Atchianamsal, Angni A.chik School
Jadil Mri
এমনি করে অনেক বছর চলে গেল, আজ প্রায় তিন বছর পর আমরা স্কুল চালু করতে সক্ষম হয়েছি।সেটা আর টং দোকানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না, আজকে তার বাস্তবতা।আমরা তিন জন কথার ছলে শুরু করতে চেয়েছিলাম, কিন্তুু এতদিন তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।কিন্তু আজ স্কুল শুরু পর্যন্ত, বিভিন্ন ভাবে তারা সাহায্য করে চলছে।আমি তাদের কাছে বেশিই কৃতজ্ঞ,কারন তারাই স্বপ্ন দেখিয়েছিল,স্কুল গড়তে। মাত্র তো শুরু হলো,ভবিষ্যতেও তাদেরকে আমার দরকার এবং আমাদের দরকার।তাদের নাম উল্লেখ না করলেই নয়, আমার বন্ধু শৌভন ম্রং এবং ছোট ভাই জ্যাক হাজং।শুরু থেকে স্কুল গড়ার পেছনে তাদের অবদান অস্বীকার্য,ধন্যবাদ দিয়ে তাদেরকে ছোট করতে চাই না।
"জুমাং'কো রিম্ম'না" প্রত্যেক সদস্যদের এখনো অনেক কাজ বাকি,গড়ে তুলা যেমন সহজ টিকে রাখা তত সহজ নয়।প্রত্যেক সদস্য কে আমি অনুরোধ করবো, যেন স্কুলের জন্য আরো মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করে।মাথায় রাখতে হবে, একটি স্কুল দিয়ে যথেষ্ট নয় আরো দরকার অনেক গুলো স্কুল।মাতৃভাষা কে নতুন করে যেন উজ্জীবিত করতে পারি,মাতৃভাষা যেন বেঁচে থাকা আরো হাজার বছর সেই স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
সকাল থেকেই খুব চিন্তায় ছিলাম, স্কুল যে উদ্বোধন করে আসলাম ,বাচ্চারা আসবে তো!
মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো,বাচ্চারা যদি না আসে কি হবে?আমাদের স্কুলের ম্যামকে ফোন দিলাম,সব সংশয় কেটে গেল ।শুনে অনেক খুশি হয়েছিলাম, অনেক বাচ্চা আসছে নতুন স্কুলে পড়তে।শুনে এত ভালো লেগেছিল,চোখে জল আসার মতো।অবশ্য এতটা ইমোশনাল হয়ে যাওয়াটাও ঠিক না।
আমি মনে করি আমরা সফল...
আমাদের স্বপ্ন হাতের মুঠোয়....
শুভ জম্মদিন, আমার আচিক স্কুল
Dao rangsa dimdakkon... Mitela
Atchianamsal, Angni A.chik School
কিছু সংশয় নিয়ে, "Angni A.chik School "উদ্বোধন করে আসলাম।আমাদের স্বপ্ন মাত্র পথ চলা শুরু হলো,যা দেখতে শুরু করেছিলাম কলেজে থাকার সময়।দেখতে দেখতে প্রায় তিন বছর হয়ে গেল,কথার ছলে যেটা কল্পনা করেছিলাম,স্কুল করতে চেয়েছিলাম যা আজকে বাস্তবে রুপ দিতে সক্ষম হয়েছি।মাত্র তো শুরু হলো,টিকে থাকার জন্য এখন আরো লড়াই করতে হবে।আমাদের স্বপ্ন আরো বিশাল,শুধু মাত্র একটি স্কুল দিয়েই আমরা ক্রান্ত থাকতে চাই না।আরো আরো বিশদ ভাবে কাজ করতে চাই,আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যেহেতু ঝুঁকি নিয়ে নিয়েছি,সেহেতু আরো ঝুঁকি নিতে আমরা প্রস্তুত। স্কুলের চিন্তা কিভাবে আসলো একটু শেয়ার করতে চাই,যেটা না বললেই নয়।
তখন নটর ডেম কলেজে পড়ি,আমরাও সিনিয়র হয়েগেছি,নতুন ব্যাচ আসছে, মনে অন্য রকম ফূর্তি ছিল,বড় হয়েগেছি,একটু ভাবসাব তো ছিলই।আমরা প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় ঘুরতে বের হতাম,মতিঝিলের আরামবাগের অলিগলি রাস্তা অনেক রাত পর্যন্ত ঘুরে বেড়াতাম।প্রত্যেকদিনের মতো সেদিও ঘুরতে বের হয়েছিলাম,সেদিনের আড্ডা দারুণ জমে গিয়েছিল।যদিও আমরা তিন জন এক সাথে থাকতাম।কিন্তুু রুমে আড্ডার পরিবেশ এক ছিল,বাইরে আরেক রকম পরিবেশ ছিল।আমরা তিনজন সবসময় টং দোকান পছন্দ করতাম।আমরা টাকা বাঁচানোর জন্য কম খরচে টং দোকানে আড্ডা জমাতাম।একদিন কথা বলতে বলতে আচিক মান্দি স্কুল করার চিন্তা আসলো।আড্ডায় বিশদ ভাবে আলোচনা করেছিলাম,সত্যিই কেন আমাদের অতি দ্রুত স্কুল প্রয়োজন।আমরা পরিকল্পনাও করেছিলাম, কি ভাবে শুরু করা যায়।কিন্তুু তখন কলেজে পড়ি, বয়স হয় নাই,এত বড় কাজ করতে সাহস হয়নি এবং লোকজন কিভাবে নিবে সেটাও চিন্তার এক কারন ছিল।তখন আমরা পারি নাই,স্কুল করতে পারি নাই,সেই টং দোকান পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল।পরে তখন স্কুল নিয়ে কোন পরিকল্পনা স্বপ্ন হাতে নেওয়া হয়নি।
Jumang'kho Rim'na |
এমনি করে অনেক বছর চলে গেল, আজ প্রায় তিন বছর পর আমরা স্কুল চালু করতে সক্ষম হয়েছি।সেটা আর টং দোকানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না, আজকে তার বাস্তবতা।আমরা তিন জন কথার ছলে শুরু করতে চেয়েছিলাম, কিন্তুু এতদিন তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।কিন্তু আজ স্কুল শুরু পর্যন্ত, বিভিন্ন ভাবে তারা সাহায্য করে চলছে।আমি তাদের কাছে বেশিই কৃতজ্ঞ,কারন তারাই স্বপ্ন দেখিয়েছিল,স্কুল গড়তে। মাত্র তো শুরু হলো,ভবিষ্যতেও তাদেরকে আমার দরকার এবং আমাদের দরকার।তাদের নাম উল্লেখ না করলেই নয়, আমার বন্ধু শৌভন ম্রং এবং ছোট ভাই জ্যাক হাজং।শুরু থেকে স্কুল গড়ার পেছনে তাদের অবদান অস্বীকার্য,ধন্যবাদ দিয়ে তাদেরকে ছোট করতে চাই না।
কলেজে থাকার সময় আমরা যেটা চিন্তা করেছিলাম সেটা সম্ভব হয়নি।যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠলাম,নতুন করে মাথায় ঘুরতে থাকলো কিভাবে স্কুল শুরু করা যায়।সবকিছু অদ্ভুত ভাবে শুরু হয়ে গিয়েছিল।সেই রকম অদ্ভুত ভাবে আমাদের নতুন দল হিসাবে তৈরি হয়ে গেল "জুমাং'কো রিম্ম'না",বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বন্ধু বান্ধবী পেলাম।বলে রাখা ভালো,আমার বন্ধু বান্ধবী সবারি কাজ করার সৎ সাহস রয়েছে, যে কোন ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। "জুমাং'কো রিম্ম'না "পাঠ্যচক্র শুরু করলো।আমি প্রস্তাব দিলাম স্কুল করা যায় কিনা! কলেজে থাকার সময় যেটা চিন্তা করেছিলাম মানে আমাদের স্কুলের চিন্তা শেয়ার করলাম।সবাই সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল।আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি,সবাই মিলে কাজ শুরু করে দিলাম।বড়দের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে থাকলাম।সবাই সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিল।আমরা সাহস নিয়ে এই প্রথম বার উদ্বোধন করে আসলাম।আমরা জানি আমাদের অর্থনীতি অবস্থা ভালো নয়,সবাই পড়াশুনা করছে।তবুও বুকে সাহস নিয়ে আমরা স্কুল তৈরি করতে পিছনে ফিরে তাকাইনি।"জুমাং'কো রিম্ম'না "প্রত্যেক সদস্যদের আমি ধন্যবাদ জানাই।এমন একটি স্কুল তৈরি করার জন্য,যেটা আমাদের প্রয়োজন ছিল, যেটা করা দরকার ছিল।"জুমাং'কো রিম্ম'না "দল যদি এই কাজ না করতো হয়তো স্কুল হতো না বা আরো পরে হতেও পারতো অন্য কেউ নতুন চিন্তা নিয়ে করতো।আমি জানি না স্কুল কতদূর যাবে,তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস স্বপ্ন যেহেতু বাস্তবায়ন হচ্ছে সেহেতু অন্য স্বপ্ন গুলোও বাস্তবায়ন হয়ে যাবে।
"জুমাং'কো রিম্ম'না" প্রত্যেক সদস্যদের এখনো অনেক কাজ বাকি,গড়ে তুলা যেমন সহজ টিকে রাখা তত সহজ নয়।প্রত্যেক সদস্য কে আমি অনুরোধ করবো, যেন স্কুলের জন্য আরো মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করে।মাথায় রাখতে হবে, একটি স্কুল দিয়ে যথেষ্ট নয় আরো দরকার অনেক গুলো স্কুল।মাতৃভাষা কে নতুন করে যেন উজ্জীবিত করতে পারি,মাতৃভাষা যেন বেঁচে থাকা আরো হাজার বছর সেই স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
"জুমাং'কো রিম্ম'না" প্রত্যেক সদস্য এছাড়াও যারা বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছে সাহায্য করে যাচ্ছে তাদের কে আবারোও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সকাল থেকেই খুব চিন্তায় ছিলাম, স্কুল যে উদ্বোধন করে আসলাম ,বাচ্চারা আসবে তো!
মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো,বাচ্চারা যদি না আসে কি হবে?আমাদের স্কুলের ম্যামকে ফোন দিলাম,সব সংশয় কেটে গেল ।শুনে অনেক খুশি হয়েছিলাম, অনেক বাচ্চা আসছে নতুন স্কুলে পড়তে।শুনে এত ভালো লেগেছিল,চোখে জল আসার মতো।অবশ্য এতটা ইমোশনাল হয়ে যাওয়াটাও ঠিক না।
আমি মনে করি আমরা সফল...
আমাদের স্বপ্ন হাতের মুঠোয়....
শুভ জম্মদিন, আমার আচিক স্কুল
Dao rangsa dimdakkon... Mitela
No comments