স্বর্গের সাথে আমার, বদ অভ্যাস(চু)
Jadil Mri
স্বর্গের সাথে আমার, বদ অভ্যাস(চু)
আমার কাছে যতগুলো স্বর্গ আছে,তার সাথে বদ অভ্যাসটা যুক্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ। হয়তোবা, আমার কাছে মানে ব্যক্তিগত ভাবে অনেক বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তুু অন্যদের কাছে মনে হতে পারে, বেহুদা বা অপ্রয়োজনীয়। সচারচর,আমাদের কাছে স্বর্গ বলতে ,মৃত্যুর পর যখন আমরা মারা যাবো যদি ভালো কাজ করি অর্থাৎ ধর্ম মত অনুসারে জীবন যাপন করি তখন স্বর্গে যাবো।আর যখন ধর্ম মত বাইরে জীবন যাপন করবো মানে অগুছালো জীবন, তখন আমরা নরকে যাবো।আমি নিজেই নিজের বদ অভ্যাস নিয়ে কথা বলতে চাই।আমার যত গুলো বদ অভ্যাস আছে, তার মধ্যে অন্যতম অনুভবের চেষ্টা বা জানার চেষ্টা বা অনুধাবনেরর চেষ্টা বা মিষ্টি রস খুঁজা।আমার কাছে এইগুলো মারাত্মক এক বদ অভ্যাস ।
আমার নিজের ইচ্ছাতেই বদ অভ্যাসতা তৈরি হয়েগেছে।
ছোটবেলা থেকেই বদ অভ্যাসতা তৈরি করেছি,মানিয়ে নিয়েছি। পূর্ণিমা রাত, চারিদকে চাঁদের আলোয় সবকিছু দেখা যায়,এক নতুন পৃথিবী কাছে এসে ধরা দেয়।তখন প্রকৃতি চারপাশ এত সুন্দর দেখায় যা দিনের সাথে কোন মিল নেই।সেই সময়ের সাথে যদি চু(মদ)আসর বসে,তাহলে তো কোন কথায় নেই।আমার কাছে স্বর্গ,আমার কাছে যতগুলো স্বর্গ আছে তার মধ্যে অন্যতম।প্রায় সময় মানে সময় পেলেই বা যদি সুযোগ হয়, সেই আসরে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকি(কোন কারনে হোক চু আমি খাই না, তবুও আসরে বসে থাকি)।আমার ভালো লাগার জায়গাটা হলো,সেই সময়টা কাজে লাগানো বা অনুভবের চেষ্টা বা জানার চেষ্টা বা অনুধাবনেরর চেষ্টা বা মিষ্টি রস খু্ঁজা।যখন চু'র আসরে এক সাথে শিল্পী, কবি,সাহিত্যিক, সাংবাদিক,সিনেমা পরিচালক, লেখক,সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব,মুক্তমনা, উদ্যোগতা এমনি ভাবে নানা পেশার লোক যদি থাকে, আর কি লাগে?
ছোটবেলা থেকেই বদ অভ্যাসতা তৈরি করেছি,মানিয়ে নিয়েছি। পূর্ণিমা রাত, চারিদকে চাঁদের আলোয় সবকিছু দেখা যায়,এক নতুন পৃথিবী কাছে এসে ধরা দেয়।তখন প্রকৃতি চারপাশ এত সুন্দর দেখায় যা দিনের সাথে কোন মিল নেই।সেই সময়ের সাথে যদি চু(মদ)আসর বসে,তাহলে তো কোন কথায় নেই।আমার কাছে স্বর্গ,আমার কাছে যতগুলো স্বর্গ আছে তার মধ্যে অন্যতম।প্রায় সময় মানে সময় পেলেই বা যদি সুযোগ হয়, সেই আসরে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকি(কোন কারনে হোক চু আমি খাই না, তবুও আসরে বসে থাকি)।আমার ভালো লাগার জায়গাটা হলো,সেই সময়টা কাজে লাগানো বা অনুভবের চেষ্টা বা জানার চেষ্টা বা অনুধাবনেরর চেষ্টা বা মিষ্টি রস খু্ঁজা।যখন চু'র আসরে এক সাথে শিল্পী, কবি,সাহিত্যিক, সাংবাদিক,সিনেমা পরিচালক, লেখক,সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব,মুক্তমনা, উদ্যোগতা এমনি ভাবে নানা পেশার লোক যদি থাকে, আর কি লাগে?
আমি একা বসে তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনি, সবার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করি, আইডিয়া নিই।তখন সমস্ত চিন্তা বাদ দিয়ে আমি বসে থাকি আমার স্বর্গে,তখন মনে হয় এই তো স্বর্গ,আর কি লাগে?স্বর্গে বসে থাকলে এত তাড়াতাড়ি সময় শেষ হয়ে যায় টের পাওয়া যায় না।আমি কেন বসে থাকি,যখন আসরে প্রচন্ড তর্ক বির্তক হয় যার যার মতামত প্রকাশ করে যুক্তি দাঁড় করায়,আমার কাছে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে মনে হয়,যখন স্বাভাবিক ভাবে কথা বার্তা হয় তখন এত গভীরে যাওয়া যায় না বা অনেক কিছুই অসম্ভব, কিছু সীমাবদ্ধতা কাজ করে।কিন্তুু তখন আসরে কোন বাঁধা ধরা নিয়ম থাকে না,গভীর ভাবে আলোচনা পর্যালোচনা হয়।তখন যে কথা যেখানে বলা দরকার সেটাই হয়।যেমন-কোন জায়গায় খারাপ শব্দ ব্যবহার করা উচিত,কিন্তুু স্বাভাবিক থাকলে সেটা করা যায় না,অটোমেটিক মাথায় আইসা পড়ে যে,এটা বলা ঠিক হবে না, একটু প্যাঁচায় বলে আরিকি! কিন্তুু খাওয়া অবস্থা এইগুলো চিন্তার অবকাশ থাকে না।মু্খে যা আসে বলে ফেলে।
আসরে বসলে নানান বিষয় বস্তুু নিয়ে কথা বার্তা চলতে থাকে যার কোন শেষ নেই।এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়,অন্য বিষয় থেকে আরেক বিষয় এমনি করে ঘুরতে থাকে।তখন মারাত্মক মারাত্মক তথ্য পাওয়া যায়,যেগুলো জীবনের জন্য দরকার, জানা দরকার,আইডিয়া পেয়েই যায়।স্বাভাবিক অবস্থায় সংকোচবোধটা বেশি কাজ করে,এমনো হয় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও লজ্জায় কাজ করতে পারে না,বলতেও পারে না।আসরে আবার পরিস্তিতি ভিন্ন করে দেয়,পরিবেশের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।আমার আবার সবসময় বড়দের সান্নিধ্য পাওয়ার লোভ অনেক,তাদের কথা বা আলোচনার শুনার জন্য আমি পাগল।আমি জানি,তাদের সাথে বসলেই একটা না একটা জানতে পারবো,বুঝতে পারবো, শিখতে পারবো।ফলত,আমি ঘন্টার পর ঘন্টা আসরে গাফতি মেরে বসে থাকি।
অনেক গুলো স্বর্গের মধ্যে অন্যতম চু'র আসর,যে স্বর্গে বসে থাকাটা আমার বদ অভ্যাস। তাই বলে এমন আসর চাই না,যেখানে হাতাহাতি মারামারি হবে আর এমন পরিস্তিতি চাই না যেটা এগ্রেসিভ মনোভাব সৃষ্টি করবে।
আমি চাই শান্ত পরিবেশ, যুক্তির পর যুক্তি, ঘন্টার পর ঘন্টা চলতে থাকবে, আলোচনা সমালোচনা,যেখান তাতে আস্তে আস্তে রস বের হতে থাকবে,হালকা করে চলবে খুনসুটি , যেখানে থাকবে বিশাল তথ্য ভান্ডার, চাই এমন একটা স্বর্গ।
No comments