কবি পরাগ রিছিল
Ja'dil Mri
কবি পরাগ রিছিল |
আমার কাছে কবি পরাগ দা...
কবি পরাগ দা বর্তমান তরুণ প্রজম্মের কাছে জনপ্রিয় এক কবি,হাস্যউজ্জ্বল এক মানুষ।আমার কাছে পরাগ দা এক স্বর্গ দূত,স্বর্গ দূত বললাম এই কারনে যে,আমরা জানি ;স্বর্গ দূতের দুটো ডানা থাকে সহজ সরল হাসি খুশি এমকি কোমল পবিত্র,ঠিক তেমনি পরাগ দা। দুটো ডানা আছে কিন্তুু অদৃশ্য সবসময় হাসি খুশি এবং কোমল পবিত্র, কোন লোক বা মানুষ কবি পরাগ দার খুঁত খুঁজে পাবে বলে মনে হয় না।কবি পরাগ দার সাথে কবে প্রথম দেখা হয়েছিল তা মনে নেই।যখনি দেখি, কবি পরাগ দা সব সময় হাসিখুশি।আজ পর্যন্ত পরাগ দার সাথে যতবার দেখা হয়েছে কোন দিন দেখিনি পরাগ দার হাসি থেমেগেছে,কবি পরাগ দার কোন সমস্যা বা কষ্ট থাকলেও দেখলাম না দুঃখ কষ্ট করতে।অনেক বড় সিনিয়র বা মুরুব্বিরা কবি পরাগ দাকে করাট বলে ডাকে,পরাগের চাইতে করাট নামই এখন আবিমায় বেশ জনপ্রিয়(আমরাও অবশ্য মজা করে মাঝে মাঝে করাট দা ডাকি, তবে গোপনে যদি কেউ শুনে,হাহাহাহহাহাহাহ )।
কবি পরাগ দা সবার সাথে সহজে মিশতে পারে।মধুপুরে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে কবি পরাগ দার বিচরণ নেই,ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড় মুরুব্বি পর্যন্ত কবি পরাগ দাকে সবাই চিনে,মানে সবার সাথেই কবি পরাগ দার আন্তরিকতা জানাশুনা হাই-হ্যালো রয়েছে।সবার মাঝে ভালোবাসার এক নজির স্থাপন করেছে কবি পরাগ দা।আমার সাথে দেখা হলেই (মজা করে) বলে, তুমিও আমার বন্ধু তোমার বাবাও আমার বন্ধু।কবি পরাগ দাকে যখন দেখি না, তখন আবিমা (মধুপুর)খালি খালি লাগে।যখন ছুটিতে বাড়ি যেতাম সব সময় কবি পরাগ দাকে দেখতাম,মানে যে কোন ভাবেই হোক দেখা হয়ে যেতো।মাঝে মাঝে দাদা ফোন দিতো,কোথায় আছি জিঙ্গাসা করতো।মাঝখানে কবি পরাগ দা অসুস্থ ছিল সেবার জন্ডিস হয়েছিল,সেই কারনে কবি পরাগ দার আবিমায় (মধুপুরে) আসা যাওয়া কমে গিয়েছিল।তখন আবিমা( মধুপুরববাসী) কবি পরাগ দাকে অনেক মিস করতো।সবাই সবার কাছে কবি পরাগ দার কথা জিঙ্গাসা করতো।কেন করতো জানো?কারন কবি পরাগ দা এমন ভাবে মানুষে সাথে মিশে গিয়েছিল,ফলে কবি পরাগ দা সবার ঘরের লোক হয়েগেছে।কবি পরাগ দাকে কোন দিন কোন কিছুতে চিন্তা করতে দেখিনি।কবি পরাগ দার যেমন সহ্য ক্ষমতা রয়েছে তা অবিশ্বাস।না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না কেমন শক্ত মনের মানুষ।
কবি পরাগ দার সাথে ইতিমধ্যে বলার মতো অনেক স্মৃতি জমে আছে।আজকে আমার ভালো লাগার মতো কিছু স্মৃতি শেয়ার করতে চাই।
হঠাৎ করে, বিশেষ কারনে আমাকে জয়রামকুড়া হাসপাতালে যেতে হয়েছিল।বাসায় আর হাসপাতালে থাকতে থাকতে কেমন যেন অসহ্য লাগছিল, বাসায় আর মন বসছিল না।মন একটু ফ্রেশ করতে হোন্ডা নিয়ে বের হলাম।বাজারের দিকে যেতেই, হঠাৎ দেখি কবি পরাগ দা। আমি হোন্ডা থামিয়ে ডাক দিলাম পরাগ দা,পরাগ দা।কবি পরাগ দা এক টুকরো হাসি মাখিয়ে জিঙ্গাসা করলো,"কোথায় যাও"।কিছু আনুষ্ঠানি কথা বার্তা শেষ করলাম।দাদা অফার করলো, বাড়ি থেকে যেন ঘুরে আসি।আমি তো এক পায়ে খাঁড়া,সাথে সাথে সিদ্ধাত নিলাম কবি পরাগ দার বাড়ি থেকে ঘুরে আসবো।কবি পরাগ দা সাইকেল চালাচ্ছিল, আমি হোন্ডা।আমি পিছনে ছিলাম হোন্ডার স্পীড কম ছিল,মাঝে মাঝে কবি পরাগ দা পিছনের দিকে তাকাচ্ছিল এক টুকরো হাসি মাখিয়ে ।একটু সাপের প্যাঁচেরর মতো সাইকেল চালাচ্ছিল আর পিছনের দিকে তাকাচ্ছিল,রাস্তার দুই পাশে গাছগাছালি আর সবুজ পাতা ধানে ভরপুর ছিল,এক কথায় বলতে গেলে অপূর্ব এক দৃশ্য।এই এক টুকরো দৃশ্য আমার মন কেড়ে নিয়েছিল। আমি সাথে সাথে সিদ্ধাত নিয়েছিলাম,এই দৃশ্য মনে রাখতে আমি দীর্ঘ এক স্মৃতির পাতায় আমার ভাবনার কথা লিখব।যদি হাতে ক্যামেরা বা ফোন থাকতো ভিডিও করে রাখতাম,আমার কাছে এমন চমৎকার মুহূর্ত খুবই কম আছে মানে ভালো লাগা সময়, আর কোন দিন দেখতে পাবো কি না জানি না। আমি ভাবছিলাম কবিরা বুঝি এমনি হয়,যেখানে কোন রাগ নেই,হিংসা নেই,প্রতিপক্ষ নেই,আছে শুধু বিশাল মন,মানুষকে ভালোবাসা শিক্ষার।
যে ব্যক্তি কবি পরাগ দার সাক্ষাৎ পেয়েছে, সেই জানে আমার ভাবনা ঠিক আছে কি না!
যে ব্যক্তি কবি পরাগ দার সাক্ষাৎ পেয়েছে, সেই জানে আমার ভাবনা ঠিক আছে কি না!
ও আরেকটা কথা কবি পরাগ দার ২০১৯ সালের বই মেলায় নতুন বই আসছে,
থকবিরিম থেকে প্রকাশিত 'খাবি"
সবাইকে নতুন বই কিনার অনুরোধ রইল।
থকবিরিম থেকে প্রকাশিত 'খাবি"
সবাইকে নতুন বই কিনার অনুরোধ রইল।
No comments