কবি মিঠুন রাকসাম Part-4

আরো কিছু কবিতা....
  
              ২৩

     এক উম্মাদ আছে

এক উম্মাদ আছে
কাছে পেলে উল্টিয়ে
                              পাল্টিয়ে
                                         হাত নেড়ে
                                                       পা নেড়ে

মোদ্দা কথা তাড়িয়ে তাড়িয়ে
সপ্তমে চড়তে চায়

এক উন্মাদ আছে
কাছে পেলে
              বোকা-চোদা হয়ে যায়!

           
                  ২৪

      প্রতিদিন রত্নদ্বীপের আশায়

একটা রত্নদ্বীপেরর আশায়
প্রতিদিন বাসায় ফিরি
কিন্তুু বাসায় পৌঁছার আগেই
ঘুমিয়ে পড়ি

সে কি জাদুর দ্বীপ?
নাকি রত্নের স্তন থেকে বেরিয়ে আসা
সুগদ্ধি বায়ু?ঘুম পাড়িয়ে দেয়
দরজা খোলার আগেই।

প্রতিদিন বাসায় ফিরি
আর দ্বীপের কাছে আসতেই
ঘুমিয়ে পড়ি
যেন রত্ন দ্বীপ নয়
সদ্য ওলান থেকে পড়া
কাঁচা দুধের ঘ্রাণ!

               ২৫


গত শীতের জিইয়ে রাখা ময়লা

গত শীতের জিইয়ে রাখা ময়লা
                 ফেনিয়ে বেরুচ্ছে
বউ ডলছে আর বলছে-
                   আ-মরণ!

শীত আমার লুফে নেবার
বউ তো জানে না
শুধু শুধু হাঙামা বাধায়
কথায় কথায় বলে-
                   আ-মরণ!

বউ বলে
শীত কেমন ম্যারমেরা
যত আনাছৃষ্টি আর ধুমসো বেড়ালের ডাক!

কেন যে গরম আসে আর
               উদোম হয়ে বসে থাকা
অবশ্য পাড়ার চাচীরা খালি গায়েই ঘুরে
মশা তাড়াতে তাড়াতে হাঁটে যুবতী।
শীত আমার লুফে নেবার
বউ ব্লাউজবিহীন
আঁচল দোলাতে দোলাতে
ঝপাট করে নামে
              পুকুর ঘাটে
আমাকে শুনিয়ে বলে-
                  আ-মরণ!

দূর থেকে মনে হয় আঁচলবিহীন
                                             বাইসা মাছে!

                   ২৬

            বড়দিন মানে

বড়দিন মানে
রাত জেগে কীর্তন
ভোর থেকে শূকর পোড়ানো
মদের হাঁড়ি নাড়ানো
খাসি জবাই
কলার পাতা সংগ্রহ
ঘুরে ঘুরে ঢুলে ঢুলে
রে রে আজিয়া(গান নাচ)
শূকরের কান কিংবা মস্তকের জন্য
ছেলে-মেয়েরা কাড়াকাড়ি
কুকুরের কামড়াকামড়ি

বড়দিন মানে
মাতাল গারো
মাতাল গারোপাড়া!

           
           ২৭

     খুব কাছ থেকে


খুব কাছ থেকে
               চলে যায়...
মুখে
চমন বাহারের সুবাস
চুন মিশ্রিত ঠোঁট।

খুব কাছ থেকে
           চলে যায়
দেহে
    ফিরিঙ্গি মসলা
তবু তামাতো স্তন
                গরমে ঘামে
শাদা ব্লাউজের ভিতর!

                   ২৮

হেঁটে আসি কবরের উপর দিয়ে


হেঁটে আসি কবরের উপর দিয়ে
হেঁটে হেঁটে ঘাটে চলে যাই
ঘাট-কত স্মৃতির ঘাটে
কতো মানুষের খসে পড়া
শাদা-কালো ছাই রংয়ের আঁশ

হেঁটে হেঁটে ঘাটের কিনারে যাই
ঘাট কতো স্বপ্ন রঙিন মাছের মতো

ঘাটে গিয়ে বুঝতে পেরেছি
কোন মাছই নগ্ন নয়
একটু ঝুঁকলেই দেখা যায় মানুষের মতো
বাহারি রংয়ের পোশাক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে
ধরতে গেলেই পালিয়ে যায়

আসলে মাছটা যখন খোটা হয় তখনই
খসে পড়ে তার পোশাক
সম্ম্রমহারা লোকের মতোই
মাছও মরে যায়!

             ২৯

       যা পড়ছি

যা দেখছি
সবাই সার্কাস
যা পড়ছি
কামের ইতিহাস!

                 ৩০

গারো বাঙাল বেয়ায় বেয়ায়

নিচ থেকে কে যেন ডাকলো
'মিটুন আচো?'
খুব চেনা মান্দিপাড়ার স্বপ্ন
কালাচাঁদপুর মান্দিপাড়া হয়ে গেছে
এখানে মুসলমানরা সংখ্যালঘু
মান্দিগ্রাম আর চু
একসাথে বেড়ে ওঠে
যেখানে মান্দিরা থাকে
সেখানে খারি সোডার গন্ধ
মৌ মৌ...

গারোপাড়া
কুকুর আর শূকর শুয়ে আছে উঠানে
ঠিক গারো আর মুসলমানপাড়া
পূর্ণিমায় দেখতে আরো ভালো
যমজ ডালের মতো দুদিকে দুটি
মাথা রেখে শুয়ে আছে

যেভাবে শোয়
গারো-মেয়ে মুসলমান-ছেলে
মুসলমান-মেয়ে গারো-ছেলে
তখন গারো-বাঙাল
আত্নীয় বেয়ায়
গলার স্বর এই লাগে
গারো গারো বাঙাল বাঙাল!
   

No comments

Theme images by saw. Powered by Blogger.