন!
No comments