জীবন্ত এক অধ্যায় চলছে তো চলছেই!


জীবন্ত এক অধ্যায় চলছে তো চলছেই!


ছবি-ধানক্ষেত।




করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গ্রাম থেকে শহর,শহর থেকে দেশ,দেশ থেকে মহাদেশ সবকিছুই থমকে আছে।পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটা দেশ লকডাউন।বাসা বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ।আমিও তাই গ্রামের বাড়িতেই থাকছি,বলতে পারেন হোম-কোয়ারেন্টিন।ভাবছিলাম, গ্রামে থেকেও নিজেকে অবরুদ্ধ মনে হচ্ছে,আর যারা শহরে থাকছে কিংবা যাদের জেলখানায় এত বছর থাকতে হয়, তারা এতদিন কিভাবে থাকে বা থাকছে!তবে গ্রামে থাকলে একটু সুবিধা আছে।যেমন- হাঁটাহাঁটি করা যায়, গাছের ছায়ায় বসা যায়, ধানক্ষেত দেখা যায়,গাছ দেখা যায়,পাখির ডাক শোনা যায়,গরু-ছাগল-মুরগী-হাঁস-কবুতর-শুকর আরো অনেক কিছুই দেখা যায়।




আমি ঘরে থাকার ছেলে না।একটু সময় পেলেই যে ছেলেটি হাজার বার বারণ সত্ত্বেও ঘুরতে বেড়িয়ে যায়, আজকে সে ঘরে বন্দি, ভাবা যায়!কারণ কী,কারণ হচ্ছে আমার যদি করোনাভাইরাস হয় তাহলে আমাকে তো ভাইরাস আক্রমণ তো করবেই সাথে পরিবার গোষ্ঠীভুক্ত সদস্যরা সবাই আক্রান্ত হবেই।তাই যতটা পারি সাবধানতা অবলম্বনের চেষ্টা করছি।নিজেকে খাঁচার বন্দি পাখির মতো মনে হচ্ছে।প্রতিদিন মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছি।কবে যে আসবে মুক্তির শুভক্ষণ কে জানে?

কিন্তুু জীবন্ত এক অধ্যায় চলছে তো চলছেই!



আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন,এই-সেই ভাইরাস নয়,মারাত্মক ভাইরাস।এই খারাপ পরিস্তিতিতে,আপনারাও সাবধানে থাকেন,ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন এবং বাড়িতেই থাকেন।
ভাইরাসের কারণে কমবেশি সবাই গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছে। অপ্রত্যাশিত ভাবে সবাই এতদিনের ছুটি পেয়েছে,শহরে কী মন টিকবে?অবশ্যই না!তাই তো সবাই গ্রামের বাড়ি এসে মুখ লুকিয়ে রেখেছে।মানে ভাইরাসের কারণে কেউ বের হচ্ছে না ও সচেতনতার কারণে বের হতে চাইছে না।



পৃথিবীর মানুষ থমকে দাঁড়িয়েছে,কিন্তু পৃথিবী নিজ নিয়মে সূর্যের চারপাশে ঘুরছে।এতবছর পরে পৃথিবীর জীব-জন্তুু-গাছপালা-পশুপাখি-প্রকৃতি(মানুষ ছাড়া)নিজের নিয়মে ফিরে আসছে।তাদের এই শান্তি কতদিন থাকবে কে জানে?একটি মাত্র ভাইরাস কত আমূল পরিবর্তনের সাক্ষী হতে সাহায্য করছে!মানুষকে উপলদ্ধি করতে শিখাচ্ছে মানুষের কারণে প্রাণ প্রকৃতি কত রকম ভাবে নষ্ট হচ্ছে।সৃষ্টির জীব হিসাবে মানুষ একটা অংশ।পৃথিবী যেমন সবার,সবাই পৃথিবীর!



No comments

Theme images by saw. Powered by Blogger.